০৬ জুন, ২০২৫ ১৭:২৩
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ১০-১১ জুন পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেন অনেকেই। এ দুই দিনের জন্য আগাম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ১০-১১ জুনে অলরেডি ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল তাজওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদেরও ওই তারিখে আগাম বুকিং রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে মূলত সরকারি ছুটি কার্যকর হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অফিস আদালত সচল হবে। ৭ জুন থেকে কোরবানি শুরু হবে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ জন্য ১০-১১ জুন এই দুইদিন মূলত বিনোদন, ভ্রমণের মুখ্য সময়।
এই পিক টাইমে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার কথা বললেন অধিকাংশরা। তবে আধুনিক সেবা সংবলিত ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে এখনও গেস্ট রয়েছে। তাদের ৯-১০-১১ জুনে এখনই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়াও পর্যটকের ভিড়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কিংবা অশোভন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। বাসে আসা পর্যটককে নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানালেন একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল রাজমহলের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজি বলে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হবে। আশা করছি পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব। এ সময় তিনি হোটেলে রাজমহলে ১০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছেও।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। মূলত ৯ জুন থেকে কুয়াকাটায় ১১ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে। পর্যটক বরণে কুয়াকাটার ছোট-বড়-মাঝারি আধুনিক ও তারকা মানের অন্তত ২৩০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ইতোমধ্যেই পর্যটক বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এখানে আসা পর্যটকের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঈদ পরবর্তী আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা লাখো পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্পটগুলোতে আলাদা আলাদা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটিতে পর্যটক বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হোটেলে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ১০-১১ জুন পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা জানালেন অনেকেই। এ দুই দিনের জন্য আগাম বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের ১০-১১ জুনে অলরেডি ৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল তাজওয়ার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদেরও ওই তারিখে আগাম বুকিং রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে মূলত সরকারি ছুটি কার্যকর হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অফিস আদালত সচল হবে। ৭ জুন থেকে কোরবানি শুরু হবে। যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ জন্য ১০-১১ জুন এই দুইদিন মূলত বিনোদন, ভ্রমণের মুখ্য সময়।
এই পিক টাইমে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ। ১২ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি থাকার কথা বললেন অধিকাংশরা। তবে আধুনিক সেবা সংবলিত ও তারকা মানের হোটেলগুলোতে এখনও গেস্ট রয়েছে। তাদের ৯-১০-১১ জুনে এখনই শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
এছাড়াও পর্যটকের ভিড়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কিংবা অশোভন আচরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। বাসে আসা পর্যটককে নির্দিষ্ট হোটেলে নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার কথাও জানালেন একাধিক হোটেল কর্তৃপক্ষ।
হোটেল রাজমহলের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজি বলে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মুঠোফোনে ভালোই সাড়া পাচ্ছি। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হবে। আশা করছি পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব। এ সময় তিনি হোটেলে রাজমহলে ১০% ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছেও।
হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল খান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। মূলত ৯ জুন থেকে কুয়াকাটায় ১১ জুন পর্যন্ত পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে। পর্যটক বরণে কুয়াকাটার ছোট-বড়-মাঝারি আধুনিক ও তারকা মানের অন্তত ২৩০টি হোটেল-মোটেল রিসোর্ট এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ইতোমধ্যেই পর্যটক বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এখানে আসা পর্যটকের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন।
ঈদ পরবর্তী আগত পর্যটক-দর্শনার্থীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি তিনটি স্পটে বিশেষ প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক তাপস চন্দ্র রায়।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তা বিধানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা লাখো পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা দর্শনীয় স্পটগুলোতে আলাদা আলাদা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে টুরিস্ট পুলিশ।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিতে সকল ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৭
