০৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৬
রাজশাহীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পাশের একটি ভবনে ইউনিয়ন সাব-পোস্ট অফিস। এটি মূলত পোস্ট অফিসের কার্যালয় হলেও সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম নেই। বরং চলে মোবাইল সার্ভিসিং।
জানা যায়, পোস্ট মাস্টার অবৈধভাবে অফিস ভাড়া দিয়ে পোস্ট অফিসকে এ সার্ভিসিং সেন্টার বানিয়েছেন। ফলে এখান থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে ভাড়ার টাকা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি অবৈধ কাজ। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পাশে এ সাব-পোস্ট অফিসের অবস্থান। অফিসের সামনে রয়েছে একটি চিঠির বাক্স রয়েছে। মূলত এই চিঠির বাক্স দেখেই আঁচ করা যায়-এটি একটি পোস্ট অফিস। কিন্তু সেখানে দেখা গেল, ভিন্ন চিত্র। ভবনটি পোস্ট অফিস হলেও তা রুবেল নামের এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি এটি ব্যবহার করছেন একটি পূর্ণাঙ্গ মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার হিসেবে।
অফিসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিস ভবনের বারান্দায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন মালপত্রের বস্তা। ভেতরে একটি বড় রুম। এক কোনে টেবিল-চেয়ার, তার ওপরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু নথিপত্র। ড্রয়ারে ঝুলছে তালা।
মেঝেতে ও টেবিলের ওপর জমেছে ধুলা আর শ্যাওলা। আর বাকিটা জায়গাজুড়ে সাজানো মোবাইল ফোন, চার্জার, পাখার যন্ত্রাংশসহ ইলেকট্রনিক পণ্যের পসরা। পাশেই একটি চেয়ারে বসে আছেন দোকানদার রুবেল। তিনি একদিকে মোবাইল ঠিক করছেন, অন্যদিকে ছবি তোলার যন্ত্রপাতি মেলে রেখেছেন।
সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ডাক বিভাগের কার্যক্রম চলার কথা, সেখানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কার্যক্রম চলার কারণে স্থানীয়রাও বেশ ক্ষিপ্ত। তারা জানান, পোস্ট অফিসটি দীর্ঘদিন কার্যত অচল থাকায় এখানকার ডাক যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এটি ব্যক্তিগতভাবে একজনকে দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নিশান আলী বলেন, ‘পোস্ট অফিসটি যখন ব্যক্তিগত দোকান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে বোঝেই যায় কী অব্যবস্থা চলছে। অথচ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখা আছে, এসবের কোনো নিরাপত্তা নেই।’
শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন বলেন, ‘চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে একটিই পোস্ট অফিস আছে কিন্তু সেটিও দোকান হয়ে গেছে। বিষয়টি লজ্জাজনক। সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা কোথায় রাখব?’
ভাড়া নেওয়া দোকানি মো. রুবেল বলেন, ‘আমি কোনো উদ্যোক্তা নই। আমাকে অফিসটি দেখাশোনা করতে বলেছেন পোস্টমাস্টার। আমি এখানে মোবাইল ঠিক করি। কোনো মাসে ৪০০ কোন মাসে ৫০০ টাকা ভাড়া দেই। পোস্টমাস্টার আমাকে এখানে বসতে দিয়েছেন। তিনি বললে আমি চলে যাব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী চর আষাড়িয়াদহ সাব-পোস্ট অফিসের মাস্টার গোলাম জার্জিস বলেন, ‘আমার এখানে কোনো উদ্যোক্তা নেই। তাই এখানে একজনকে আমি কাজের জন্য বলেছি। মূলত সেই এখানে দোকান করে।’
তিনি বলেন, তার যে কাজ, সে সেটি করছে না। সে মোবাইলের দোকান করছে। আমি তাকে কয়েক দফা অফিস ছাড়তে বলেছি, কিন্তু এখনো ছাড়েনি। তবে দ্রুত সে এখান থেকে চলে যাবে। আর দোকান ভাড়ার টাকা থেকে আমি প্রতি মাসে ১০০ টাকা সরকারি অফিসে জমা দেই।’
উত্তর অঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ভবন কোনোভাবেই ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। এটি অবৈধ। তবে উদ্যোক্তাকে দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তার নিয়োগ থাকতে হবে। তিনিও আমাদের নির্ধারিত বেশকিছু সেবা দিতে পারেন। তবে মোবাইল সার্ভিসিংয়ে কথা তো জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এখনই এটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি।’
রাজশাহীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পাশের একটি ভবনে ইউনিয়ন সাব-পোস্ট অফিস। এটি মূলত পোস্ট অফিসের কার্যালয় হলেও সেখানে এ সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম নেই। বরং চলে মোবাইল সার্ভিসিং।
