২১ জুন, ২০২৫ ১৫:০৭
মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের দমন-পীড়নের ইতিহাস নতুন নয়। এ অত্যাচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তা আরও উন্মোচিত হয়েছে। দমন‑পীড়নের এই ধারাবাহিকতা এখন শুধু ফিলিস্তিনেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ‑আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা—সবই প্রশ্নের মুখে।
ইসরায়েল যখনই সুযোগ পেয়েছে মুসলিমদের স্বার্থের ওপর আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা যেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে সেখানেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের থামাতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েল। এমনকি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালাতেও দ্বিধা করেনি তারা। সম্প্রতি গাজায় গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানে হামলা আমাদের ইসরায়েলের সেই এজেন্ডাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ইরানে সামরিক অভিযান: ‘নিরাপত্তা’র নামে নিধন
ইরানের নাতানজ, ইসফাহান ও আরাকের মতো পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ১৩ জুনের ‘অপারেশনাল হামলা’ উত্তেজনাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। প্রায় ২০০টি ফাইটার জেট ব্যবহার করে চালানো এই অভিযানে ৬০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু এবং প্রায় ১,৩০০ জনের আহত হওয়া ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনার নিষ্ঠুর দিকটাই তুলে ধরে। এই আক্রমণ শুধু ইরানের সামরিক পরিকাঠামো নয়, বেসামরিক জনগণের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থামাতেই এসব অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র লক্ষ্য করলেও প্রাথমিক আঘাত এসে পড়ে হাসপাতাল, গবেষণাগার, এমনকি আবাসিক এলাকায়। এতে বোঝা যায়, ‘সামরিক অভিযান’-এর আড়ালে রয়েছে মুসলিমপ্রধান একটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তোলার সুস্পষ্ট কৌশল।
ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়
গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুধু আরেকটি সীমান্ত দ্বন্দ্ব নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। নির্বিচারে গ্রেনেড, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বর্ষণের ফলে নিহত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল—সবই হামলার আওতায় পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত সতর্ক করলেও বাস্তবে পরিবর্তন নেই। বরং, ইসরায়েলের দমননীতিকে বৈধতা দিতে পশ্চিমা দেশের নীরবতা এই হত্যাযজ্ঞকে আরও উৎসাহিত করছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মুসলিম নাগরিকদের অবস্থা
এমনকি ইসরায়েলের ভেতরে বসবাসরত মুসলিম নাগরিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাইফা, তামরা, আরবা, লদসহ মুসলিম অধ্যুষিত শহরগুলোতে নেই আশ্রয়কেন্দ্র বা জরুরি সেবা। ‘একই দেশের নাগরিক’ হয়েও তাদের প্রতি সরকারের অবহেলা স্পষ্ট। হাইফার একটি মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার ঘটনায় কাঠামোগত ক্ষতি কম হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে ছিল বড় ধাক্কা। এই বৈষম্য কেবল সামাজিক নয়, রাজনৈতিকও, যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ভেতরেই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য প্রমাণ করে।
লেবাননের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও হিজবুল্লাহ প্রসঙ্গ
লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের বহু পুরোনো দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে হিজবুল্লাহকে ঘিরে। ২০০৬ সালের যুদ্ধের জের আজও রয়ে গেছে সীমান্তে। গাজা যুদ্ধের পর নতুন করে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ, পাল্টা আক্রমণ করছে ইসরায়েলও। এতে সীমান্তের হাজারো সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে ইরান-হিজবুল্লাহ সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ইসরায়েলের মুসলিমবিরোধী যুদ্ধকে আরও আঞ্চলিক রূপ দিয়েছে।
বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র ও ইসলামভীতি
ইসরায়েল কেবল সামরিক নয়, তথ্যপ্রযুক্তির হাতিয়ারে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা, নজরদারি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমা দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে ইসলামভীতির (ইসলামোফোবিয়া) সংস্কৃতি তৈরি করছে। এটি মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ—যার লক্ষ্য মুসলিম সমাজকে ভেতর থেকে দুর্বল করা।
ধর্মীয় অনুভূতির ওপর হামলা
ইসরায়েলি নীতির আরেকটি দিক হলো ধর্মীয় অনুভূতির ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। মসজিদে হামলা, কোরআন অবমাননা, পোশাক নিয়ে বিদ্রুপ—এসব ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অবমাননা নয়; বরং বৈশ্বিক ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর হুমকি।
মুসলিম দেশগুলোতে ‘টার্গেটেড কিলিং’
ইসরায়েল বর্তমানে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করার নীতিতে বিশ্বাস করছে। হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লাহ, আইআরজিসি—এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহেই অনেককে হত্যা করা হচ্ছে। কিছু মানুষ ছিলেন সাংবাদিক, কেউ গবেষক, যাদের বিরুদ্ধে বিচার ছাড়াই প্রাণহানি ঘটছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালাই ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পরিশেষে, ইসরায়েল বর্তমানে কেবল একটি রাষ্ট্র নয়; বরং একটি কৌশলগত ব্যবস্থা—যার কেন্দ্রে রয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দুর্বল করা। এটি সামরিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় সব মাত্রাতেই সক্রিয়। মুসলিম বিশ্বের সামনে এখন বড় প্রশ্ন—এই নিপীড়নকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়? কূটনৈতিকভাবে? সামরিকভাবে? নাকি ঐক্যের ভিত্তিতে?
