dreamliferupatolibarisal

দাম না পেয়ে নদীতে চামড়া ফেলে দেওয়ায় ব্যবসায়ী আটক

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১০ জুন, ২০২৫ ১৮:২৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দাম না পেয়ে নদীতে চামড়া ফেলে দেওয়ায় ব্যবসায়ী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ফেনীর পরশুরামে নদীতে চামড়া ফেলে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে শুক্কুর আলী (৪০) নামে এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৮ জুন) রাতে উপজেলার মালিপাথর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাকে আটক করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান।

আটক শুক্কুর আলী উপজেলার মালিপাথর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। জানা গেছে, শুক্কুর আলী কুরবানির ঈদের দিন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বেশ কিছু চামড়া কেনেন। পরে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় রোববার সকালে চামড়াগুলো পরশুরামের সিলোনিয়া নদীতে ফেলে দেন। যার একটি দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শুক্কুর আলীকে বলতে শোনা যায়, এর আগে গরু কিনে এক গরুতে ৩০ হাজার টাকা লস খেয়েছি। এবারও খাল (চামড়া) কিনতে গিয়ে বলা হলো গরিবের হক ৮০০, ৯০০ ও ১ হাজার টাকা পাব। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি, কেউ ১০ টাকাও মূল্য দিচ্ছে না। তাই সিলোনিয়া নদীতে খালগুলো (চামড়া) ফেলে দিচ্ছি।

পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান বলেন, পশুর চামড়া নদীতে ফেলে পরিবেশ দূষণ ও সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাকসুদ আহমেদ বলেন, অভিযুক্তের নদীতে চামড়া ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের মতবিনিময়, মতপ্রকাশের সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের মতবিনিময়, মতপ্রকাশের সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের সফরকে ঘিরে আয়োজিত ‘মতবিনিময় সভা’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, সভার নাম ‘মতবিনিময়’ হলেও বাস্তবে ছিল একতরফা আলোচনা—কাউকেই মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি।

শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। তবে বক্তব্য রাখেন কেবল ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। নির্ধারিত সময় বিকেল ৩টার পরিবর্তে সভা শুরু হয় বিকেল ৪টায়।

সভায় শিক্ষার্থীদের মতামত শোনার কথা থাকলেও কেউ কথা বলার সুযোগ পাননি। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শিবলী আহমেদ বলেন, “এরকম একপাক্ষিক মতবিনিময় সভা আমি জীবনে দেখিনি। আমাদের অনেক সমস্যা আছে, কিন্তু কারও মুখ খোলার সুযোগই দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের উচিত ছিল সভাটির নাম ‘আলোচনা সভা’ রাখা।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় সামনে চলে আসার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ সচেতনভাবেই কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়নি।

সভা চলাকালে ইউজিসি চেয়ারম্যান কিছু শিক্ষার্থীর বক্তব্য শোনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রশাসন সময়ের অজুহাতে দ্রুত সভা শেষ করে দেন। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যান উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উপাচার্য নানা অজুহাতে তাদের বাধা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অল্প কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মিলনায়তন ত্যাগ করতে হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পবিপ্রবিতে পৌঁছান ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন, শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং নবনির্মিত জিমনেশিয়াম উদ্বোধন করেন।

এসব কর্মসূচি শেষে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচিত ওই ‘মতবিনিময় সভা’, যা শিক্ষার্থীদের চোখে পরিণত হয় এক ‘একতরফা আলোচনা সভা’-তে।

বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, আত্মরক্ষায় গুলিবর্ষণ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, আত্মরক্ষায় গুলিবর্ষণ

বরিশালের চরমোনাই-মেহেন্দীগঞ্জ সীমানার বাকরজা সংলগ্ন কালাবদর নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালে সংঘবদ্ধ জেলেদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে অভিযান পরিচালনাকারী দল ২০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এর মধ্যে ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ২ রাউন্ড সীসা বুলেট ব্যবহার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। গুলিবর্ষণের আদেশ কার্যকর করেন সঙ্গীয় ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে অভিযানিক দল বাকরজা এলাকায় একটি মাছ ধরার নৌকাকে জাল ফেলতে দেখে ধাওয়া করে। অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যায়। পরে জাল জব্দের সময় ৭-৮টি নৌকায় প্রায় ৬০-৭০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে টিমের উপর আক্রমণ চালায়।

দুর্বৃত্তরা ইট-পাটকেল ছোড়ে এবং বাঁশ দিয়ে আঘাত করে অভিযান পরিচালনাকারীদের আহত করে। এ সময় স্পিডবোট চালক মামুন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেন। গুলিবর্ষণে হামলাকারী ২-৩ জন আহত হন বলে জানা গেছে।

অভিযান শেষে এলাকা শান্ত হলেও নদীপথে টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমে বাধা প্রদানকারী বা আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহস্রাধিক মসজিদ ইমামের উপস্থিতিতে সৎ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে আলোচনা সভা 

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সহস্রাধিক মসজিদ ইমামের উপস্থিতিতে সৎ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে আলোচনা সভা 

বরিশালের বাকেরগঞ্জে সৎ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের সহস্রাধিক ইমামের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা ইমাম সম্মেলনে রুপ নেয়।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় এফসিএ মাহমুদ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাকেরগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনাব মাও. মোয়াজ্জাম হোসাইন আনছারি, খতিব পৌরসভা বাইতুশ শরফ জামে মসজি,অধ্যক্ষ বিহারীপুর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসা। 

এফসিএ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ধানমন্ডি সোবাহান বাগ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ওয়ালি উল্লাহ, বিশেষ আলোচক ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকি।

আলোচনা সভায় বক্তারা ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, আল আকসা আমাদের।মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস হলো জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের ৩য় পবিত্রতম মসজিদ। স্থাপনাসহ পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরীফ বলা হয়।ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি উর্ধাকাশের দিকে যাত্রা করেন। সুতরাং আমাদের যে কোন মূল্যে ইমামের সহিত মসজিুল আল আকসাসহ সকল মসজিদের সন্মান টিকিয়ে রাখতে হবে। 

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.