জানা যায়, পোস্ট মাস্টার অবৈধভাবে অফিস ভাড়া দিয়ে পোস্ট অফিসকে এ সার্ভিসিং সেন্টার বানিয়েছেন। ফলে এখান থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে ভাড়ার টাকা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি অবৈধ কাজ। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের পাশে এ সাব-পোস্ট অফিসের অবস্থান। অফিসের সামনে রয়েছে একটি চিঠির বাক্স রয়েছে। মূলত এই চিঠির বাক্স দেখেই আঁচ করা যায়-এটি একটি পোস্ট অফিস। কিন্তু সেখানে দেখা গেল, ভিন্ন চিত্র। ভবনটি পোস্ট অফিস হলেও তা রুবেল নামের এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তিনি এটি ব্যবহার করছেন একটি পূর্ণাঙ্গ মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার হিসেবে।
অফিসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিস ভবনের বারান্দায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন মালপত্রের বস্তা। ভেতরে একটি বড় রুম। এক কোনে টেবিল-চেয়ার, তার ওপরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু নথিপত্র। ড্রয়ারে ঝুলছে তালা।
মেঝেতে ও টেবিলের ওপর জমেছে ধুলা আর শ্যাওলা। আর বাকিটা জায়গাজুড়ে সাজানো মোবাইল ফোন, চার্জার, পাখার যন্ত্রাংশসহ ইলেকট্রনিক পণ্যের পসরা। পাশেই একটি চেয়ারে বসে আছেন দোকানদার রুবেল। তিনি একদিকে মোবাইল ঠিক করছেন, অন্যদিকে ছবি তোলার যন্ত্রপাতি মেলে রেখেছেন।
সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ডাক বিভাগের কার্যক্রম চলার কথা, সেখানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কার্যক্রম চলার কারণে স্থানীয়রাও বেশ ক্ষিপ্ত। তারা জানান, পোস্ট অফিসটি দীর্ঘদিন কার্যত অচল থাকায় এখানকার ডাক যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এটি ব্যক্তিগতভাবে একজনকে দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নিশান আলী বলেন, ‘পোস্ট অফিসটি যখন ব্যক্তিগত দোকান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে বোঝেই যায় কী অব্যবস্থা চলছে। অথচ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রাখা আছে, এসবের কোনো নিরাপত্তা নেই।’
শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন বলেন, ‘চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে একটিই পোস্ট অফিস আছে কিন্তু সেটিও দোকান হয়ে গেছে। বিষয়টি লজ্জাজনক। সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা কোথায় রাখব?’
ভাড়া নেওয়া দোকানি মো. রুবেল বলেন, ‘আমি কোনো উদ্যোক্তা নই। আমাকে অফিসটি দেখাশোনা করতে বলেছেন পোস্টমাস্টার। আমি এখানে মোবাইল ঠিক করি। কোনো মাসে ৪০০ কোন মাসে ৫০০ টাকা ভাড়া দেই। পোস্টমাস্টার আমাকে এখানে বসতে দিয়েছেন। তিনি বললে আমি চলে যাব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী চর আষাড়িয়াদহ সাব-পোস্ট অফিসের মাস্টার গোলাম জার্জিস বলেন, ‘আমার এখানে কোনো উদ্যোক্তা নেই। তাই এখানে একজনকে আমি কাজের জন্য বলেছি। মূলত সেই এখানে দোকান করে।’
তিনি বলেন, তার যে কাজ, সে সেটি করছে না। সে মোবাইলের দোকান করছে। আমি তাকে কয়েক দফা অফিস ছাড়তে বলেছি, কিন্তু এখনো ছাড়েনি। তবে দ্রুত সে এখান থেকে চলে যাবে। আর দোকান ভাড়ার টাকা থেকে আমি প্রতি মাসে ১০০ টাকা সরকারি অফিসে জমা দেই।’
উত্তর অঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ভবন কোনোভাবেই ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। এটি অবৈধ। তবে উদ্যোক্তাকে দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তার নিয়োগ থাকতে হবে। তিনিও আমাদের নির্ধারিত বেশকিছু সেবা দিতে পারেন। তবে মোবাইল সার্ভিসিংয়ে কথা তো জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এখনই এটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি।’
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ আসার আগেই কোনোরকমে ঝটিকা মিছিল দিয়ে সটকে পড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঝটিকা মিছিল করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শুরুর আগে কয়েকশ ব্যক্তি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রভঙ্গ হয়ে অবস্থান নেন। পরে হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করেন। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরপর মিছিলকারীরা প্রায় ২০-৩০ মিনিট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়েন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ আসার আগেই কোনোরকমে ঝটিকা মিছিল দিয়ে সটকে পড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঝটিকা মিছিল করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শুরুর আগে কয়েকশ ব্যক্তি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রভঙ্গ হয়ে অবস্থান নেন। পরে হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করেন। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরপর মিছিলকারীরা প্রায় ২০-৩০ মিনিট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়েন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৪৮
