
२६ মে, २০२५ ০१:४६
বরিশালের বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা সবুজ আকনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে হাইকমান্ড। স্ত্রীর বড় বোনোর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ তাকে বহিষ্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে বরিশালের এই আলোচিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোন যুক্তিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সবুজ আকনকে বহিষ্কার করা হয়। এনিয়ে বরিশাল ছাত্রদলের নেতাদের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অনেকে বলছেন, সবুজের অপকর্মের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। কেন্দ্রীয় সংসদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের প্রমাণ পেয়েই কার্যকর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র নিশ্চিত করে, বাবুগঞ্জের বাসিন্দা সবুজ আকন বিগত দিনে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে তিনি অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সরকারি ভূমি দখল নেওয়াসহ চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
বাবুগঞ্জের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে তাদের দোসর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয় ছাত্রদল নেতা সবুজ আকন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ঘরনার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির চেয়ার দখল করেছেন, যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে আলোচনা-সমালোচনা চলামান থাকার মধ্যেই এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর বোনের ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২০ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অবশ্য ছাত্রদল নেতা আত্মপক্ষ সমর্থনে একদিন বাদে অর্থাৎ ২১ মে বরিশাল প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেন এবং মামলাটি হয়রানিমূলক বলে দাবি করেন। তখন তিনি ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন এবং বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে এই বক্তব্যের স্বপক্ষে সবুজ কোন অকাট্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ধর্ষণকান্ডে জড়িয়ে পড়ার খবরটি মোটা দাগে ফলাও করে প্রকাশ করে স্থানীয়সহ দেশের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমগুলো, যা নিয়ে কদিন বরিশালে সরব আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায়। তখনই ধারনা করা যায়, বিতর্কিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শাস্তির খড়গ আসছে। তাছাড়া শত্রুভাবাপন্ন জেলা ছাত্রদলের একটি অংশও চাচ্ছিলেন সবুজের বিরুদ্ধে হাইকমান্ড যেনো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিছুটা বিলম্বে হলেও সবুজকে বহিষ্কারের খবরে সেই বিরোধী অংশটিকে রোববার আত্মতৃপ্তির ঢেকুর গিলতে দেখা গেছে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সবুজ আকন নিজের গ্রাম বাবুগঞ্জে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। এবং একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে নিজেকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গেছেন। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় শীর্ষস্থানীয় নেতারা আর নিরব-নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না।
সূত্রগুলো নিশ্চিত করে, ধর্ষণের অভিযোগসহ সবুজ আকনের সকল অপরাধের ফিরিস্তি ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ অংশটি হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছে দেয়। সেই অভিযোগ প্রাথমিক তদন্ত করতেই তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অপকর্মের প্রমাণ পায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ, যার প্রেক্ষিতে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিন্ন তথ্য দিয়ে ঢাকার একটি সূত্র জানায়, সবুজের বিরুদ্ধে উত্থ্যাপিত অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের স্বার্থে তাকে আপাতত বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে বাকি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হতে পারে।
অবশ্য ইতিমধ্যেই এই নেতার সাথে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির রোববার তাদের বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন দেন।
তবে ধর্ষণ-চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সবুজ আকন। এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলছেন, কিছুদিন পরে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হবে, এনিয়ে দলীয় একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া স্ত্রীর বোনের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে রাজনৈতিকভাবে শায়েস্তা করতে এমন অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।’
বরিশালের বিতর্কিত ছাত্রদল নেতা সবুজ আকনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে হাইকমান্ড। স্ত্রীর বড় বোনোর স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ তাকে বহিষ্কার করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে বরিশালের এই আলোচিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোন যুক্তিতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না করলেও বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সবুজ আকনকে বহিষ্কার করা হয়। এনিয়ে বরিশাল ছাত্রদলের নেতাদের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও অনেকে বলছেন, সবুজের অপকর্মের ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। কেন্দ্রীয় সংসদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের প্রমাণ পেয়েই কার্যকর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সূত্র নিশ্চিত করে, বাবুগঞ্জের বাসিন্দা সবুজ আকন বিগত দিনে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে তিনি অসংখ্য বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সরকারি ভূমি দখল নেওয়াসহ চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে।
বাবুগঞ্জের স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে তাদের দোসর আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয় ছাত্রদল নেতা সবুজ আকন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ঘরনার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়াও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির চেয়ার দখল করেছেন, যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে আলোচনা-সমালোচনা চলামান থাকার মধ্যেই এই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীর বোনের ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২০ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
অবশ্য ছাত্রদল নেতা আত্মপক্ষ সমর্থনে একদিন বাদে অর্থাৎ ২১ মে বরিশাল প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগসমূহ অস্বীকার করেন এবং মামলাটি হয়রানিমূলক বলে দাবি করেন। তখন তিনি ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন এবং বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে এই বক্তব্যের স্বপক্ষে সবুজ কোন অকাট্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
ধর্ষণকান্ডে জড়িয়ে পড়ার খবরটি মোটা দাগে ফলাও করে প্রকাশ করে স্থানীয়সহ দেশের প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যমগুলো, যা নিয়ে কদিন বরিশালে সরব আলোচনা-সমালোচনা শোনা যায়। তখনই ধারনা করা যায়, বিতর্কিত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শাস্তির খড়গ আসছে। তাছাড়া শত্রুভাবাপন্ন জেলা ছাত্রদলের একটি অংশও চাচ্ছিলেন সবুজের বিরুদ্ধে হাইকমান্ড যেনো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিছুটা বিলম্বে হলেও সবুজকে বহিষ্কারের খবরে সেই বিরোধী অংশটিকে রোববার আত্মতৃপ্তির ঢেকুর গিলতে দেখা গেছে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রদলের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, দলীয় প্রভাব বিস্তার করে সবুজ আকন নিজের গ্রাম বাবুগঞ্জে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। এবং একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে নিজেকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গেছেন। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে ভাগনিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় শীর্ষস্থানীয় নেতারা আর নিরব-নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না।
সূত্রগুলো নিশ্চিত করে, ধর্ষণের অভিযোগসহ সবুজ আকনের সকল অপরাধের ফিরিস্তি ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ অংশটি হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছে দেয়। সেই অভিযোগ প্রাথমিক তদন্ত করতেই তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অপকর্মের প্রমাণ পায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ, যার প্রেক্ষিতে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অভিন্ন তথ্য দিয়ে ঢাকার একটি সূত্র জানায়, সবুজের বিরুদ্ধে উত্থ্যাপিত অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের স্বার্থে তাকে আপাতত বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে বাকি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়াতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হতে পারে।
অবশ্য ইতিমধ্যেই এই নেতার সাথে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোববার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির রোববার তাদের বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন দেন।
তবে ধর্ষণ-চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সবুজ আকন। এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলছেন, কিছুদিন পরে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হবে, এনিয়ে দলীয় একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া স্ত্রীর বোনের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে রাজনৈতিকভাবে শায়েস্তা করতে এমন অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।’
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:५७
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:२१
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:০३
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.