১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৮
বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছে কমিশন। এরই মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দলসহ অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিজ্ঞজনের মতামত নেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বসে বিস্তারিত আলোচনা করে তাদের মতামত নেবে কমিশন।
এদিকে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের একটি সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সনদে মোট ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ৮ দফা অঙ্গীকারনামায় প্রথমেই বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’-এর দলিল হিসেবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব। সনদ সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’
অঙ্গীকারনামার শেষ দফায় বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।’
এ বিষয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে দলগুলোকে মতামত পাঠাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে পারে। তার পরই জুলাই সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, সনদের ভাষ্যের কোনো শব্দ, বাক্য গঠন বা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা আগামী বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। অবশ্য জুলাই সনদের এই সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া তৈরির আগে কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন করে সনদের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরপর তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
সনদের পটভূমিতে বলা হয়েছে, স্বৈরাচারী শাসক পালিয়ে যাওয়ার পর ‘জনগণের মননে রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের এক প্রবল অভিপ্রায় সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার, বিশেষ করে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার, ধসে পড়া নির্বাচনি ব্যবস্থার পুনর্গঠন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন ও বিধি-বিধানের সংস্কার, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসিত জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
অবশ্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং নোট অব ডিসেন্টের মতো বিষয়গুলো নিয়ে যে সমন্বিত খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে দলগুলোর পক্ষ থেকে কী ধরনের মতামত আসে, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। বিশেষ করে বিএনপি এসব বিষয়ে কী অবস্থান নেবে, সেদিকেই নজর বেশি। যদিও বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিকে জুলাই সনদের আরও ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মিত্র দলগুলো।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার গতকাল বলেন, ‘আমরা আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় সম্মত হবে। কয়েকটি দল ৯-১০টি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিলেও বেশিরভাগ দলই একমত পোষণ করেছে। এখন নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া দলগুলো গণতন্ত্র এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া মেনে নেবে বলে বিশ্বাস করি।’
সনদ কবে নাগাদ ঘোষণা হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. মজুমদার বলেন, ‘আমরা তো এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। দলগুলো যত দ্রুত সাড়া দেবে তত দ্রুত আমরা এগোতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া বাস্তবায়ন ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছি। এ লক্ষ্যে বিশিষ্ট ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ ঘোষণা করা হবে।’
জানা গেছে, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত যাতে পরবর্তী সরকারের সময়ও বাস্তবায়ন করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে জুলাই জাতীয় সনদের ‘সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া’ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। সনদের কোনো শব্দ, বাক্য ও নীতিমালা সংবিধান বা অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই সনদের প্রাধান্য থাকবে। এই সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, দেরি না করে সেগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে সরকার।
জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো অনুলিপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর ৫ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কারবিষয়ক ৭০টি, নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি ও দুর্নীতি দমনবিষয়ক ২৭টি সুপারিশ ছিল। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো সরাসরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নযোগ্য হওয়ায় সেগুলো স্প্রেডশিটে রাখা হয়নি। অন্যদিকে, সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর তালিকা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মোট ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে প্রেরণ করে। অনেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও প্রদান করে। মতামত গ্রহণের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মোট ৪৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ করতে কিছু দলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে কমিশন অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মোট ২০টি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় মিলিত হয়। ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে মোট ২৩টি সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঐকমত্য হওয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে সরকার। গত ২৯ জুলাই দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া নিয়ে দলগুলো মতামতও দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে সমন্বিত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সমন্বিত খসড়া নিয়ে দলগুলোর মতামতও আমলে নেবে কমিশন।
অন্যদিকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে।
জানা যায়, ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয় দফায় ১৯টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানালেও বেশকিছু ইস্যুতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। ফলে এ নিয়ে ‘না সূচক’ মনোভাবের কথাই জানিয়েছে দলগুলো। বিশেষ করে সংসদের উচ্চকক্ষে একশ আসন পিআর পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন করার বিষয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। নোট অব ডিসেন্ট সত্ত্বেও ১৯টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানায় ঐকমত্য কমিশন।
রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন সূত্র বলছে, সংস্কারের বিষয়গুলো ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ সংযুক্ত করা হবে। এরপরই সব দলগুলো চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষর করে সেটির স্বীকৃতি দেবে। তবে তার আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির দাবি তোলে বেশকিছু দল। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সরকার ও কমিশনের পক্ষে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গতকাল বলেন, ‘আমরা সনদের খসড়া পেয়েছি। যেহেতু বেশ বড় সেটি পড়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই আমরা দ্রুত মতামত দেবে।’
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা তো অতীতের জুলাই সনদের খসড়ায় মতামত দিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পেয়েছি। জোটের ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে মতামত দেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে বলেন, ‘জুলাই সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়ার একটি কপি সন্ধ্যায় হাতে পেয়েছি। এখন সেটি পড়ে দেখব লেখা ঠিকভাবে আছে কি না? এরপর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত জানানো হবে।’