যে বাস্তবতায় ঘরে-বাইরে মুসলিমরা একে একে ইসরায়েলের নিশানা হয়ে উঠছে, সে বাস্তবতা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা বিশ্বমানবতার অস্তিত্বের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ।
মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের দমন-পীড়নের ইতিহাস নতুন নয়। এ অত্যাচার তারা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তা আরও উন্মোচিত হয়েছে। দমন‑পীড়নের এই ধারাবাহিকতা এখন শুধু ফিলিস্তিনেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ‑আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা—সবই প্রশ্নের মুখে।
ইসরায়েল যখনই সুযোগ পেয়েছে মুসলিমদের স্বার্থের ওপর আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা যেখানেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চেয়েছে সেখানেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের থামাতে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েল। এমনকি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালাতেও দ্বিধা করেনি তারা। সম্প্রতি গাজায় গণহত্যা থেকে শুরু করে ইরানে হামলা আমাদের ইসরায়েলের সেই এজেন্ডাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ইরানে সামরিক অভিযান: ‘নিরাপত্তা’র নামে নিধন
ইরানের নাতানজ, ইসফাহান ও আরাকের মতো পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ১৩ জুনের ‘অপারেশনাল হামলা’ উত্তেজনাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। প্রায় ২০০টি ফাইটার জেট ব্যবহার করে চালানো এই অভিযানে ৬০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু এবং প্রায় ১,৩০০ জনের আহত হওয়া ইসরায়েলি সামরিক পরিকল্পনার নিষ্ঠুর দিকটাই তুলে ধরে। এই আক্রমণ শুধু ইরানের সামরিক পরিকাঠামো নয়, বেসামরিক জনগণের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
ইসরায়েল বলছে, তারা ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থামাতেই এসব অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র লক্ষ্য করলেও প্রাথমিক আঘাত এসে পড়ে হাসপাতাল, গবেষণাগার, এমনকি আবাসিক এলাকায়। এতে বোঝা যায়, ‘সামরিক অভিযান’-এর আড়ালে রয়েছে মুসলিমপ্রধান একটি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তোলার সুস্পষ্ট কৌশল।
ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়
গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুধু আরেকটি সীমান্ত দ্বন্দ্ব নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। নির্বিচারে গ্রেনেড, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বর্ষণের ফলে নিহত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল—সবই হামলার আওতায় পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত সতর্ক করলেও বাস্তবে পরিবর্তন নেই। বরং, ইসরায়েলের দমননীতিকে বৈধতা দিতে পশ্চিমা দেশের নীরবতা এই হত্যাযজ্ঞকে আরও উৎসাহিত করছে।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে মুসলিম নাগরিকদের অবস্থা
এমনকি ইসরায়েলের ভেতরে বসবাসরত মুসলিম নাগরিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাইফা, তামরা, আরবা, লদসহ মুসলিম অধ্যুষিত শহরগুলোতে নেই আশ্রয়কেন্দ্র বা জরুরি সেবা। ‘একই দেশের নাগরিক’ হয়েও তাদের প্রতি সরকারের অবহেলা স্পষ্ট। হাইফার একটি মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার ঘটনায় কাঠামোগত ক্ষতি কম হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে ছিল বড় ধাক্কা। এই বৈষম্য কেবল সামাজিক নয়, রাজনৈতিকও, যা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ভেতরেই প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য প্রমাণ করে।
লেবাননের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও হিজবুল্লাহ প্রসঙ্গ
লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের বহু পুরোনো দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে হিজবুল্লাহকে ঘিরে। ২০০৬ সালের যুদ্ধের জের আজও রয়ে গেছে সীমান্তে। গাজা যুদ্ধের পর নতুন করে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ, পাল্টা আক্রমণ করছে ইসরায়েলও। এতে সীমান্তের হাজারো সাধারণ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এই সংঘাতে ইরান-হিজবুল্লাহ সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ইসরায়েলের মুসলিমবিরোধী যুদ্ধকে আরও আঞ্চলিক রূপ দিয়েছে।
বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র ও ইসলামভীতি
ইসরায়েল কেবল সামরিক নয়, তথ্যপ্রযুক্তির হাতিয়ারে বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মুসলিম দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা, নজরদারি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমা দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে ইসলামভীতির (ইসলামোফোবিয়া) সংস্কৃতি তৈরি করছে। এটি মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ—যার লক্ষ্য মুসলিম সমাজকে ভেতর থেকে দুর্বল করা।
