০৬ জুলাই, ২০২৫ ১৫:৫৫
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ঘেরাও করে আটক ছাত্রদলের এক কর্মীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, শনিবার (৫ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টারের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলসহ থানার সামনে জড়ো হন। এরপরই ওসির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে আটক ছাত্রদল কর্মী মানিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে সরকার বিরোধী মিছিল বের করবে এমন খবরে তাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে থানা চত্বরে যায়। থানা ঘেরাও করে আটক কাউকে ছাড়াতে যায়নি।
পুলিশ বলছে, জমি-জমা সংক্রান্তের বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পক্ষের কিছু লোকজন এসেছিল। থানা ঘেরাও এর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আটক মানিককে মুচলেকার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সদস্য মানিকের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিবেশী বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে বাড়ি ভাঙচুর ও মারামারির অভিযোগে শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে মানিককে আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতারা থানায় গেলে তাকে ছাড়েনি ওসি। এরপর রাতেই প্রায় দুই শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে।
এদিকে থানা ঘেরাওয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় দুই শতাধিক মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থানা চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলে এ সময় দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার তাদের আটকে দেন। পরে নেতাকর্মীরা থানা গেটের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা থানায় প্রবেশ করে ওসির সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন। আলোচনার পর আটক মানিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, দফায় দফায় দর্শনায় গুঞ্জন ছড়াচ্ছে যে, আওয়ামীলীগ-যুবলীগ সংগঠিত হচ্ছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে সরকারবিরোধী মিছিলের নামে সহিংস রূপ নিতে পারে। বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ায় তারা গোপনে মিটিং করছে, ফোনে যোগাযোগ করছে। এই গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা চত্বরে যায়। পরে থানা পুলিশকে তাদের বিষয়ে অবহিত করা হয় এবং গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়।
আটক মানিকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার বলেন, তিনি ছাত্রদলের সদস্য। পারিবারিক কিছু জটিলতার উভয়পক্ষই থানাতে অভিযোগ করেছিল বলে জেনেছি। এ কারণে তাকে আটক করা হয়েছে। যাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, তারাও মূলত মানিকের আত্মীয় এবং রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের অনুসারী।
দীর্ঘদিন ধরে এই পারিবারিক বিরোধ চলছিল, স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। আমরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে যাইনি বরং চাই প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। তবে আমরা থানায় অনুরোধ করেছি যেন তাকে এজাহারভুক্ত না করা হয় এবং মামলা না দেওয়া হয়, কারণ আমরা মনে করি সে নির্দোষ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস বলেন, থানা ঘেরাও এমন না। জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো গণ্ডগোল না হয় এ জন্য দর্শনা থানা পুলিশ একজনকে নিয়ে এসেছিল।
তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করবে মর্মে মুচলেকায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তার পক্ষের কয়েকজন প্রতিবাদ করেছে। থানা ঘেরাওয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ঘেরাও করে আটক ছাত্রদলের এক কর্মীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, শনিবার (৫ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টারের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলসহ থানার সামনে জড়ো হন। এরপরই ওসির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে আটক ছাত্রদল কর্মী মানিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে সরকার বিরোধী মিছিল বের করবে এমন খবরে তাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে থানা চত্বরে যায়। থানা ঘেরাও করে আটক কাউকে ছাড়াতে যায়নি।
পুলিশ বলছে, জমি-জমা সংক্রান্তের বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার পক্ষের কিছু লোকজন এসেছিল। থানা ঘেরাও এর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আটক মানিককে মুচলেকার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ এক প্রতিবেশীর সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সদস্য মানিকের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই প্রতিবেশী বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে বাড়ি ভাঙচুর ও মারামারির অভিযোগে শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে মানিককে আটক করে পুলিশ। সন্ধ্যার দিকে বিএনপির নেতারা থানায় গেলে তাকে ছাড়েনি ওসি। এরপর রাতেই প্রায় দুই শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে।
এদিকে থানা ঘেরাওয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রায় দুই শতাধিক মিছিলকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে থানা চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করলে এ সময় দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার তাদের আটকে দেন। পরে নেতাকর্মীরা থানা গেটের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতারা থানায় প্রবেশ করে ওসির সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন। আলোচনার পর আটক মানিককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, দফায় দফায় দর্শনায় গুঞ্জন ছড়াচ্ছে যে, আওয়ামীলীগ-যুবলীগ সংগঠিত হচ্ছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে সরকারবিরোধী মিছিলের নামে সহিংস রূপ নিতে পারে। বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ায় তারা গোপনে মিটিং করছে, ফোনে যোগাযোগ করছে। এই গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা চত্বরে যায়। পরে থানা পুলিশকে তাদের বিষয়ে অবহিত করা হয় এবং গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়।
আটক মানিকের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার বলেন, তিনি ছাত্রদলের সদস্য। পারিবারিক কিছু জটিলতার উভয়পক্ষই থানাতে অভিযোগ করেছিল বলে জেনেছি। এ কারণে তাকে আটক করা হয়েছে। যাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, তারাও মূলত মানিকের আত্মীয় এবং রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের অনুসারী।
দীর্ঘদিন ধরে এই পারিবারিক বিরোধ চলছিল, স্থানীয়ভাবে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। আমরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে যাইনি বরং চাই প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। তবে আমরা থানায় অনুরোধ করেছি যেন তাকে এজাহারভুক্ত না করা হয় এবং মামলা না দেওয়া হয়, কারণ আমরা মনে করি সে নির্দোষ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস বলেন, থানা ঘেরাও এমন না। জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো গণ্ডগোল না হয় এ জন্য দর্শনা থানা পুলিশ একজনকে নিয়ে এসেছিল।
তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করবে মর্মে মুচলেকায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তার পক্ষের কয়েকজন প্রতিবাদ করেছে। থানা ঘেরাওয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৯
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫৪
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৫২
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৯
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৮
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।
তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।
১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।
স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।
এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।
স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.