Bkash

সারাদেশ

ইমামতি না করেও শ্রেষ্ঠ ইমাম হলেন জসিম উদ্দিন

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৯ জুলাই, ২০২৫ ১৪:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ইমামতি না করেও শ্রেষ্ঠ ইমাম হলেন জসিম উদ্দিন

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিনকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইমামের সম্মাননা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে তিনি কোনো মসজিদের ইমাম নন। তাকে যে মসজিদের ইমাম হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ইমামতি করছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম নামের একজন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, মো. জসিম উদ্দিন বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদভিত্তিক সহজ কোরআন শিক্ষা বিভাগের উপজেলা শাখার মডেল কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

গত ২৯ জুন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন হয়। সেখানে জসিম উদ্দিনকে নেত্রকোনা জেলার শ্রেষ্ঠ ইমামের সম্মাননা, সনদ ও সম্মাননার চেক দেওয়া হয়।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন তালুকদারকে শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হওয়ায় ফুল দিয়ে বরণ ও সম্মাননা পাওয়ার ছবিটি পোস্ট করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

নেত্রকোনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচনের জন্য জেলার ১০টি উপজেলা থেকে ২০ জন করে মোট ২০০ জন ইমামের তালিকা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এতে জসিম উদ্দিন নিজেকে বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে উল্লেখ করেন।

চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক শফিকুর রহমান সরকার ইমামদের তালিকাগুলো যাচাই-বাছাই করে জসিম উদ্দিনসহ তিনজনকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচন করে তালিকা বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠান। সেখান থেকে তালিকা যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঢাকার কার্যালয়ে। গত ২৯ জুন রাজধানীতে ধর্ম উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে জসিম উদ্দিনসহ তিনজনকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইমামের সম্মাননা দেওয়া হয়।

সরেজমিন জানা গেছে, জসিম উদ্দিন যে মসজিদের ইমাম হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন, সেই মসজিদে ২০১৪ সাল থেকে ইমামতি করেন রফিকুল ইসলাম জিহাদী নামের এক মাওলানা। তিনি নিজেও বিক্রমশ্রী গ্রামের বাসিন্দা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘসময় ধরে ইমামতি করেও তালিকায় আমাদের নাম নেই। জসিম উদ্দিন কোথাও ইমামতি করেন না। অথচ যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক। পেশাদার ইমামদের এ সম্মাননা দেওয়া হলে ইমামদের মধ্যে উৎসাহ বেড়ে যেত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি এমন করে, তাহলে মানুষের ভরসার আর জায়গা কোথায়?

আছাব উদ্দিন নামের এক প্রতিবেশী বলেন, জসিম ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। পাশাপাশি রাজনীতি করেন; কিন্তু ইমামতি করেন না। আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে এলাকার সবাইকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।

বারহাট্টা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাহবুব আলম কাজল বলেন, জসিম উদ্দিন উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছেন। এখন আবার হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনসহ অনেক দলের নেতা তিনি। জসিম উদ্দিন কোনো দিনও ইমামতির দায়িত্ব পালন করেননি। তবুও ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাকে কীভাবে জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচন করল, বুঝতে পারছি না।

জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে কমপক্ষে ১৫টি প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ইমামতি করিনি, এটা সঠিক নয়। অনেক আগে জেলা সদর ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভেতরের মসজিদে ইমামতি করেছি। জেলা ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। এক সময় জেলা ছাত্রদলের পদে ছিলাম। আওয়ামী লীগের আমলে ১৭টি মামলার আসামি হয়েছি। গ্রেপ্তার হয়েছি, জেল খেটেছি। একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছি। পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনের পদেও আছি।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নেত্রকোনা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে যোগদান করেছি গত ফেব্রুয়ারিতে। ইমাম নির্বাচনের কাজটি করেছেন আগের উপপরিচালক শফিকুর রহমান সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে তিনি বরখাস্ত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা প্রথমে বাছাই করে ২০ জনের তালিকা জেলায় পাঠায়। পরে জেলা কার্যালয় থেকে একজনের নাম চূড়ান্ত করে ঢাকার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগে শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগে শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।

ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।

তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

নিজের ছোড়া ককটেলে ডাকাত নিহত, গণপিটুনিতে আহত ২

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নিজের ছোড়া ককটেলে ডাকাত নিহত, গণপিটুনিতে আহত ২

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।

স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।

এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।

স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।

নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.