
২০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫৮
ভারতে শত শত মানুষের সামনে একই নারীকে বিয়ে করেছেন দুই ভাই। দেশটির হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। দুই ভাইকে বিয়ে করা কনে নিজের ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী বিয়েতে একই নারীকে বিয়ে করেছেন দুই ভাই। তাদের নাম প্রদীপ ও কপিল নেগি। পাত্রীর নাম সুনীতা চৌহান এবং শত শত মানুষের উপস্থিতিতে হট্টি উপজাতির বহু পুরোনো বহুগামিতা প্রথা মেনে এ বিয়ে হয়েছে।
মূলত তিন দিনব্যাপী এই বিয়ের উৎসব শুরু হয়েছিল গত ১২ জুলাই থেকে। কনে সুনীতা কুনহাট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, “আমি এই প্রথা সম্পর্কে জানতাম এবং নিজের ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের প্রতি আমার সম্মান।”
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে প্রদীপ বলেন, “এই বিয়ে নিয়ে আমরা গর্বিত। এটা গোপনে নয়, খোলামেলাভাবেই করেছি। সিদ্ধান্তটা ছিল পারিবারিক ও সম্মতিপূর্ণ।”
প্রদীপ বর্তমানে সরকারি চাকরি করছেন আর তার ছোট ভাই কপিল বিদেশে কর্মরত। কপিল জানান, “আমি বিদেশে থাকলেও এই বিয়ের মাধ্যমে আমাদের স্ত্রীকে ভালোবাসা, স্থিতি ও সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা সব সময় স্বচ্ছতার পক্ষে।”
এনডিটিভি বলছে, হট্টি সম্প্রদায় হিমাচল-উত্তরাখণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করে। ২০২২ সালে তাদের তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। হিমাচলের রাজস্ব আইন অনুযায়ী, এই বহুগামিতা প্রথাকে “জোড়িদারা” বলা হয় এবং এটি এখনো সেখানে আইনগত স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।
শুধু ওই এলাকার বাদনা গ্রামেই গত ছয় বছরে এমন পাঁচটি বিয়ে হয়েছে।
গ্রামের প্রবীণরা জানান, এক সময় হট্টি সম্প্রদায়ে এমন বহুগামী বিয়ে ছিল নিয়মিত ঘটনা। তবে নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার, আর্থিক উন্নয়ন ও শহরমুখী প্রবণতার কারণে এসব বিয়ে এখন তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। অনেক বিয়েই হচ্ছে গোপনে, তবে সামাজিকভাবে তা মেনে নেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমির বিভাজন রোধ করাই এই ধরনের বহুগামী প্রথার মূল কারণ। হট্টি সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুন্দন সিং শাস্ত্রী বলেন, “এই প্রথার উৎপত্তি হাজার হাজার বছর আগে। মূল উদ্দেশ্য ছিল, এক পরিবারের কৃষিজমি যাতে ছোট ছোট খণ্ডে ভাগ না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ভাইদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বজায় রাখা, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ পরিচালনা করা এবং বড় পরিবারের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই প্রথার মূল ভিত্তি। একই পাত্রীর সঙ্গে দুই বা ততোধিক ভাইয়ের বিয়ে এমনকি ভিন্ন মাতার ভাইদেরও এক পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে— এটা স্বাভাবিক।”
ভারতে শত শত মানুষের সামনে একই নারীকে বিয়ে করেছেন দুই ভাই। দেশটির হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। দুই ভাইকে বিয়ে করা কনে নিজের ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের এক ঐতিহ্যবাহী বিয়েতে একই নারীকে বিয়ে করেছেন দুই ভাই। তাদের নাম প্রদীপ ও কপিল নেগি। পাত্রীর নাম সুনীতা চৌহান এবং শত শত মানুষের উপস্থিতিতে হট্টি উপজাতির বহু পুরোনো বহুগামিতা প্রথা মেনে এ বিয়ে হয়েছে।
মূলত তিন দিনব্যাপী এই বিয়ের উৎসব শুরু হয়েছিল গত ১২ জুলাই থেকে। কনে সুনীতা কুনহাট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, “আমি এই প্রথা সম্পর্কে জানতাম এবং নিজের ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের প্রতি আমার সম্মান।”
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে প্রদীপ বলেন, “এই বিয়ে নিয়ে আমরা গর্বিত। এটা গোপনে নয়, খোলামেলাভাবেই করেছি। সিদ্ধান্তটা ছিল পারিবারিক ও সম্মতিপূর্ণ।”
প্রদীপ বর্তমানে সরকারি চাকরি করছেন আর তার ছোট ভাই কপিল বিদেশে কর্মরত। কপিল জানান, “আমি বিদেশে থাকলেও এই বিয়ের মাধ্যমে আমাদের স্ত্রীকে ভালোবাসা, স্থিতি ও সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা সব সময় স্বচ্ছতার পক্ষে।”
এনডিটিভি বলছে, হট্টি সম্প্রদায় হিমাচল-উত্তরাখণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করে। ২০২২ সালে তাদের তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। হিমাচলের রাজস্ব আইন অনুযায়ী, এই বহুগামিতা প্রথাকে “জোড়িদারা” বলা হয় এবং এটি এখনো সেখানে আইনগত স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।
শুধু ওই এলাকার বাদনা গ্রামেই গত ছয় বছরে এমন পাঁচটি বিয়ে হয়েছে।
গ্রামের প্রবীণরা জানান, এক সময় হট্টি সম্প্রদায়ে এমন বহুগামী বিয়ে ছিল নিয়মিত ঘটনা। তবে নারীদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার, আর্থিক উন্নয়ন ও শহরমুখী প্রবণতার কারণে এসব বিয়ে এখন তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। অনেক বিয়েই হচ্ছে গোপনে, তবে সামাজিকভাবে তা মেনে নেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমির বিভাজন রোধ করাই এই ধরনের বহুগামী প্রথার মূল কারণ। হট্টি সম্প্রদায়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুন্দন সিং শাস্ত্রী বলেন, “এই প্রথার উৎপত্তি হাজার হাজার বছর আগে। মূল উদ্দেশ্য ছিল, এক পরিবারের কৃষিজমি যাতে ছোট ছোট খণ্ডে ভাগ না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “ভাইদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বজায় রাখা, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কৃষিকাজ পরিচালনা করা এবং বড় পরিবারের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই প্রথার মূল ভিত্তি। একই পাত্রীর সঙ্গে দুই বা ততোধিক ভাইয়ের বিয়ে এমনকি ভিন্ন মাতার ভাইদেরও এক পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে— এটা স্বাভাবিক।”

