
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:৫৯
রাজশাহীর মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার সীমান্তবর্তী গনিপুর ইউনিয়নের আচিনঘাটে বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী সাহেব আলীর হাটু ও পায়ে পেরেক পুতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমানের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের একপর্যায়ে সাহেব আলীর দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯ টার দিকে আচিনঘাট গ্রামের সাহেব আলীর নিজ আম-লিচুর বাগানে এ অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আহত সাহেব আলী আচিনঘাট গ্রামের মৃত লবিণ প্রামাণিকের ছেলে।
আহত সাহেব আলীর পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমান আওয়ামী লীগের ৭/৮ জন সন্ত্রাসী নিয়ে সাহেব আলীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে।
সাহেব আলীর ছেলে মৃদুল হাসান জানান, আমার বাবা বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী। গত ৫ আগস্ট পূর্বে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হাতে আটক হয়ে বেশকিছু দিন কারাভোগ করেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একাধিকবার।
মৃদুল জানান, আমাদের আম ও লিচু বাগানের বসে থাকা অবস্থায় জামাত নেতা মাহবুব রহমান ও তার ভাড়াটে পার্শ্ববর্তী নামাজগ্রামের কতিপয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা শরীরে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক পুতে নির্যাতন করে। তারা আমার বাবার দুই পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় বাবার আত্ম-চিৎকারে আমরা দৌড়ে গিয়ে আমার বাবাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) ভর্তি করায়। তিনি জানান, বাবার চিকিৎসা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এদিকে, আহত সাহেব আলীর পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেন গণিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমান। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, সাহেব আলী গত ঈদের আগে গ্রামের মোড়ে সন্ধ্যার সময় আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। মারপিট করে। সে একজন মাদকাসক্ত। বাগান পাহারার আড়ালে সেখানে নিয়মিত মাদক সেবন করে। বহিরাগত মাদক সেবিরা এসে বাগানে আড্ডা জমিয়ে মাদক সেবন করে। তাকে মাদক সেবনে বাঁধা দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। সেসময় আশেপাশে লোকজন এসে তাকে মারপিট করে। জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।
ঐ গ্রামের স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা সময়ের আলোকে জানান, পুকুরের পাড় ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাহবুব রহমান ও সাহেব আলীর মধ্যে বেশকিছু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জামায়াত নেতা মাহবুব রহমানের মালিকানাধীন পুকুরে সাহেব আলীর ভিটা জমির অনেকখানি পাড় ভেঙ্গে ঢুকে যায়। সাহেব আলীর পাড় বেঁধে চাইলে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। গত তিন বছর পূর্বে স্থানীয় এক মীমাংসায় পাড় বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিন বছর পার হলেও সায়েব আলীর ভিটা জমির পাড় বেঁধে না দেয়ায় ঈদের আগে জামায়াত নেতাকে পাড় বেঁধে দেয়ার চাপ দেয় সায়েব আলী। এরই জেরে জামায়াত নেতা মাহবুব রহমান আওয়ামী সন্ত্রাসী দিয়ে সায়েব আলীকে উপর্যুপরি পিটিয়ে আহত করে।
গণিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বকুল মৃধা জানান, সাহেব আলী বিএনপির একজন নির্যাতিত ও একনিষ্ঠ কর্মী। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার দুই হাঁটুতে ও পায়ে পেরেক পুতে নির্যাতন করা হয়েছে। ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমান ও আওয়ামী লীগের কতিপয় দোসর সাহেব আলীকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমরা গণিপুর ইউনিয়ন বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহীর মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার সীমান্তবর্তী গনিপুর ইউনিয়নের আচিনঘাটে বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী সাহেব আলীর হাটু ও পায়ে পেরেক পুতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমানের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের একপর্যায়ে সাহেব আলীর দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯ টার দিকে আচিনঘাট গ্রামের সাহেব আলীর নিজ আম-লিচুর বাগানে এ অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আহত সাহেব আলী আচিনঘাট গ্রামের মৃত লবিণ প্রামাণিকের ছেলে।
আহত সাহেব আলীর পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমান আওয়ামী লীগের ৭/৮ জন সন্ত্রাসী নিয়ে সাহেব আলীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে।
সাহেব আলীর ছেলে মৃদুল হাসান জানান, আমার বাবা বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী। গত ৫ আগস্ট পূর্বে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের হাতে আটক হয়ে বেশকিছু দিন কারাভোগ করেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একাধিকবার।
মৃদুল জানান, আমাদের আম ও লিচু বাগানের বসে থাকা অবস্থায় জামাত নেতা মাহবুব রহমান ও তার ভাড়াটে পার্শ্ববর্তী নামাজগ্রামের কতিপয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা শরীরে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক পুতে নির্যাতন করে। তারা আমার বাবার দুই পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় বাবার আত্ম-চিৎকারে আমরা দৌড়ে গিয়ে আমার বাবাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) ভর্তি করায়। তিনি জানান, বাবার চিকিৎসা শেষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এদিকে, আহত সাহেব আলীর পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেন গণিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমান। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, সাহেব আলী গত ঈদের আগে গ্রামের মোড়ে সন্ধ্যার সময় আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। মারপিট করে। সে একজন মাদকাসক্ত। বাগান পাহারার আড়ালে সেখানে নিয়মিত মাদক সেবন করে। বহিরাগত মাদক সেবিরা এসে বাগানে আড্ডা জমিয়ে মাদক সেবন করে। তাকে মাদক সেবনে বাঁধা দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। সেসময় আশেপাশে লোকজন এসে তাকে মারপিট করে। জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।
ঐ গ্রামের স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা সময়ের আলোকে জানান, পুকুরের পাড় ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাহবুব রহমান ও সাহেব আলীর মধ্যে বেশকিছু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। জামায়াত নেতা মাহবুব রহমানের মালিকানাধীন পুকুরে সাহেব আলীর ভিটা জমির অনেকখানি পাড় ভেঙ্গে ঢুকে যায়। সাহেব আলীর পাড় বেঁধে চাইলে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। গত তিন বছর পূর্বে স্থানীয় এক মীমাংসায় পাড় বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিন বছর পার হলেও সায়েব আলীর ভিটা জমির পাড় বেঁধে না দেয়ায় ঈদের আগে জামায়াত নেতাকে পাড় বেঁধে দেয়ার চাপ দেয় সায়েব আলী। এরই জেরে জামায়াত নেতা মাহবুব রহমান আওয়ামী সন্ত্রাসী দিয়ে সায়েব আলীকে উপর্যুপরি পিটিয়ে আহত করে।
গণিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বকুল মৃধা জানান, সাহেব আলী বিএনপির একজন নির্যাতিত ও একনিষ্ঠ কর্মী। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার দুই হাঁটুতে ও পায়ে পেরেক পুতে নির্যাতন করা হয়েছে। ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাহবুব রহমান ও আওয়ামী লীগের কতিপয় দোসর সাহেব আলীকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমরা গণিপুর ইউনিয়ন বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৯
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৭
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.