বিডিয়ারের সাবেক ল্যান্স নায়েক মো.মঞ্জুরুল ইসলাম (৫৫)। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার কেরনিগঞ্জের কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ সন্তানদের বাবার স্পর্শ দিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা তিনি। মঞ্জুরুল ইসলামের মুক্তিতে আনন্দে ভাসছে পুরো গ্রাম। মো.মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কবিরকাঠী গ্রামে। মঞ্জুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বাড়ি পৌঁছালে গ্রামের নারী-পুরুষ ও স্বজনেরা তাকে দেখতে আসেন।
কেউ কেউ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আবার মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন। ওই এলাকায় যেন আনন্দের বন্যা বইছে। কালিশুরী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. খালিদুর রহমান এসেছেন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে।
তিনি বলেন,‘মঞ্জুরুল ইসলাম তার বন্ধু। খুবই ভালো মানুষ। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার নিজেদের দোষ যাতে প্রকাশ না পায়, সেই উদ্দেশ্যে নিরাপরাদ বিডিআর সদস্যদের কারাগারে রেখে অবিচার ও জুলুম করেছেন।
এরও বিচার হওয়া উচিৎ।’ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বিচারের আগ পর্যন্ত জেল খানায় থাকাকালীন আদালতে আনা নেওয়া ছাড়া তারা সূর্য্যরে আলো দেখতে পেতেন না। জেলাখানার মধ্যে কক্ষের বাহিরে যেতে দেওয়া হত না।
রিমান্ডে নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানও তাকেসহ অন্যদের মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন করেছিলেন। খুবই মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যখন আত্মসমর্পন করি তখন সাড়ে তিন বছর ও সাত বছরের দুটি কন্যা সন্তান রেখে যাই। তার অবর্তমানেই বড় মেয়ে পলি আক্তারের ২০১৭ সালে বিয়ে হয়।
তার সাত বছরের ছেলে মশিউর রহমান ও পাঁচ দিনের একটি কন্যা হয়েছে। আর সাড়ে তিন বছরের শাহানা আক্তার মনি এখন ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
কারাগারে থাকাকালীন মা আমিনজান বিবি, ভাই মো. দুলাল, দুই বোন রাহেলা বেগম ও ফোকন বিবি, চাচী হনুফা বিবি মারা গেছেন। কারো লাশ পর্যন্ত দেখতে পারেননি। আজ মা বেঁচে থাকলে তিনি সবেচেয়ে বেশি খুশি হতেন।
ছোট মেয়ে শাহানা আক্তার মনি (২০) বলেন,‘বাবা কেমন তা বোঝার আগেই তিনি তাকে ছেড়ে কারাগারে চলে যান। সেই থেকে ১৬ টি বছর বাবাকে কাছে পাননি, আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, বাবাকে স্পর্শ করতে পারেননি।
বাবা যখন গতকাল বুধবার জেল থেকে বের হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছিল, আর কান্না করছিল সেই অনুভ‚তির কথা বোঝানোর মত ভাষা তার জানা নেই।’ স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫০) বলেন,‘আমি স্বামী পেয়েছি, সন্তানেরা তার বাবাকে ফিরে পেয়েছে।
আমার আনন্দের অনুভ‚তি প্রকাশ করার মত ভাষা জানা নাই।’ মঞ্জুরুল ইসলাম ২০০৯ সালের ৩ মার্চ পিলখানায় আত্মসমর্পন করেন। তাকে প্রথমে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।
ওই মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদÐ দেন। পরে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিলে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরে আটক দেখানো হয়।
বিডিয়ারের সাবেক ল্যান্স নায়েক মো.মঞ্জুরুল ইসলাম (৫৫)। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার কেরনিগঞ্জের কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ সন্তানদের বাবার স্পর্শ দিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা তিনি। মঞ্জুরুল ইসলামের মুক্তিতে আনন্দে ভাসছে পুরো গ্রাম। মো.মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের কবিরকাঠী গ্রামে। মঞ্জুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বাড়ি পৌঁছালে গ্রামের নারী-পুরুষ ও স্বজনেরা তাকে দেখতে আসেন।
কেউ কেউ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আবার মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন। ওই এলাকায় যেন আনন্দের বন্যা বইছে। কালিশুরী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. খালিদুর রহমান এসেছেন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে।
তিনি বলেন,‘মঞ্জুরুল ইসলাম তার বন্ধু। খুবই ভালো মানুষ। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার নিজেদের দোষ যাতে প্রকাশ না পায়, সেই উদ্দেশ্যে নিরাপরাদ বিডিআর সদস্যদের কারাগারে রেখে অবিচার ও জুলুম করেছেন।
এরও বিচার হওয়া উচিৎ।’ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বিচারের আগ পর্যন্ত জেল খানায় থাকাকালীন আদালতে আনা নেওয়া ছাড়া তারা সূর্য্যরে আলো দেখতে পেতেন না। জেলাখানার মধ্যে কক্ষের বাহিরে যেতে দেওয়া হত না।
রিমান্ডে নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানও তাকেসহ অন্যদের মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নির্যাতন করেছিলেন। খুবই মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যখন আত্মসমর্পন করি তখন সাড়ে তিন বছর ও সাত বছরের দুটি কন্যা সন্তান রেখে যাই। তার অবর্তমানেই বড় মেয়ে পলি আক্তারের ২০১৭ সালে বিয়ে হয়।
তার সাত বছরের ছেলে মশিউর রহমান ও পাঁচ দিনের একটি কন্যা হয়েছে। আর সাড়ে তিন বছরের শাহানা আক্তার মনি এখন ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
কারাগারে থাকাকালীন মা আমিনজান বিবি, ভাই মো. দুলাল, দুই বোন রাহেলা বেগম ও ফোকন বিবি, চাচী হনুফা বিবি মারা গেছেন। কারো লাশ পর্যন্ত দেখতে পারেননি। আজ মা বেঁচে থাকলে তিনি সবেচেয়ে বেশি খুশি হতেন।
ছোট মেয়ে শাহানা আক্তার মনি (২০) বলেন,‘বাবা কেমন তা বোঝার আগেই তিনি তাকে ছেড়ে কারাগারে চলে যান। সেই থেকে ১৬ টি বছর বাবাকে কাছে পাননি, আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, বাবাকে স্পর্শ করতে পারেননি।
বাবা যখন গতকাল বুধবার জেল থেকে বের হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছিল, আর কান্না করছিল সেই অনুভ‚তির কথা বোঝানোর মত ভাষা তার জানা নেই।’ স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫০) বলেন,‘আমি স্বামী পেয়েছি, সন্তানেরা তার বাবাকে ফিরে পেয়েছে।
