০৫ জুলাই, ২০২৫ ১১:৪৪
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত আরও ৬২৫ বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে তুর্কিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। শুক্রবারের হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ৩৫টির বেশি রক্তাক্ত গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই আমেরিকার মধ্যস্থতায় দখলদার নেতানিয়াহু প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গাজার শাসক দল হামাসের আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের হামাস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন- ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলোতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও জানান, দুই মাস সময়ের মধ্যে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রটি যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চলবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বারবার বলেছেন, হামাসকে অবশ্যই অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। যদিও তার এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে এখন পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানিয়েছে গাজার শাসক দলটি।
ওয়াশিংটনে আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। হোয়াইট হাউজে শুক্রবার সকালে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমরা জানতে পারব।’
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ অবকাঠামো।
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শেষ ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত আরও ৬২৫ বেসামরিক মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে তুর্কিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। শুক্রবারের হামলায় অন্তত শতাধিক মরদেহ ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের হামলার পর গাজায় গত ২১ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ৩৫টির বেশি রক্তাক্ত গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই আমেরিকার মধ্যস্থতায় দখলদার নেতানিয়াহু প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গাজার শাসক দল হামাসের আলোচনা চলছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের হামাস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন বন্ধের জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার জানিয়েছেন- ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার অত্যাবশ্যকীয় শর্তগুলোতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তিনি আরও জানান, দুই মাস সময়ের মধ্যে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্রটি যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা চলবে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বারবার বলেছেন, হামাসকে অবশ্যই অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। যদিও তার এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে এখন পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানিয়েছে গাজার শাসক দলটি।
ওয়াশিংটনে আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। হোয়াইট হাউজে শুক্রবার সকালে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমরা জানতে পারব।’
অন্যদিকে, গাজার মিডিয়া অফিস আগেই জানিয়েছে- ইসরায়েলি সেনারা উত্তর গাজা অঞ্চলের এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার ৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে গাজা সিটির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামোই নেই।
এদিকে দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘের মতে, দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ অবকাঠামো।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৮
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:৩৮
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:০৩
আগামী সোমবার মুক্তি পেতে পারেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে জিম্মি থাকা সকল ইসরায়েলি সেনারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জীবিত সৈন্যসহ নিহত মরদেহও হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে চুক্তিতে জানানো হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর হামাসের হাতে থাকবে মাত্র ৭২ ঘন্টা। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলেও এ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, জীবিত-মৃতসহ বর্তমানে হামাসের কাছে এখনো ৪৮ জিম্মি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ জন অন্তত জীবিত বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, হামাস-ইসরায়েল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তি পাবে সব ইসরায়েলি জিম্মি। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পাবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরাও নিশ্চিত করেছেন বলে জানা যায়।
আগামী সোমবার মুক্তি পেতে পারেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে জিম্মি থাকা সকল ইসরায়েলি সেনারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জীবিত সৈন্যসহ নিহত মরদেহও হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে চুক্তিতে জানানো হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর হামাসের হাতে থাকবে মাত্র ৭২ ঘন্টা। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলেও এ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, জীবিত-মৃতসহ বর্তমানে হামাসের কাছে এখনো ৪৮ জিম্মি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ জন অন্তত জীবিত বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, হামাস-ইসরায়েল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তি পাবে সব ইসরায়েলি জিম্মি। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পাবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরাও নিশ্চিত করেছেন বলে জানা যায়।
০৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২১
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্নদ্বারা জেলায় ‘কোল্ডরিফ’ নামে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ শিশু মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, কোল্ডরিফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত সীমার তুলনায় অনেক বেশি থাকার কারণে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার (৪ অক্টোবর) করা পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত কোল্ডরিফ কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার অনেক বেশি ছিল। এর ফলে শিশুদের শরীরে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়।
ছিন্নদ্বারা জেলার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পারাসিয়া থানা কর্তৃক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৫, ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ধারা ২৭এ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া প্রভীন সোনি নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি কোল্ডরিফ সিরাপটি শিশুদের পান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তামিলনাড়ুর ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউস সিল করা হয়েছে। শিশুর মৃত্যু প্রকাশের পর রোববার থেকে অনেক ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে।
ছিন্নদ্বারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই সিরাপ খেয়ে চণ্ডীওয়াড়া জেলায় আরও ৮ শিশু অসুস্থ হয়েছেন।
তারা বর্তমানে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রশাসন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বজায় রাখবে।
এদিকে, রাজনৈতিকভাবে সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, যে ওষুধটি অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ, তা কীভাবে মধ্যপ্রদেশের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে?
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্নদ্বারা জেলায় ‘কোল্ডরিফ’ নামে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ শিশু মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, কোল্ডরিফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত সীমার তুলনায় অনেক বেশি থাকার কারণে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার (৪ অক্টোবর) করা পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত কোল্ডরিফ কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার অনেক বেশি ছিল। এর ফলে শিশুদের শরীরে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়।
ছিন্নদ্বারা জেলার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পারাসিয়া থানা কর্তৃক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৫, ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ধারা ২৭এ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া প্রভীন সোনি নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি কোল্ডরিফ সিরাপটি শিশুদের পান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তামিলনাড়ুর ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউস সিল করা হয়েছে। শিশুর মৃত্যু প্রকাশের পর রোববার থেকে অনেক ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে।
ছিন্নদ্বারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই সিরাপ খেয়ে চণ্ডীওয়াড়া জেলায় আরও ৮ শিশু অসুস্থ হয়েছেন।
তারা বর্তমানে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রশাসন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বজায় রাখবে।
এদিকে, রাজনৈতিকভাবে সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, যে ওষুধটি অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ, তা কীভাবে মধ্যপ্রদেশের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে?
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.