
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৫
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দুই চিকিৎসকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামসুল ইসলাম সোহেল ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মু. উমর ফারুক জাবিরকে ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
যা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ব্যবসায়ী, বেসরকারী চাকুরীজীবি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, গৃহিণী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দুই সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার "মির্জাগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ" এর ব্যানারে সুবিদখালী সরকারী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা বরগুনা মহাসড়কে সকাল ১০টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে ডাক্তারদ্বয়কে পুর্নবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল করে উপজেলা শহর। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ করেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, সুবিদখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা ইমরুল ইসলাম আলাল, মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল, মোঃ সাব্বির ফরাজী, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম আজাদ, মোঃ ওলি উল্লাহ, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, কলেজ শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার ও গৃহিণী আনজুম আরা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলায় কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কিছু দালাল সিন্ডিকেট করে হাসপাতাল চত্ত্বরে রোগীদেরকে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করাতে চাপ প্রয়োগ করে থাকে। উল্লিখিত দুই ডাক্তার রোগীদেরকে টেস্ট করাতে চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা ও হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করে রোগীদের হয়রানি না করতে নিষেধ করলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালরা ষড়যন্ত্র করে এই দুই মানবিক ডাক্তারের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাদেরকে বদলি করিয়েছেন। বক্তারা এই দুই ডাক্তারের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই পুর্নবহালের চান। আন্দোলনকারীরা হুমকি দিয়ে বলেন,আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি গ্রহন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ শামসুল ইসলাম সোহেল ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মু. উমর ফারুক জাবির এর বদলির আদেশ হওয়ার সংবাদ জানতে পেরেছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেয়ে পটুয়াখালী মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে স্মারকলিপিটি পাঠিয়ে দিয়েছি। স্থানীয় জনসাধারণের দাবির বিষয়টির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানবিক দিক বিবেচনা করে উল্লিখিত ডাক্তারদ্বয়ের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা স্মারকলিপি গ্রহন করে বলেন, ডাঃ শামসুল ইসলাম সোহেল ও ডাঃ মু. উমর ফারুক জাবি’র এর বদলির আদেশনামা হাতে পেয়েছি।
হাসপাতালে কমপ্লেক্সে দালাল চক্রের সক্রিয়তা স্বীকার করে তিনি বলেন,ডাক্তারদের এই বদলির পিছনে কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও দালালদের ষড়যন্ত্র আছে বলে ধারণা করছি।
আমার এখানে ২১ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৭জন ডাক্তার আছেন, এখন আরও দুইজন কমে মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়ে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া খুব কষ্টসাধ্য হবে। ডাক্তারদের বদলির আদেশ প্রত্যাহারে দাবির বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মহোদয়সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দুই চিকিৎসকের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামসুল ইসলাম সোহেল ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মু. উমর ফারুক জাবিরকে ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
যা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ব্যবসায়ী, বেসরকারী চাকুরীজীবি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, গৃহিণী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দুই সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার "মির্জাগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ" এর ব্যানারে সুবিদখালী সরকারী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা বরগুনা মহাসড়কে সকাল ১০টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে ডাক্তারদ্বয়কে পুর্নবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল করে উপজেলা শহর। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ করেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম, মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, সুবিদখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা ইমরুল ইসলাম আলাল, মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল, মোঃ সাব্বির ফরাজী, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম আজাদ, মোঃ ওলি উল্লাহ, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, কলেজ শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার ও গৃহিণী আনজুম আরা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলায় কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কিছু দালাল সিন্ডিকেট করে হাসপাতাল চত্ত্বরে রোগীদেরকে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করাতে চাপ প্রয়োগ করে থাকে। উল্লিখিত দুই ডাক্তার রোগীদেরকে টেস্ট করাতে চাপ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা ও হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান করে রোগীদের হয়রানি না করতে নিষেধ করলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালরা ষড়যন্ত্র করে এই দুই মানবিক ডাক্তারের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তাদেরকে বদলি করিয়েছেন। বক্তারা এই দুই ডাক্তারের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই পুর্নবহালের চান। আন্দোলনকারীরা হুমকি দিয়ে বলেন,আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি গ্রহন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ শামসুল ইসলাম সোহেল ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মু. উমর ফারুক জাবির এর বদলির আদেশ হওয়ার সংবাদ জানতে পেরেছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেয়ে পটুয়াখালী মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে স্মারকলিপিটি পাঠিয়ে দিয়েছি। স্থানীয় জনসাধারণের দাবির বিষয়টির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানবিক দিক বিবেচনা করে উল্লিখিত ডাক্তারদ্বয়ের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা স্মারকলিপি গ্রহন করে বলেন, ডাঃ শামসুল ইসলাম সোহেল ও ডাঃ মু. উমর ফারুক জাবি’র এর বদলির আদেশনামা হাতে পেয়েছি।
হাসপাতালে কমপ্লেক্সে দালাল চক্রের সক্রিয়তা স্বীকার করে তিনি বলেন,ডাক্তারদের এই বদলির পিছনে কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও দালালদের ষড়যন্ত্র আছে বলে ধারণা করছি।
আমার এখানে ২১ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৭জন ডাক্তার আছেন, এখন আরও দুইজন কমে মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়ে উপজেলাবাসীকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া খুব কষ্টসাধ্য হবে। ডাক্তারদের বদলির আদেশ প্রত্যাহারে দাবির বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মহোদয়সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.