Bkash

আন্তর্জাতিক

একই এলাকা থেকে ৫ মাসে নিখোঁজ ৫০০ বিবাহিত নারী

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

৩০ জুন, ২০২৫ ১২:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

একই এলাকা থেকে ৫ মাসে নিখোঁজ ৫০০ বিবাহিত নারী

ঘর-সংসার সব কিছুই যেন ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যেতে থাকে চিত্র। একটা অঞ্চলে একের পর এক হারিয়ে যেতে থাকেন গৃহবধূ।

কেউ দুপুরবেলা বাজার করতে গিয়ে আর ফেরেননি, কেউবা সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে গেছেন। প্রথমে সবাই ভাবলেন, হয়তো রাগ করে কোথাও চলে গেছেন বা আত্মীয়ের বাড়িতে আছেন। কিন্তু সময় গড়াতেই বেরিয়ে এলো চমকে দেওয়া তথ্য, মাত্র ৫ মাসে নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন বিবাহিত নারী। এত মানুষ একসঙ্গে নিখোঁজ কেউই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চারপাশে শুরু হয় আলোচনা। কেউ বলছে সংসার ভালো ছিল না, কেউ বলছে প্রেম করে পালিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন, এটা কি সত্যিই ভালোবাসা, নাকি কিছু ভয়ংকর কিছু ঘটছে?

তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দেখা গেল, বেশিরভাগ নারী ঘর ছেড়েছেন নিজেদের ইচ্ছায়। অনেকেই প্রেমে জড়িয়ে গিয়েছিলেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকের মাধ্যমে। কেউ বাইকওয়ালা ছেলের সঙ্গে পালিয়েছেন, কেউবা স্বামীর বন্ধুর সঙ্গেই প্রেমে জড়িয়ে গেছেন। এমনও দেখা গেছে, ছোট ছোট সন্তান রেখে গেছেন প্রেমিকের হাত ধরে।

পুলিশ যখন কাউকে খুঁজে পেয়েছে, অনেকেই সরাসরি বলেছে, ‘আমরা বড় মানুষ, নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’ তারা ঘরে ফিরতেও রাজি নন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা শুধু প্রেমের বিষয় না। বরং এটা এক ধরনের মানসিক সমস্যা, একাকীত্ব, দাম্পত্য জীবনের চাপ থেকে পালানোর চেষ্টা। মোবাইল আর সোশ্যাল মিডিয়া যেন তাদের ‘বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা’ দেখিয়ে দিচ্ছে।

এই খবর প্রথমে ভাইরাল হয় একটি ফেসবুক পেজে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে নানা গ্রুপ, চ্যাট ও মিডিয়ায়। ফলে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। অনেক স্বামী আবার লোকলজ্জায় থানায় গিয়ে অভিযোগ করতেও ভয় পাচ্ছেন। কেউ কেউ অনুরোধ করছেন স্ত্রীর নাম যেন গোপন রাখা হয়।

এই ঘটনাগুলো ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত এলাকায়। শুধু জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যেই নিখোঁজ হয়েছেন ৫৩৬ জন নারী। এই ঘটনা এখন সমাজে এক বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, গৃহবধূরা কেন এমন করে চলে যাচ্ছেন? এটা কি শুধু প্রেম? নাকি এক গভীর অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণার চিৎকার?

আরও পড়ুন:

এবার পাকিস্তানকে মোদির কঠোর হুঁশিয়ারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:২৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

এবার পাকিস্তানকে মোদির কঠোর হুঁশিয়ারি

সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পর ইসলামাবাদকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লা থেকে দেওেয়া ভাষণে মোদি বলেছেন, ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পানিচুক্তিতে সম্মত নয় বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি বণ্টনে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানায় ভারত।

তারই ধারাবাহিকতায় মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারতের অধিকারে থাকা পানি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করারও বিরোধিতা করেন তিনি।

মোদি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদীগুলো শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছিল, যখন আমাদের কৃষকরা পানি থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন, ভারতের পানির ভাগের ওপর অধিকার কেবল ভারত ও তার কৃষকদের।

কৃষকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকিরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। শত্রু (পাকিস্তান) যদি আর কোনো দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী, তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বিক্ষোভ থেকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।

দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।

গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্নাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে। গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।

গাজায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা ইসরায়েলের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাজায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা ইসরায়েলের

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফসহ তার আরও চার সহকর্মীকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গাজায় তারা একটি তাবুতে ছিল। সেখানেই লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর: সিএনএন।

রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজার আল শিফা হাসপাতালের প্রধান গেটে চালানো ইসরায়েলের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন- আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল এবং মোয়ামেন আলিয়া।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার আগে আল জাজিরার আরবি ভার্সনের প্রতিনিধি ২৮ বছর বসয়ী আল-শরীফ এক্স পোস্টে বলেন, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্রভাবে বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যা ‘ফায়ার বেল্ট’ নামেও পরিচিত।

তার ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েল ভয়াবহভাবে হামলা চালাচ্ছে। ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে বোমা হামলার শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া অন্ধাকারাছন্ন আকাশ ইসরায়েলের হামলায় মুহূর্তেই কমলা রং ধারণা করেছে।

এক বিবৃতিতে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আরেকটি প্রকাশ্য ও পরিকল্পিত আঘাত’ বলে অভিহিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহ পরিণতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে ক্রমাগত বেসামরিক মানুষদের হত্যা, বাধ্যতামূলকভাবে অনাহারে রাখা এবং পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার অন্যতম সাহসী সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও তার সহকর্মীদের হত্যা গাজা দখল ও দমন করার আসন্ন পরিকল্পনা ফাঁস করে দেওয়া কণ্ঠস্বরগুলোকে চিরতরে স্তব্ধ করার এক মরিয়া প্রচেষ্টা।’

নিহত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে, আল-শরীফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, ‘‘যদি এই উন্মাদনা বন্ধ না হয়, তাহলে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, এখানকার জনগণের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে যাবে হবে এবং ইতিহাস আপনাকে সেই গণহত্যার নীরব সাক্ষী হিসেবে স্মরণ করবে যা আপনি থামাতে চাননি।’’

আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, আল-শরীফ যখন হাসপাতালের প্রবেশপথের কাছে অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আল-শরীফকে গাজায় হামাসের একটি সেলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যারা ‘‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়েছে।’’

আইডিএফ পূর্বে এমন নথি দেখিয়েছিল যা হামাসের সঙ্গে আল-শরীফের সম্পর্কের ‘‘স্পষ্ট প্রমাণ’’ দেখায় বলে দাবি করেছিল। হামলার পর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আইডিএফ পূর্বে গোয়েন্দা তথ্য এবং গাজা উপত্যকায় পাওয়া অনেক নথি প্রকাশ করেছিল, যা হামাসের সঙ্গে তার সামরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।’’

তবে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের বিশ্লেষক মুহাম্মদ শেহাদা আল জাজিরাকে বলেন, আল-শরীফের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ‘কোনো ধরনের প্রমাণ নেই’। তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিলো তার প্রতিদিনের রুটিন।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.