২১ জুন, ২০২৫ ২১:০৭
মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের দমন-পীড়নের ইতিহাস নতুন নয়। এ অত্যাচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তা আরও উন্মোচিত হয়েছে। দমন‑পীড়নের এই ধারাবাহিকতা এখন শুধু ফিলিস্তিনেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ‑আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা—সবই প্রশ্নের মুখে।
ইসরায়েল যখনই সুযোগ পেয়েছে মুসলিমদের স্বার্থের ওপর আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা যেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে সেখানেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের থামাতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েল। এমনকি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালাতেও দ্বিধা করেনি তারা। সম্প্রতি গাজায় গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানে হামলা আমাদের ইসরায়েলের সেই এজেন্ডাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ইরানে সামরিক অভিযান: ‘নিরাপত্তা’র নামে নিধন
ইরানের নাতানজ, ইসফাহান ও আরাকের মতো পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ১৩ জুনের ‘অপারেশনাল হামলা’ উত্তেজনাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। প্রায় ২০০টি ফাইটার জেট ব্যবহার করে চালানো এই অভিযানে ৬০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু এবং প্রায় ১,৩০০ জনের আহত হওয়া ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনার নিষ্ঠুর দিকটাই তুলে ধরে। এই আক্রমণ শুধু ইরানের সামরিক পরিকাঠামো নয়, বেসামরিক জনগণের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থামাতেই এসব অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র লক্ষ্য করলেও প্রাথমিক আঘাত এসে পড়ে হাসপাতাল, গবেষণাগার, এমনকি আবাসিক এলাকায়। এতে বোঝা যায়, ‘সামরিক অভিযান’-এর আড়ালে রয়েছে মুসলিমপ্রধান একটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তোলার সুস্পষ্ট কৌশল।
ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়
গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুধু আরেকটি সীমান্ত দ্বন্দ্ব নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। নির্বিচারে গ্রেনেড, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বর্ষণের ফলে নিহত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল—সবই হামলার আওতায় পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত সতর্ক করলেও বাস্তবে পরিবর্তন নেই। বরং, ইসরায়েলের দমননীতিকে বৈধতা দিতে পশ্চিমা দেশের নীরবতা এই হত্যাযজ্ঞকে আরও উৎসাহিত করছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মুসলিম নাগরিকদের অবস্থা
এমনকি ইসরায়েলের ভেতরে বসবাসরত মুসলিম নাগরিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাইফা, তামরা, আরবা, লদসহ মুসলিম অধ্যুষিত শহরগুলোতে নেই আশ্রয়কেন্দ্র বা জরুরি সেবা। ‘একই দেশের নাগরিক’ হয়েও তাদের প্রতি সরকারের অবহেলা স্পষ্ট। হাইফার একটি মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার ঘটনায় কাঠামোগত ক্ষতি কম হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে ছিল বড় ধাক্কা। এই বৈষম্য কেবল সামাজিক নয়, রাজনৈতিকও, যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ভেতরেই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য প্রমাণ করে।
লেবাননের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও হিজবুল্লাহ প্রসঙ্গ
লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের বহু পুরোনো দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে হিজবুল্লাহকে ঘিরে। ২০০৬ সালের যুদ্ধের জের আজও রয়ে গেছে সীমান্তে। গাজা যুদ্ধের পর নতুন করে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ, পাল্টা আক্রমণ করছে ইসরায়েলও। এতে সীমান্তের হাজারো সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে ইরান-হিজবুল্লাহ সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ইসরায়েলের মুসলিমবিরোধী যুদ্ধকে আরও আঞ্চলিক রূপ দিয়েছে।
বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র ও ইসলামভীতি
ইসরায়েল কেবল সামরিক নয়, তথ্যপ্রযুক্তির হাতিয়ারে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা, নজরদারি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমা দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে ইসলামভীতির (ইসলামোফোবিয়া) সংস্কৃতি তৈরি করছে। এটি মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ—যার লক্ষ্য মুসলিম সমাজকে ভেতর থেকে দুর্বল করা।
ধর্মীয় অনুভূতির ওপর হামলা
ইসরায়েলি নীতির আরেকটি দিক হলো ধর্মীয় অনুভূতির ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। মসজিদে হামলা, কোরআন অবমাননা, পোশাক নিয়ে বিদ্রুপ—এসব ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অবমাননা নয়; বরং বৈশ্বিক ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর হুমকি।
মুসলিম দেশগুলোতে ‘টার্গেটেড কিলিং’
ইসরায়েল বর্তমানে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করার নীতিতে বিশ্বাস করছে। হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লাহ, আইআরজিসি—এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহেই অনেককে হত্যা করা হচ্ছে। কিছু মানুষ ছিলেন সাংবাদিক, কেউ গবেষক, যাদের বিরুদ্ধে বিচার ছাড়াই প্রাণহানি ঘটছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালাই ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পরিশেষে, ইসরায়েল বর্তমানে কেবল একটি রাষ্ট্র নয়; বরং একটি কৌশলগত ব্যবস্থা—যার কেন্দ্রে রয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দুর্বল করা। এটি সামরিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় সব মাত্রাতেই সক্রিয়। মুসলিম বিশ্বের সামনে এখন বড় প্রশ্ন—এই নিপীড়নকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়? কূটনৈতিকভাবে? সামরিকভাবে? নাকি ঐক্যের ভিত্তিতে?