ধর্মীয় অনুভূতির ওপর হামলা
ইসরায়েলি নীতির আরেকটি দিক হলো ধর্মীয় অনুভূতির ওপর সুপরিকল্পিত আঘাত। মসজিদে হামলা, কোরআন অবমাননা, পোশাক নিয়ে বিদ্রুপ—এসব ঘটনা মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অবমাননা নয়; বরং বৈশ্বিক ধর্মীয় সহনশীলতার ওপর হুমকি।
মুসলিম দেশগুলোতে ‘টার্গেটেড কিলিং’
ইসরায়েল বর্তমানে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করার নীতিতে বিশ্বাস করছে। হামাস, ইসলামিক জিহাদ, হিজবুল্লাহ, আইআরজিসি—এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহেই অনেককে হত্যা করা হচ্ছে। কিছু মানুষ ছিলেন সাংবাদিক, কেউ গবেষক, যাদের বিরুদ্ধে বিচার ছাড়াই প্রাণহানি ঘটছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালাই ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পরিশেষে, ইসরায়েল বর্তমানে কেবল একটি রাষ্ট্র নয়; বরং একটি কৌশলগত ব্যবস্থা—যার কেন্দ্রে রয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে দুর্বল করা। এটি সামরিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় সব মাত্রাতেই সক্রিয়। মুসলিম বিশ্বের সামনে এখন বড় প্রশ্ন—এই নিপীড়নকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়? কূটনৈতিকভাবে? সামরিকভাবে? নাকি ঐক্যের ভিত্তিতে?
যে বাস্তবতায় ঘরে-বাইরে মুসলিমরা একে একে ইসরায়েলের নিশানা হয়ে উঠছে, সে বাস্তবতা শুধু মুসলিমদের নয়, গোটা বিশ্বমানবতার অস্তিত্বের জন্যই এক বড় চ্যালেঞ্জ।
২৭ জুন, ২০২৫ ১৬:৫৮
ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ। সেই পবিত্র প্রাঙ্গণেই এবার গান ও নাচের অনুমতি দিল ইসরায়েল। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের এ অনুমতি প্রদান করেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) ইসরায়েলি চ্যানেল ৭-এর বরাতে আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানায়, এটি গত কয়েক দশকে নজিরবিহীন ঘটনা।
ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন পুরো আল-আকসা প্রাঙ্গণজুড়ে ইহুদিদের প্রার্থনার পাশাপাশি গান ও সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন সপ্তাহ আগে বেন-গভির তার দপ্তরে আল-আকসায় ইহুদি প্রবেশাধিকার দাবিকারী কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে প্রাঙ্গণে গান-বাজনার অনুমতি বাড়ানোর প্রস্তাবও আসে।
বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বেন-গভির বলেন, “আমার নীতি হলো—আল-আকসার প্রতিটি অংশে গান গাওয়ার অনুমতি নিশ্চিত করা।”
এর আগে গত মে মাসেও তিনি ইহুদিদের আল-আকসায় প্রার্থনার অনুমতি দেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘এখন থেকে ইহুদিরা আল-আকসায় সেজদাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রার্থনার সুযোগ পাবে।’
মুসলমানদের কাছে পবিত্রতম স্থানগুলোর একটি আল-আকসা মসজিদ। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুসালেম দখলের পরও এ মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব জর্ডানের ওয়াকফ বোর্ডের হাতে থাকে।
তথাকথিত ‘স্থিতাবস্থা চুক্তি’ অনুযায়ী, মসজিদে কেবল মুসলমানদেরই নামাজ পড়ার অনুমতি রয়েছে, যদিও ইহুদিরা পর্যটক হিসেবে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারে।
কিন্তু সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোকে বিশ্লেষকরা এই ‘স্থিতাবস্থা’র সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। অনেকেই বলছেন, মুসলমানদের ওপর ধর্মীয় দখলদারির কৌশলগত চাপ বাড়াচ্ছে ইসরায়েল।
ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ। সেই পবিত্র প্রাঙ্গণেই এবার গান ও নাচের অনুমতি দিল ইসরায়েল। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের এ অনুমতি প্রদান করেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) ইসরায়েলি চ্যানেল ৭-এর বরাতে আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানায়, এটি গত কয়েক দশকে নজিরবিহীন ঘটনা।
ইসরায়েলি পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন পুরো আল-আকসা প্রাঙ্গণজুড়ে ইহুদিদের প্রার্থনার পাশাপাশি গান ও সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন সপ্তাহ আগে বেন-গভির তার দপ্তরে আল-আকসায় ইহুদি প্রবেশাধিকার দাবিকারী কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে প্রাঙ্গণে গান-বাজনার অনুমতি বাড়ানোর প্রস্তাবও আসে।
বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠীর দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বেন-গভির বলেন, “আমার নীতি হলো—আল-আকসার প্রতিটি অংশে গান গাওয়ার অনুমতি নিশ্চিত করা।”