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক থেকে একটি এয়ার পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড এয়ার পেলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল আইসিপির মেইন গেটে ভারতীয় ট্রাকে তল্লাশি শেষে তাদের আটক করা হয়। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের জাস পাল সালুজার ছেলে ট্রাকচালক গুরজীত সালুজা (৩১) ও ট্রাকের হেল্পার ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের মালকিয়া নাওয়াদির ছেলে রাম দাস নাওয়াদি (২৪)।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত মেইন পিলার ১৮/৩ এস থেকে প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি। এ সময় কাঁচা মরিচবাহী ওই ট্রাক থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য এয়ার পিস্তল ও পেলেট উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে একটি এয়ার পিস্তল ও কিছু গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল আইসিপিতে নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক থেকে এয়ার পিস্তল ও পেলেট জব্দসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র বা এ ধরনের পণ্য আনার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক থেকে একটি এয়ার পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড এয়ার পেলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল আইসিপির মেইন গেটে ভারতীয় ট্রাকে তল্লাশি শেষে তাদের আটক করা হয়। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের জাস পাল সালুজার ছেলে ট্রাকচালক গুরজীত সালুজা (৩১) ও ট্রাকের হেল্পার ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের মালকিয়া নাওয়াদির ছেলে রাম দাস নাওয়াদি (২৪)।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত মেইন পিলার ১৮/৩ এস থেকে প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি। এ সময় কাঁচা মরিচবাহী ওই ট্রাক থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য এয়ার পিস্তল ও পেলেট উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে একটি এয়ার পিস্তল ও কিছু গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল আইসিপিতে নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক থেকে এয়ার পিস্তল ও পেলেট জব্দসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র বা এ ধরনের পণ্য আনার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:১৯
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং করতে গিয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার মো. বক্কারের ছেলে আরিফ ওরফে কাজল (২২) ও পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার অসিত বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাস (১৭)।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার মৃত- মজিবর রহমানের ছেলে শাওন (২১)। তবে পালপাড়ার জয়পদেবের ছেলে দীপ (২১) অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু পাংশা থেকে রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ী থেকে পাংশা পর্যন্ত রেসিং করছিল। শেষবার তারা কালুখালীর দিক থেকে পাংশা আশার পথে বাংলাদেশ হাট নামক এলাকায় আসলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ লাগে। এ সময় তারা সড়কে ছিটকে পড়লে অজ্ঞাত গাড়ির নিয়ে তিনজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দ্রুত গতির গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং করতে গিয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার মো. বক্কারের ছেলে আরিফ ওরফে কাজল (২২) ও পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার অসিত বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাস (১৭)।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার মৃত- মজিবর রহমানের ছেলে শাওন (২১)। তবে পালপাড়ার জয়পদেবের ছেলে দীপ (২১) অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু পাংশা থেকে রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ী থেকে পাংশা পর্যন্ত রেসিং করছিল। শেষবার তারা কালুখালীর দিক থেকে পাংশা আশার পথে বাংলাদেশ হাট নামক এলাকায় আসলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ লাগে। এ সময় তারা সড়কে ছিটকে পড়লে অজ্ঞাত গাড়ির নিয়ে তিনজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দ্রুত গতির গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.