বহুল আলোচিত ও প্রত্যাশিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ বিষয়ে সংলাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছে কমিশন। এরই মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দলসহ অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিজ্ঞজনের মতামত নেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বসে বিস্তারিত আলোচনা করে তাদের মতামত নেবে কমিশন।
এদিকে গতকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের একটি সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সনদে মোট ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ৮ দফা অঙ্গীকারনামায় প্রথমেই বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’-এর দলিল হিসেবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব। সনদ সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’
অঙ্গীকারনামার শেষ দফায় বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।’
এ বিষয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে দলগুলোকে মতামত পাঠাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে পারে। তার পরই জুলাই সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, সনদের ভাষ্যের কোনো শব্দ, বাক্য গঠন বা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে তা আগামী বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। অবশ্য জুলাই সনদের এই সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া তৈরির আগে কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন করে সনদের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরপর তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
সনদের পটভূমিতে বলা হয়েছে, স্বৈরাচারী শাসক পালিয়ে যাওয়ার পর ‘জনগণের মননে রাষ্ট্র-কাঠামো পুনর্গঠনের এক প্রবল অভিপ্রায় সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার, বিশেষ করে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার, ধসে পড়া নির্বাচনি ব্যবস্থার পুনর্গঠন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন ও বিধি-বিধানের সংস্কার, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসিত জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যে ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
অবশ্য জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং নোট অব ডিসেন্টের মতো বিষয়গুলো নিয়ে যে সমন্বিত খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে দলগুলোর পক্ষ থেকে কী ধরনের মতামত আসে, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। বিশেষ করে বিএনপি এসব বিষয়ে কী অবস্থান নেবে, সেদিকেই নজর বেশি। যদিও বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপিকে জুলাই সনদের আরও ছাড় দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মিত্র দলগুলো।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার গতকাল বলেন, ‘আমরা আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় সম্মত হবে। কয়েকটি দল ৯-১০টি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিলেও বেশিরভাগ দলই একমত পোষণ করেছে। এখন নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া দলগুলো গণতন্ত্র এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া মেনে নেবে বলে বিশ্বাস করি।’
সনদ কবে নাগাদ ঘোষণা হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. মজুমদার বলেন, ‘আমরা তো এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। দলগুলো যত দ্রুত সাড়া দেবে তত দ্রুত আমরা এগোতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়া বাস্তবায়ন ও আইনি ভিত্তির কৌশল খুঁজছি। এ লক্ষ্যে বিশিষ্ট ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ ঘোষণা করা হবে।’
জানা গেছে, সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত যাতে পরবর্তী সরকারের সময়ও বাস্তবায়ন করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে জুলাই জাতীয় সনদের ‘সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া’ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। সনদের কোনো শব্দ, বাক্য ও নীতিমালা সংবিধান বা অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই সনদের প্রাধান্য থাকবে। এই সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, দেরি না করে সেগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে সরকার।
জুলাই সনদের সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ছাপানো অনুলিপি সব রাজনৈতিক দলের কাছে প্রেরণ করা হয়। এরপর ৫ মার্চ পুলিশ সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কারবিষয়ক ৭০টি, নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি ও দুর্নীতি দমনবিষয়ক ২৭টি সুপারিশ ছিল। পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো সরাসরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নযোগ্য হওয়ায় সেগুলো স্প্রেডশিটে রাখা হয়নি। অন্যদিকে, সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর তালিকা সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, মোট ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে প্রেরণ করে। অনেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণও প্রদান করে। মতামত গ্রহণের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মোট ৪৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ করতে কিছু দলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করে কমিশন অগ্রাধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মোট ২০টি বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় মিলিত হয়। ৩ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে মোট ২৩টি সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঐকমত্য হওয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে সরকার। গত ২৯ জুলাই দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া নিয়ে দলগুলো মতামতও দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে সমন্বিত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে সমন্বিত খসড়া নিয়ে দলগুলোর মতামতও আমলে নেবে কমিশন।
অন্যদিকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে।
জানা যায়, ঐকমত্য কমিশন দ্বিতীয় দফায় ১৯টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানালেও বেশকিছু ইস্যুতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। ফলে এ নিয়ে ‘না সূচক’ মনোভাবের কথাই জানিয়েছে দলগুলো। বিশেষ করে সংসদের উচ্চকক্ষে একশ আসন পিআর পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন করার বিষয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। নোট অব ডিসেন্ট সত্ত্বেও ১৯টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানায় ঐকমত্য কমিশন।
রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন সূত্র বলছে, সংস্কারের বিষয়গুলো ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ সংযুক্ত করা হবে। এরপরই সব দলগুলো চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষর করে সেটির স্বীকৃতি দেবে। তবে তার আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির দাবি তোলে বেশকিছু দল। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে সরকার ও কমিশনের পক্ষে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গতকাল বলেন, ‘আমরা সনদের খসড়া পেয়েছি। যেহেতু বেশ বড় সেটি পড়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই আমরা দ্রুত মতামত দেবে।’