এর আগে গত মে মাসেও তিনি ইহুদিদের আল-আকসায় প্রার্থনার অনুমতি দেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘এখন থেকে ইহুদিরা আল-আকসায় সেজদাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রার্থনার সুযোগ পাবে।’
মুসলমানদের কাছে পবিত্রতম স্থানগুলোর একটি আল-আকসা মসজিদ। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুসালেম দখলের পরও এ মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব জর্ডানের ওয়াকফ বোর্ডের হাতে থাকে।
তথাকথিত ‘স্থিতাবস্থা চুক্তি’ অনুযায়ী, মসজিদে কেবল মুসলমানদেরই নামাজ পড়ার অনুমতি রয়েছে, যদিও ইহুদিরা পর্যটক হিসেবে প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারে।
কিন্তু সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোকে বিশ্লেষকরা এই ‘স্থিতাবস্থা’র সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন। অনেকেই বলছেন, মুসলমানদের ওপর ধর্মীয় দখলদারির কৌশলগত চাপ বাড়াচ্ছে ইসরায়েল।
২৫ জুন, ২০২৫ ০৯:০৪
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানে ১২ দিনের সংঘাতে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফারস জানায়, “এই ভাড়াটেরা মূলত গুপ্তচর ও নাশকতামূলক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিল। জনগণের অভিযোগ ও গোয়েন্দা অভিযানের ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ স্বীকার করেছে, তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে ইরানে গুপ্তচর ও গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে। ১৩ জুন এই অভিযানের সূচনা হয় ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে।
মোসাদ তাদের এজেন্টদের গোপন তৎপরতার ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়— তারা ইরানের ভেতরে ঘাঁটি তৈরি করে ড্রোন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই ঘটনায় ইরানের নিরাপত্তা মহলে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়। সরকার বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে “সমাজের মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার” অভিযোগ আনা হয়।
ফারস জানিয়েছে, ইরানের কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফারস এবং লোরেস্তান প্রদেশে এসব গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তবে রাজধানী তেহরানে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ইসরায়েলি এজেন্টকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানে ১২ দিনের সংঘাতে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফারস জানায়, “এই ভাড়াটেরা মূলত গুপ্তচর ও নাশকতামূলক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিল। জনগণের অভিযোগ ও গোয়েন্দা অভিযানের ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ স্বীকার করেছে, তারা ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে ইরানে গুপ্তচর ও গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে। ১৩ জুন এই অভিযানের সূচনা হয় ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে।
মোসাদ তাদের এজেন্টদের গোপন তৎপরতার ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়— তারা ইরানের ভেতরে ঘাঁটি তৈরি করে ড্রোন হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই ঘটনায় ইরানের নিরাপত্তা মহলে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়। সরকার বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে “সমাজের মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার” অভিযোগ আনা হয়।
ফারস জানিয়েছে, ইরানের কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফারস এবং লোরেস্তান প্রদেশে এসব গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তবে রাজধানী তেহরানে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংঘাত শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ইসরায়েলি এজেন্টকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
২২ জুন, ২০২৫ ০৬:৫৭
শনিবার (২১ জুন) রাতে চালানো মার্কিন জবাবে রোববার (২২ জুন) সকালে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের সর্বশেষ এ হামলার পর ইসরাইলে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের জাতীয় জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের (এমডিএ) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের শরীরে গুলি লেগেছে এবং আরও ১০ জন ‘সামান্য আহত’ হয়েছেন। এমডিএ আরও জানিয়েছে, রোববার সকালে ইরানের রকেট ও শ্যাপ্রেল ইসরাইলের ১০টি স্থানে আঘাত হেনেছে।
এমডিএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ইসরাইলের ১০টি স্থানে রকেট এবং শ্যাপ্রেল পড়েছে।এর মধ্যে রয়েছে- কারমেল, হাইফা, তেলআবিব এলাকা এবং উত্তর উপকূলীয় সমভূমি।
