০৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০৬
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে তারা শুধু নিরাপদে অবস্থানই করছে না, 'দলীয় কার্যালয়' খুলে রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কলকাতা লাগোয়া একটি উপনগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে সেই কার্যালয়। সেখানে নিয়মিতিই ভিড় করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতারা।
বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই। আর বড় বৈঠকগুলো হত কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট 'পার্টি অফিস'এর দরকার ছিল বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।
কীরকম সেই 'পার্টি অফিস'?
একটি বাণিজ্যিক ভবনের আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সারি সারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। স্টে করিডোরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, পাঁচশো বা ছয়শো স্কোয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। সেখানে সেই কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বিবিসিকে বলেন, "কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি খুবই সচেতন ভাবে। আমরা চাইনি এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় কার্যালয়ে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।
ওই নেতা জানান, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই কার্যালয়ে করা যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনও হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ দুয়েক নেতাকর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্টুরেন্টের একটি অংশ ভাড়া নেওয়া হয়।
কারা যাতায়াত করেন 'পার্টি অফিসে'?
গত বছরের পাঁচই অগাস্টের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে এসেছেন ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছিল যে অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র সহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় ২০০ জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন।
এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারও পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন কাটিয়ে যান।
কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাস করছেন, তাদের প্রায় সবাই 'পার্টি অফিসে' যাতায়াত করে থাকেন।
আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘তবে অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার প্রতিদিনরই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস।’
বিবিসি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের এই নতুন পার্টি অফিসের ব্যাপারে ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না। দলেরও কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা এই অফিসেরে ব্যাপারে কতটা জানেন, সেটা জানা যায়নি। কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই অফিসের ব্যাপারে জানেন এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এই দলীয় অফিস থেকে আওয়ামী লীগের কাজকর্ম চলতে পারত না।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে তারা শুধু নিরাপদে অবস্থানই করছে না, 'দলীয় কার্যালয়' খুলে রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কলকাতা লাগোয়া একটি উপনগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে সেই কার্যালয়। সেখানে নিয়মিতিই ভিড় করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতারা।
বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে, ২০২৪ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই। আর বড় বৈঠকগুলো হত কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট 'পার্টি অফিস'এর দরকার ছিল বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।
কীরকম সেই 'পার্টি অফিস'?
একটি বাণিজ্যিক ভবনের আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সারি সারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। স্টে করিডোরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, পাঁচশো বা ছয়শো স্কোয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। সেখানে সেই কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বিবিসিকে বলেন, "কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি খুবই সচেতন ভাবে। আমরা চাইনি এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় কার্যালয়ে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।
ওই নেতা জানান, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই কার্যালয়ে করা যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনও হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ দুয়েক নেতাকর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্টুরেন্টের একটি অংশ ভাড়া নেওয়া হয়।
কারা যাতায়াত করেন 'পার্টি অফিসে'?
গত বছরের পাঁচই অগাস্টের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে এসেছেন ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছিল যে অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র সহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় ২০০ জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন।
এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারও পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন কাটিয়ে যান।
কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাস করছেন, তাদের প্রায় সবাই 'পার্টি অফিসে' যাতায়াত করে থাকেন।
আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘তবে অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার প্রতিদিনরই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস।’
বিবিসি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের এই নতুন পার্টি অফিসের ব্যাপারে ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না। দলেরও কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা এই অফিসেরে ব্যাপারে কতটা জানেন, সেটা জানা যায়নি। কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই অফিসের ব্যাপারে জানেন এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এই দলীয় অফিস থেকে আওয়ামী লীগের কাজকর্ম চলতে পারত না।
১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:২৯
সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পর ইসলামাবাদকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লা থেকে দেওেয়া ভাষণে মোদি বলেছেন, ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পানিচুক্তিতে সম্মত নয় বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি বণ্টনে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানায় ভারত।
তারই ধারাবাহিকতায় মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারতের অধিকারে থাকা পানি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করারও বিরোধিতা করেন তিনি।
মোদি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদীগুলো শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছিল, যখন আমাদের কৃষকরা পানি থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন, ভারতের পানির ভাগের ওপর অধিকার কেবল ভারত ও তার কৃষকদের।
কৃষকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকিরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। শত্রু (পাকিস্তান) যদি আর কোনো দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পর ইসলামাবাদকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লা থেকে দেওেয়া ভাষণে মোদি বলেছেন, ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পানিচুক্তিতে সম্মত নয় বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি বণ্টনে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানায় ভারত।
তারই ধারাবাহিকতায় মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারতের অধিকারে থাকা পানি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করারও বিরোধিতা করেন তিনি।