যে বাস্তবতায় ঘরে-বাইরে মুসলিমরা একে একে ইসরায়েলের নিশানা হয়ে উঠছে, সে বাস্তবতা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা বিশ্বমানবতার অস্তিত্বের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ।
মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের দমন-পীড়নের ইতিহাস নতুন নয়। এ অত্যাচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তা আরও উন্মোচিত হয়েছে। দমন‑পীড়নের এই ধারাবাহিকতা এখন শুধু ফিলিস্তিনেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ‑আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা—সবই প্রশ্নের মুখে।
ইসরায়েল যখনই সুযোগ পেয়েছে মুসলিমদের স্বার্থের ওপর আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা যেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে সেখানেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের থামাতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েল। এমনকি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালাতেও দ্বিধা করেনি তারা। সম্প্রতি গাজায় গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানে হামলা আমাদের ইসরায়েলের সেই এজেন্ডাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ইরানে সামরিক অভিযান: ‘নিরাপত্তা’র নামে নিধন
ইরানের নাতানজ, ইসফাহান ও আরাকের মতো পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ১৩ জুনের ‘অপারেশনাল হামলা’ উত্তেজনাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। প্রায় ২০০টি ফাইটার জেট ব্যবহার করে চালানো এই অভিযানে ৬০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু এবং প্রায় ১,৩০০ জনের আহত হওয়া ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনার নিষ্ঠুর দিকটাই তুলে ধরে। এই আক্রমণ শুধু ইরানের সামরিক পরিকাঠামো নয়, বেসামরিক জনগণের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থামাতেই এসব অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র লক্ষ্য করলেও প্রাথমিক আঘাত এসে পড়ে হাসপাতাল, গবেষণাগার, এমনকি আবাসিক এলাকায়। এতে বোঝা যায়, ‘সামরিক অভিযান’-এর আড়ালে রয়েছে মুসলিমপ্রধান একটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তোলার সুস্পষ্ট কৌশল।
ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়
গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুধু আরেকটি সীমান্ত দ্বন্দ্ব নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। নির্বিচারে গ্রেনেড, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বর্ষণের ফলে নিহত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল—সবই হামলার আওতায় পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত সতর্ক করলেও বাস্তবে পরিবর্তন নেই। বরং, ইসরায়েলের দমননীতিকে বৈধতা দিতে পশ্চিমা দেশের নীরবতা এই হত্যাযজ্ঞকে আরও উৎসাহিত করছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মুসলিম নাগরিকদের অবস্থা
এমনকি ইসরায়েলের ভেতরে বসবাসরত মুসলিম নাগরিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাইফা, তামরা, আরবা, লদসহ মুসলিম অধ্যুষিত শহরগুলোতে নেই আশ্রয়কেন্দ্র বা জরুরি সেবা। ‘একই দেশের নাগরিক’ হয়েও তাদের প্রতি সরকারের অবহেলা স্পষ্ট। হাইফার একটি মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার ঘটনায় কাঠামোগত ক্ষতি কম হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে ছিল বড় ধাক্কা। এই বৈষম্য কেবল সামাজিক নয়, রাজনৈতিকও, যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ভেতরেই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য প্রমাণ করে।
লেবাননের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও হিজবুল্লাহ প্রসঙ্গ
লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের বহু পুরোনো দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে হিজবুল্লাহকে ঘিরে। ২০০৬ সালের যুদ্ধের জের আজও রয়ে গেছে সীমান্তে। গাজা যুদ্ধের পর নতুন করে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ, পাল্টা আক্রমণ করছে ইসরায়েলও। এতে সীমান্তের হাজারো সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে ইরান-হিজবুল্লাহ সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ইসরায়েলের মুসলিমবিরোধী যুদ্ধকে আরও আঞ্চলিক রূপ দিয়েছে।
বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র ও ইসলামভীতি
ইসরায়েল কেবল সামরিক নয়, তথ্যপ্রযুক্তির হাতিয়ারে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা, নজরদারি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমা দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে ইসলামভীতির (ইসলামোফোবিয়া) সংস্কৃতি তৈরি করছে। এটি মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ—যার লক্ষ্য মুসলিম সমাজকে ভেতর থেকে দুর্বল করা।
ধর্মীয় অনুভূতির ওপর হামলা
ইসরায়েলি নীতির আরেকটি দিক হলো ধর্মীয় অনুভূতির ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। মসজিদে হামলা, কোরআন অবমাননা, পোশাক নিয়ে বিদ্রুপ—এসব ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অবমাননা নয়; বরং বৈশ্বিক ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর হুমকি।
মুসলিম দেশগুলোতে ‘টার্গেটেড কিলিং’
ইসরায়েল বর্তমানে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করার নীতিতে বিশ্বাস করছে। হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লাহ, আইআরজিসি—এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহেই অনেককে হত্যা করা হচ্ছে। কিছু মানুষ ছিলেন সাংবাদিক, কেউ গবেষক, যাদের বিরুদ্ধে বিচার ছাড়াই প্রাণহানি ঘটছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালাই ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পরিশেষে, ইসরায়েল বর্তমানে কেবল একটি রাষ্ট্র নয়; বরং একটি কৌশলগত ব্যবস্থা—যার কেন্দ্রে রয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দুর্বল করা। এটি সামরিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় সব মাত্রাতেই সক্রিয়। মুসলিম বিশ্বের সামনে এখন বড় প্রশ্ন—এই নিপীড়নকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়? কূটনৈতিকভাবে? সামরিকভাবে? নাকি ঐক্যের ভিত্তিতে?