আমার আনন্দের অনুভ‚তি প্রকাশ করার মত ভাষা জানা নাই।’ মঞ্জুরুল ইসলাম ২০০৯ সালের ৩ মার্চ পিলখানায় আত্মসমর্পন করেন। তাকে প্রথমে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।
ওই মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদÐ দেন। পরে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিলে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরে আটক দেখানো হয়।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০২
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া চরে কৃষক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হোসেন শরীফ অভিযোগ করেন, তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ ১৪ জন রেকর্ডীয় মালিক এবং সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওই চরাঞ্চলের প্রায় ৪৫ একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এসময় উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজার মদদে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু তাঁদের জমিতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কবির শরীফ বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের মো. মোস্তফা হাওলাদার, ইদ্রিস হাওলাদার, আব্দুল জব্বার মীর ও ছলেমান মীরসহ একাধিক ব্যক্তি পূর্বেও জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি তারা আবারও জমি দখলের চেষ্টা করে কবির শরীফের ট্রাক্টর ও ভেকুর যন্ত্রাংশ খুলে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সাবেক কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি কোনো দখল বা হুমকির ঘটনায় জড়িত নই। জমির মালিকরাই তাদের জমি ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোস্তফা হাওলাদার বলেন, কবির শরীফ জমির মালিক নন।
তিনি লিজের টাকা না দেওয়ায় মালিকরা অন্যদের কাছে জমি লিজ দিয়েছেন। এখন তিনি নাটক সাজাচ্ছেন। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া চরে কৃষক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. কবির হোসেন শরীফ অভিযোগ করেন, তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ ১৪ জন রেকর্ডীয় মালিক এবং সরকার কর্তৃক বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওই চরাঞ্চলের প্রায় ৪৫ একর জমি তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এসময় উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজার মদদে একদল প্রভাবশালী ভূমিদস্যু তাঁদের জমিতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কবির শরীফ বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়, উত্তর মুরাদিয়া গ্রামের মো. মোস্তফা হাওলাদার, ইদ্রিস হাওলাদার, আব্দুল জব্বার মীর ও ছলেমান মীরসহ একাধিক ব্যক্তি পূর্বেও জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে রেখেছিল। সম্প্রতি তারা আবারও জমি দখলের চেষ্টা করে কবির শরীফের ট্রাক্টর ও ভেকুর যন্ত্রাংশ খুলে নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সাবেক কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মর্তুজা বলেন, আমি কোনো দখল বা হুমকির ঘটনায় জড়িত নই। জমির মালিকরাই তাদের জমি ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোস্তফা হাওলাদার বলেন, কবির শরীফ জমির মালিক নন।
তিনি লিজের টাকা না দেওয়ায় মালিকরা অন্যদের কাছে জমি লিজ দিয়েছেন। এখন তিনি নাটক সাজাচ্ছেন। দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:১১
দুর্নীতিকে না বলুন, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নব নির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে এ সব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দশমিনা ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেনে, ধানদী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিলুর রহমান, চরআলগী রশিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন, ডাঃ ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আসমা বেগম, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোসাঃ নার্গিস আক্তার, ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এস এম জহিরুল ইসলাম, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ মাইনুদ্দীন জিপু সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি সহ সকল সদস্য তারা নিজেরা সকল প্রকার দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বাউফল উপজেলাকে একটি দুর্নীতি মুক্ত উপজেলা গড়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দুর্নীতিকে না বলুন, এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির নব নির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কক্ষে এ সব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দশমিনা ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেনে, ধানদী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিলুর রহমান, চরআলগী রশিদিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন, ডাঃ ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আসমা বেগম, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লাহ স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মোসাঃ নার্গিস আক্তার, ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এস এম জহিরুল ইসলাম, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ডাঃ মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ মাইনুদ্দীন জিপু সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি সহ সকল সদস্য তারা নিজেরা সকল প্রকার দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বাউফল উপজেলাকে একটি দুর্নীতি মুক্ত উপজেলা গড়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.