
০४ জুন, २০२५ १६:४७
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।
প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।
জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।
এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।
কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে এ রোগে শতাধিক গরু মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক গরুকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে গরুর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত কৃষক ও খামারিরা। এতে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।
প্রাণী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গরুর লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে। গরুর খাবারের রুচি কমে যায়।
জ্বর বেশি হলে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয় এবং পচন ধরে। সে সঙ্গে চামড়া থেকে লোম উঠে যায়। এই রোগে আক্রান্ত পশু সুস্থ হতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। গরুর চেয়ে বাছুর আক্রান্ত হলে দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাছুর গরুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে।
সরকারি সহায়তা ও প্রতিষেধক না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া লাম্পি স্কিনের চিকিৎসাসেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন মাস ধরে উপজেলায় লাম্পি স্কিন প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গরুর চিকিৎসা করাতে আসা টিয়াখালীর ইটবাড়িয়া গ্রামের শাহানারা বেগম জানান, তার গোয়ালে অন্তত ১৮টি গরু আছে।
এর মধ্যে তিনটি আক্রান্ত হয়েছে। একটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে গত সোমবার হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এই গরুটির কষ্ট দেখে গত সাত দিনে আমি রাতে ঘুমাতে পারছি না। মানুষ হলে হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারত। সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এই খামারি।
কুয়াকাটা থেকে আসা রাকিবুল একটি বাছুর গরুর মাথায় পানি ঢালছিলেন। তিনি জানান, প্রচণ্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তার গরুর শরীর। ১৯টি গরুর মধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে নিয়ে আসা বাছুরটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে মাথায় পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে ব্যস্ত তিনি। তার গোয়ালে আক্রান্ত পশুগুলোর একেকটির ওষুধ কিনতে প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
নীলগঞ্জ থেকে দুটি গরু নিয়ে আসা মুসা হাওলাদার বলেন, এখানে ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবায় কোনো ঘাটতি রাখছেন না। তবে ৩০০ টাকা করে প্রতি ডোজ ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। তাই সরকারিভাবে এ রোগের ওষুধ সরবরাহের দাবি করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ বিল্লাহ বলেন, দেশে গবাদিপশুর জন্য এই লাম্পি ডিজিজ একটি প্রাণঘাতী সংক্রমক ভাইরাস, যা মশা, মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান পরিস্থিতিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের বিশ্রামের সময়ও থাকছে না। চাষিরা তাদের যত্নে লালিত পশু নিয়ে এসে অনেক সময় কান্নাও জুড়ে দেন। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক পশুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
মারুফ বিল্লাহ বলেন, এই রোগের ভ্যাকসিন বা ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে না। তাই চাষিদের বাড়তি মূল্যে কিনে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত শতকরা ১২ শতাংশ গরুর মৃত্যু হয়। যেহেতু এটি সংক্রামক জাতীয় একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস এবং স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তাই খামারিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, বাসা নম্বর ৪১, রোড নম্বর ৯-এ বসবাস করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও পিসিআর রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ফয়সাল করিম মাসুদের পিসিআর রিপোর্টের তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ তথ্য বাউফলে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, বাসা নম্বর ৪১, রোড নম্বর ৯-এ বসবাস করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও পিসিআর রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ফয়সাল করিম মাসুদের পিসিআর রিপোর্টের তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ তথ্য বাউফলে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १७:४০
পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু হানিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে নিজেদের ঘরের বেড়া, দরজা-জানালা খুলে তার পরিবারের ওপর ভাঙচুরের দায় চাপিয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, “আমরা কাউকে মারধর করিনি বা কোনো ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরাই ঘরের দরজা-জানালা খুলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। এতে আমাদের পরিবার মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত।”
অভিযোগে তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলাম তালুকদারের স্ত্রী রাহিমা বেগম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা মামলা করেছেন। জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, রাহিমা বেগম দাবি করেন, তিনি আবু হানিফদের হামলার শিকার হয়েছেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আইনি সহায়তা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে দুমকি থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। উভয় পক্ষকে উত্তেজনা পরিহার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যার দায় প্রমাণ হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধই দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ, যা প্রায়ই সংঘাতে রূপ নেয়।
পটুয়াখালীর দুমকিতে জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু হানিফ হাওলাদার অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে নিজেদের ঘরের বেড়া, দরজা-জানালা খুলে তার পরিবারের ওপর ভাঙচুরের দায় চাপিয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, “আমরা কাউকে মারধর করিনি বা কোনো ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরাই ঘরের দরজা-জানালা খুলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। এতে আমাদের পরিবার মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত।”
অভিযোগে তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলাম তালুকদারের স্ত্রী রাহিমা বেগম পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা মামলা করেছেন। জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে, রাহিমা বেগম দাবি করেন, তিনি আবু হানিফদের হামলার শিকার হয়েছেন এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আইনি সহায়তা নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে দুমকি থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। উভয় পক্ষকে উত্তেজনা পরিহার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যার দায় প্রমাণ হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিনের জমি বিরোধই দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার মূল কারণ, যা প্রায়ই সংঘাতে রূপ নেয়।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০