যে বাস্তবতায় ঘরে-বাইরে মুসলিমরা একে একে ইসরায়েলের নিশানা হয়ে উঠছে, সে বাস্তবতা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা বিশ্বমানবতার অস্তিত্বের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৮
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:৩৮
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:০৩
আগামী সোমবার মুক্তি পেতে পারেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে জিম্মি থাকা সকল ইসরায়েলি সেনারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জীবিত সৈন্যসহ নিহত মরদেহও হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে চুক্তিতে জানানো হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর হামাসের হাতে থাকবে মাত্র ৭২ ঘন্টা। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলেও এ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, জীবিত-মৃতসহ বর্তমানে হামাসের কাছে এখনো ৪৮ জিম্মি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ জন অন্তত জীবিত বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, হামাস-ইসরায়েল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তি পাবে সব ইসরায়েলি জিম্মি। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পাবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরাও নিশ্চিত করেছেন বলে জানা যায়।
আগামী সোমবার মুক্তি পেতে পারেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে জিম্মি থাকা সকল ইসরায়েলি সেনারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জীবিত সৈন্যসহ নিহত মরদেহও হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে চুক্তিতে জানানো হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর হামাসের হাতে থাকবে মাত্র ৭২ ঘন্টা। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সকল জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলেও এ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, জীবিত-মৃতসহ বর্তমানে হামাসের কাছে এখনো ৪৮ জিম্মি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০ জন অন্তত জীবিত বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, হামাস-ইসরায়েল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মুক্তি পাবে সব ইসরায়েলি জিম্মি। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছাড়া পাবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’র প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মতি দিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এ তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরাও নিশ্চিত করেছেন বলে জানা যায়।
০৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২১
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্নদ্বারা জেলায় ‘কোল্ডরিফ’ নামে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ শিশু মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, কোল্ডরিফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত সীমার তুলনায় অনেক বেশি থাকার কারণে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার (৪ অক্টোবর) করা পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত কোল্ডরিফ কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার অনেক বেশি ছিল। এর ফলে শিশুদের শরীরে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়।
ছিন্নদ্বারা জেলার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পারাসিয়া থানা কর্তৃক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৫, ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ধারা ২৭এ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া প্রভীন সোনি নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি কোল্ডরিফ সিরাপটি শিশুদের পান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তামিলনাড়ুর ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউস সিল করা হয়েছে। শিশুর মৃত্যু প্রকাশের পর রোববার থেকে অনেক ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে।
ছিন্নদ্বারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই সিরাপ খেয়ে চণ্ডীওয়াড়া জেলায় আরও ৮ শিশু অসুস্থ হয়েছেন।
তারা বর্তমানে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রশাসন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বজায় রাখবে।
এদিকে, রাজনৈতিকভাবে সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, যে ওষুধটি অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ, তা কীভাবে মধ্যপ্রদেশের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে?
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্নদ্বারা জেলায় ‘কোল্ডরিফ’ নামে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ শিশু মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, কোল্ডরিফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত সীমার তুলনায় অনেক বেশি থাকার কারণে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার (৪ অক্টোবর) করা পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত কোল্ডরিফ কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার অনেক বেশি ছিল। এর ফলে শিশুদের শরীরে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়।
ছিন্নদ্বারা জেলার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পারাসিয়া থানা কর্তৃক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৫, ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ধারা ২৭এ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া প্রভীন সোনি নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি কোল্ডরিফ সিরাপটি শিশুদের পান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তামিলনাড়ুর ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউস সিল করা হয়েছে। শিশুর মৃত্যু প্রকাশের পর রোববার থেকে অনেক ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে।
ছিন্নদ্বারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই সিরাপ খেয়ে চণ্ডীওয়াড়া জেলায় আরও ৮ শিশু অসুস্থ হয়েছেন।
তারা বর্তমানে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রশাসন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বজায় রাখবে।
এদিকে, রাজনৈতিকভাবে সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, যে ওষুধটি অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ, তা কীভাবে মধ্যপ্রদেশের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে?
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.