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা তো অতীতের জুলাই সনদের খসড়ায় মতামত দিয়েছি। এখন চূড়ান্ত সমন্বিত খসড়া পেয়েছি। জোটের ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে মতামত দেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে বলেন, ‘জুলাই সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়ার একটি কপি সন্ধ্যায় হাতে পেয়েছি। এখন সেটি পড়ে দেখব লেখা ঠিকভাবে আছে কি না? এরপর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে মতামত জানানো হবে।’
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৪
দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সন্ধ্যা ৭টার আগেরই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আশপাশের মেলায় মদ ও গাজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে। পূজায় মাজা-মদের আসর বসানো যাবে না। এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে পূজামণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সারা দেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজা ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যে কোনো নাশকতা রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেবে সরকার। কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভায় মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হবে। দফাগুলো হলো ১. দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।
৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
৯. পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ও জেলা ও উপজেলা সব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. পূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ওপর কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনো কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির বা মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রতিমা যেন ভাঙচুর না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও মণ্ডপগুলোয় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। মণ্ডপে নারী দর্শণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করতে হবে। ১৪. স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা পূজামণ্ডপে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পূজা চলাকালে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো বন্ধসহ স্থায়ীভাবে আতশবাজির উপকরণ বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬. স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপের পার্শ্বে উপযুক্ত স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১৭. প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্ট্যান্ডবাই থাকা এবং ১৮. যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহারের অনুপেযোগী, সেসব রাস্তা সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সন্ধ্যা ৭টার আগেরই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আশপাশের মেলায় মদ ও গাজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে। পূজায় মাজা-মদের আসর বসানো যাবে না। এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে পূজামণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সারা দেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজা ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যে কোনো নাশকতা রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেবে সরকার। কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভায় মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হবে। দফাগুলো হলো ১. দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।
৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
৯. পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ও জেলা ও উপজেলা সব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. পূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ওপর কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনো কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির বা মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রতিমা যেন ভাঙচুর না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও মণ্ডপগুলোয় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। মণ্ডপে নারী দর্শণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করতে হবে। ১৪. স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা পূজামণ্ডপে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পূজা চলাকালে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো বন্ধসহ স্থায়ীভাবে আতশবাজির উপকরণ বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬. স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপের পার্শ্বে উপযুক্ত স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১৭. প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্ট্যান্ডবাই থাকা এবং ১৮. যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহারের অনুপেযোগী, সেসব রাস্তা সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এরপরও, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। সবশেষ বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সেনাবাহিনীর আন্তরিক শুভকামনা রইল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এরপরও, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। সবশেষ বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সেনাবাহিনীর আন্তরিক শুভকামনা রইল।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:১২
বগুড়ায় পেট্রলপাম্পের এক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতন (২৬) নামের এক কর্মচারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল হাসান জানান, হত্যার ঘটনার পরপর রতন বগুড়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে ডিবি টিম আটক করে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হাসান হেলালকে (৩৫) হাতুড়ির আঘাতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পাম্পের অন্য লোকজন এলে হত্যার বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছে, ফিলিং স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে তেল চুরি হচ্ছিল। এই তেল চুরির জন্য তাকে দায়ী করে ইকবাল। সেই ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে রতন।
ডিবি ইনচার্জ জানান, রতনকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে খুনের ঘটনাটির সিসি ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রতন একটি হাতুড়ি দিয়ে ইকবালের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রতন পালিয়ে যায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে আটক রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বগুড়ায় পেট্রলপাম্পের এক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতন (২৬) নামের এক কর্মচারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল হাসান জানান, হত্যার ঘটনার পরপর রতন বগুড়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে ডিবি টিম আটক করে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হাসান হেলালকে (৩৫) হাতুড়ির আঘাতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পাম্পের অন্য লোকজন এলে হত্যার বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছে, ফিলিং স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে তেল চুরি হচ্ছিল। এই তেল চুরির জন্য তাকে দায়ী করে ইকবাল। সেই ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে রতন।
ডিবি ইনচার্জ জানান, রতনকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে খুনের ঘটনাটির সিসি ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রতন একটি হাতুড়ি দিয়ে ইকবালের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রতন পালিয়ে যায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে আটক রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.