১৮ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫২
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তার নাম রমজান মুন্সি (৩৫)। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়ার আকবর মুন্সির ছেলে। এর আগে, বুধবার (১৬ জুলাই) ঘটনার দিন চার যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেদিন আহত হন সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক মানুষ।
অন্য নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), মৌলভীপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার ইন্দ্রিস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা (৩৫)।
বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালান ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এমনকি গোপালগঞ্জ কারাগারেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির ক্যাডাররা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার রাত ৮টা থেকে কারফিউ বহাল রয়েছে।
এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন ছিল গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে। এ নিয়ে সেখানে সার্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়। কিন্তু আগের দিন রাত থেকেই আওয়ামী লীগের লোকদের এনসিপির কর্মসূচি পণ্ড করতে অনলাইন-অফলাইনে সংগঠিত হতে দেখা যায়।
এর মধ্যে সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা।
এরপর সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এনসিপির নেতা-কর্মীরা সেখানে যায় এবং সমাবেশ করেন। কিন্তু সমাবেশ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা আবার এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের লোকেরা। তখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
এসময় অনেক সাংবাদিকও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। পরে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় বের হয় এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর। রওয়ানা হয় খুলনার উদ্দেশে।
এদিকে এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ফোরামের অফিসে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকেরা। এতে যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোজাম্মেল হোসেন মুন্না ও ডিবিসি টেলিভিশনের রিপোর্টার সুব্রত সাহা বাপিসহ অনেক সাংবাদিক আহত হন।
তাদেরসহ এ ঘটনায় আহত অনেককে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। জুলাই মাসজুড়ে জেলায় জেলায় পদযাত্রা করছে কেন্দ্রীয় এনসিপি। এরই অংশ হিসেবে আজ তারা গোপালগঞ্জে লং মার্চ ও সমাবেশ করেন।
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তার নাম রমজান মুন্সি (৩৫)। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়ার আকবর মুন্সির ছেলে। এর আগে, বুধবার (১৬ জুলাই) ঘটনার দিন চার যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেদিন আহত হন সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক মানুষ।
অন্য নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), মৌলভীপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার ইন্দ্রিস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা (৩৫)।
বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালান ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এমনকি গোপালগঞ্জ কারাগারেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির ক্যাডাররা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার রাত ৮টা থেকে কারফিউ বহাল রয়েছে।
এনসিপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন ছিল গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে। এ নিয়ে সেখানে সার্বিক প্রস্তুতির পাশাপাশি সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়। কিন্তু আগের দিন রাত থেকেই আওয়ামী লীগের লোকদের এনসিপির কর্মসূচি পণ্ড করতে অনলাইন-অফলাইনে সংগঠিত হতে দেখা যায়।
এর মধ্যে সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা।
এরপর সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এনসিপির নেতা-কর্মীরা সেখানে যায় এবং সমাবেশ করেন। কিন্তু সমাবেশ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা আবার এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের লোকেরা। তখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
এসময় অনেক সাংবাদিকও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। পরে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় বের হয় এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর। রওয়ানা হয় খুলনার উদ্দেশে।
এদিকে এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ফোরামের অফিসে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকেরা। এতে যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোজাম্মেল হোসেন মুন্না ও ডিবিসি টেলিভিশনের রিপোর্টার সুব্রত সাহা বাপিসহ অনেক সাংবাদিক আহত হন।
তাদেরসহ এ ঘটনায় আহত অনেককে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। জুলাই মাসজুড়ে জেলায় জেলায় পদযাত্রা করছে কেন্দ্রীয় এনসিপি। এরই অংশ হিসেবে আজ তারা গোপালগঞ্জে লং মার্চ ও সমাবেশ করেন।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৮
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.