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’
দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।
তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’
ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে যা খুবই উদ্বেগজনক।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তাদের দুশ্চিন্তা কমছে না। কৃষক ও জেলা পর্যায়ের আড়ত থেকে যথেষ্ট সরবরাহ আসছে না। ফলে বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়ার পর স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে, অথচ কৃষকের ঘরে যে পরিমাণ মজুত আছে তা বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো নয়। এই ঘাটতির কারণে পাইকারি পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারেও অস্থিরতা তৈরি করছে।’
দলটির শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীল বাজার। কিন্তু বাজারে পণ্যই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে দাম কীভাবে স্থিতিশীল থাকবে? এর দায় শুধু পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সমস্যা সরবরাহে।
তারা বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আমদানির পাঁয়তারা করছে বাজার সিন্ডিকেট। আড়তদার, কমিশন এজেন্ট ও দাদন ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার যদি বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামে, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে।’

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১২
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।
পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে নবনির্মিত একটি মন্দিরে পদদলিত হয় ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষ্যে কাশিবুগ্গার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত ভিড়ে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার রুপি পাবেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষে ভিড়ে মন্দিরটিতে দম বন্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তখন নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন নারীরা। এ সময় তাদের হাতে পূজার ঝুড়ি ছিল।
পরবর্তীতে ভিড় কমার পর দেখা যায় অনেকের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কেউ কাউকে উদ্ধার করতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‘মিনি ত্রিরুপাতি’ নামে পরিচিত এ মন্দিরটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
একাদশী উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে জানা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে কিছু জানায়নি। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে নির্মাণ কাজ চলছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।

৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:২৮
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। শুক্রবার সিআইডি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণাদি পাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ৪(২)(৪) অনুযায়ী নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে- জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। শুক্রবার সিআইডি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণাদি পাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ৪(২)(৪) অনুযায়ী নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
২০১০ সালে তিনি ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে- জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.