এদিকে ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়ে ইসরাইলি সামরিক হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, লোকেরা এখন বোমা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
তারা আরও জানিয়েছে, জরুরি জরুরি পরিষেবাকর্মীরা দেশজুড়ে ‘যেখানে প্রভাবের রিপোর্ট পাওয়া গেছে’ সেখানে বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ করছে।
এর আগে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরাইল জানায়, রোববার সকালে ইরান থেকে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।এ হামলাকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের প্রথম সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
ইরানি হামলার কথা স্বীকার করে আইডিএফ ইসরাইলি বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, “কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ও উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।”
এ ঘোষণার পর ইসরাইলের বিভিন্ন অংশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে আইডিএফ জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরাইলে ছোড়া দুটি ড্রোন কিছুক্ষণ আগে ইসরাইলি বিমানবাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এর আগে ইরানের ড্রোন হামলার কারণে দক্ষিণ আরাভা অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।
আইডিএফের দাবি, ইরান থেকে ইসরাইলে পৌঁছাতে ড্রোনগুলো কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। যার অর্থ সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর আগেই সেগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মতে, মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরেই গোলান মালভূমির ওপর ইরানের আরেকটি ড্রোন আটক করা হয়।
মূলত ইরান-ইসরাইল চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই হামলা আরও একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।’
শনিবার (২১ জুন) রাতে চালানো মার্কিন জবাবে রোববার (২২ জুন) সকালে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের সর্বশেষ এ হামলার পর ইসরাইলে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের জাতীয় জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের (এমডিএ) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের শরীরে গুলি লেগেছে এবং আরও ১০ জন ‘সামান্য আহত’ হয়েছেন। এমডিএ আরও জানিয়েছে, রোববার সকালে ইরানের রকেট ও শ্যাপ্রেল ইসরাইলের ১০টি স্থানে আঘাত হেনেছে।
এমডিএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ইসরাইলের ১০টি স্থানে রকেট এবং শ্যাপ্রেল পড়েছে।এর মধ্যে রয়েছে- কারমেল, হাইফা, তেলআবিব এলাকা এবং উত্তর উপকূলীয় সমভূমি।
এদিকে ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়ে ইসরাইলি সামরিক হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, লোকেরা এখন বোমা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
তারা আরও জানিয়েছে, জরুরি জরুরি পরিষেবাকর্মীরা দেশজুড়ে ‘যেখানে প্রভাবের রিপোর্ট পাওয়া গেছে’ সেখানে বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ করছে।
এর আগে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরাইল জানায়, রোববার সকালে ইরান থেকে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।এ হামলাকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের প্রথম সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
ইরানি হামলার কথা স্বীকার করে আইডিএফ ইসরাইলি বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, “কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ও উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।”
এ ঘোষণার পর ইসরাইলের বিভিন্ন অংশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে আইডিএফ জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরাইলে ছোড়া দুটি ড্রোন কিছুক্ষণ আগে ইসরাইলি বিমানবাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এর আগে ইরানের ড্রোন হামলার কারণে দক্ষিণ আরাভা অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।
আইডিএফের দাবি, ইরান থেকে ইসরাইলে পৌঁছাতে ড্রোনগুলো কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। যার অর্থ সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর আগেই সেগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মতে, মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরেই গোলান মালভূমির ওপর ইরানের আরেকটি ড্রোন আটক করা হয়।
মূলত ইরান-ইসরাইল চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই হামলা আরও একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.