মোদি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদীগুলো শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছিল, যখন আমাদের কৃষকরা পানি থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন, ভারতের পানির ভাগের ওপর অধিকার কেবল ভারত ও তার কৃষকদের।
কৃষকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকিরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। শত্রু (পাকিস্তান) যদি আর কোনো দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০৫
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী, তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বিক্ষোভ থেকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।
দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্নাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে। গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী, তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বিক্ষোভ থেকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।
দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্নাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে। গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।
১১ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫১
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফসহ তার আরও চার সহকর্মীকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গাজায় তারা একটি তাবুতে ছিল। সেখানেই লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর: সিএনএন।
রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজার আল শিফা হাসপাতালের প্রধান গেটে চালানো ইসরায়েলের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন- আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল এবং মোয়ামেন আলিয়া।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার আগে আল জাজিরার আরবি ভার্সনের প্রতিনিধি ২৮ বছর বসয়ী আল-শরীফ এক্স পোস্টে বলেন, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্রভাবে বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যা ‘ফায়ার বেল্ট’ নামেও পরিচিত।
তার ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েল ভয়াবহভাবে হামলা চালাচ্ছে। ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে বোমা হামলার শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া অন্ধাকারাছন্ন আকাশ ইসরায়েলের হামলায় মুহূর্তেই কমলা রং ধারণা করেছে।
এক বিবৃতিতে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আরেকটি প্রকাশ্য ও পরিকল্পিত আঘাত’ বলে অভিহিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহ পরিণতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে ক্রমাগত বেসামরিক মানুষদের হত্যা, বাধ্যতামূলকভাবে অনাহারে রাখা এবং পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার অন্যতম সাহসী সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও তার সহকর্মীদের হত্যা গাজা দখল ও দমন করার আসন্ন পরিকল্পনা ফাঁস করে দেওয়া কণ্ঠস্বরগুলোকে চিরতরে স্তব্ধ করার এক মরিয়া প্রচেষ্টা।’
নিহত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে, আল-শরীফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, ‘‘যদি এই উন্মাদনা বন্ধ না হয়, তাহলে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, এখানকার জনগণের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে যাবে হবে এবং ইতিহাস আপনাকে সেই গণহত্যার নীরব সাক্ষী হিসেবে স্মরণ করবে যা আপনি থামাতে চাননি।’’
আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, আল-শরীফ যখন হাসপাতালের প্রবেশপথের কাছে অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আল-শরীফকে গাজায় হামাসের একটি সেলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যারা ‘‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়েছে।’’
আইডিএফ পূর্বে এমন নথি দেখিয়েছিল যা হামাসের সঙ্গে আল-শরীফের সম্পর্কের ‘‘স্পষ্ট প্রমাণ’’ দেখায় বলে দাবি করেছিল। হামলার পর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আইডিএফ পূর্বে গোয়েন্দা তথ্য এবং গাজা উপত্যকায় পাওয়া অনেক নথি প্রকাশ করেছিল, যা হামাসের সঙ্গে তার সামরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।’’
তবে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের বিশ্লেষক মুহাম্মদ শেহাদা আল জাজিরাকে বলেন, আল-শরীফের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ‘কোনো ধরনের প্রমাণ নেই’। তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিলো তার প্রতিদিনের রুটিন।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফসহ তার আরও চার সহকর্মীকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গাজায় তারা একটি তাবুতে ছিল। সেখানেই লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর: সিএনএন।
রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজার আল শিফা হাসপাতালের প্রধান গেটে চালানো ইসরায়েলের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন- আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল এবং মোয়ামেন আলিয়া।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার আগে আল জাজিরার আরবি ভার্সনের প্রতিনিধি ২৮ বছর বসয়ী আল-শরীফ এক্স পোস্টে বলেন, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্রভাবে বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যা ‘ফায়ার বেল্ট’ নামেও পরিচিত।
তার ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েল ভয়াবহভাবে হামলা চালাচ্ছে। ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে বোমা হামলার শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া অন্ধাকারাছন্ন আকাশ ইসরায়েলের হামলায় মুহূর্তেই কমলা রং ধারণা করেছে।
এক বিবৃতিতে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আরেকটি প্রকাশ্য ও পরিকল্পিত আঘাত’ বলে অভিহিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহ পরিণতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে ক্রমাগত বেসামরিক মানুষদের হত্যা, বাধ্যতামূলকভাবে অনাহারে রাখা এবং পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার অন্যতম সাহসী সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও তার সহকর্মীদের হত্যা গাজা দখল ও দমন করার আসন্ন পরিকল্পনা ফাঁস করে দেওয়া কণ্ঠস্বরগুলোকে চিরতরে স্তব্ধ করার এক মরিয়া প্রচেষ্টা।’
নিহত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে, আল-শরীফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, ‘‘যদি এই উন্মাদনা বন্ধ না হয়, তাহলে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, এখানকার জনগণের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে যাবে হবে এবং ইতিহাস আপনাকে সেই গণহত্যার নীরব সাক্ষী হিসেবে স্মরণ করবে যা আপনি থামাতে চাননি।’’
আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, আল-শরীফ যখন হাসপাতালের প্রবেশপথের কাছে অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আল-শরীফকে গাজায় হামাসের একটি সেলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যারা ‘‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়েছে।’’
আইডিএফ পূর্বে এমন নথি দেখিয়েছিল যা হামাসের সঙ্গে আল-শরীফের সম্পর্কের ‘‘স্পষ্ট প্রমাণ’’ দেখায় বলে দাবি করেছিল। হামলার পর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আইডিএফ পূর্বে গোয়েন্দা তথ্য এবং গাজা উপত্যকায় পাওয়া অনেক নথি প্রকাশ করেছিল, যা হামাসের সঙ্গে তার সামরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।’’
তবে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের বিশ্লেষক মুহাম্মদ শেহাদা আল জাজিরাকে বলেন, আল-শরীফের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ‘কোনো ধরনের প্রমাণ নেই’। তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিলো তার প্রতিদিনের রুটিন।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.