Bkash

সারাদেশ

চাকরির জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ, চাপের মুখে ফেরত দিলেন জামায়াত নেতা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

চাকরির জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ, চাপের মুখে ফেরত দিলেন জামায়াত নেতা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজের বিরুদ্ধে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নামে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই জামায়াত নেতা।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রতারণার শিকার দুই ভুক্তভোগী গত ২ আগস্ট উপজেলা ও জেলা আমির বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এতে দলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েন সিরাজুল ইসলাম। পরবর্তীতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন সিরাজুল।  জানা গেছে, বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে সাদুল্লাপুর জামায়াত কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দলীয় নেতারা বিষয়টির সমাধান করেছেন। 

ভুক্তভোগীদের একজন মাসুদ রানাও জামায়াত নেতা। তিনি দমোদরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ রানা নিজেই তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, ‘থানা আমিরের নেতৃত্বে সমাধান হয়েছে’। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে এবং উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরইমধ্যে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও ভুক্তভোগীদের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এ ঘটনার আরও একটি ভিডিও ও অডিও রেকর্ড পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগী মাসুদ রানা লিখিত অভিযোগে জানান, শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সিরাজুল তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পুরো টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি বারবার চাপ দেন। পরে চাচা আকবর আলীর অফিসে গিয়ে সিরাজুলকে ৫০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত দিতে থাকেন সিরাজুল।

আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল হাদী জানান, তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন সিরাজুল। পরে ৭৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় এবং তিনি ১৫ হাজার টাকা দেন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে টাকা ফেরত চাইলে সিরাজুল তাকেও নানা অজুহাত দিতে থাকেন। পরে দলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত পান হাদী।

সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা মফিজল হকও সিরাজুলের বিরুদ্ধে জামায়াতের উপজেলা ও জেলা আমিরের কাছে অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সিরাজুল ২০-২৫ জনকে নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ছেলে তাজুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়দের সহায়তায় অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার এমন কাণ্ডে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মফিজল হক বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অথচ তাকেই সিরাজুল ইসলাম হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে তিনি পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক জামায়াত নেতা জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিবন্ধন ও সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন।

সম্প্রতি এক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়ার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে ভুক্তভোগী ও তার পক্ষের লোকজন তাজুল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সিরাজুলের সঙ্গে বৈঠক করেন। যেখানে কয়েকজন দলীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিরাজুল টাকা লেনদেন ও ব্যাংকের চেক নেওয়ার বিষয় স্বীকার করেন। প্রমাণ হিসেবে একজন ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করেন। যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেই ভুক্তভোগী বলেন, সরকারি চাকরির আশায় সিরাজুল ইসলামের কাছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা কয়েক দফায় দেন তিনি। পরে তিনি আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. এরশাদুল হক ইমন বলেন, এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভিযোগের পর তা দলীয়ভাবে সমাধান হয়েছে। সিরাজুল টাকা নেননি, তিনি শুধু মধ্যস্থতা করেছেন বলেও দাবি উপজেলা জামায়াত আমিরের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সিরাজুল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করানোর অনুরোধে তিনি অভিযোগকারীদের কান্তনগর এলাকার জহুরুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এর বেশি কিছু নয়। তিনি নিজে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেন। 

টাকা লেনদেনের ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি চাকরি দেয়ার আশ্বাসে দমোদরপুরের মোস্তফা নামের একজন তাজুলের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে দুই লাখ টাকা দেয়ার জন্য তাজুল তাকে বাড়িতে ডেকে আনে, যেখানে দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তার মতে, এসব ঘটনা সেক্রেটারি হওয়ার আগের। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে কয়েকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নজরুল ইসলাম (৪০) নামে এক জামায়াত নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নজরুল ইসলাম একই গ্রাামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি জামতলী বাজারে মোবাইল টাকা লেনদেন (বিকাশের দোকান) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার দলীয় পরিচয় একাধিক জামায়াতের নেতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জাানায়, নজরুল ইসলামের গ্রামের জামতলী বাজারে বিকাশের দোকান ছিল। শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এরপর গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে বাজারের অদূরে রাস্তার পাশে তার গলা কাটা লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক বা ব্যবসায়ীক সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগে শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কাজে জড়ানোর অভিযোগে শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ আগস্ট) ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।

ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান এর আগেও একটি মেয়েটির সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল। স্থানীয় জনতা হাতেনাতে এটা ধরে ফেলে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি।

তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

নিজের ছোড়া ককটেলে ডাকাত নিহত, গণপিটুনিতে আহত ২

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নিজের ছোড়া ককটেলে ডাকাত নিহত, গণপিটুনিতে আহত ২

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাল্কহেডে ডাকাতি করতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য দুই ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করেছে জনতা। অন্যদিকে ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম চাঁন মিয়া (৪৮)। আহতরা হলেন—ভাটি বলাকী ইসহাক বেপারীর ছেলে আলম (৩৭) ও একই গ্রামের রাসেলের ছেলে সোহাগ (১৬)।

স্থানীয়রা জানায়, হোসেন্দি ইউনিয়নের ভাটি বলাকী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা ছিল কয়েকটি বাল্কহেড। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি স্পিডবোট নিয়ে সেখানে ডাকাতির চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ একটি নৌ ডাকাত দল। তবে নদীতে জেলেরা থাকায় সুবিধা করতে না পেরে তারা ফিরে যায়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি স্পিডবোট ও একটি ট্রলার নিয়ে তারা আবার ফিরে আসে। খবর পেয়ে ভাটি বলাকী গ্রামের লোকজন তাদের বাধা দিলে আতঙ্ক তৈরি করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ২-৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাত দল।

এ সময় ট্রলার থেকে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে গিয়ে ডাকাত দলের এক সদস্যের হাতে বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই ডাকাত সদস্যের এক হাতের কবজি উড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্পিডবোটে থাকা ৫-৬ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে ট্রলারে থাকা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে ধাওয়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় থেকে আটক করে জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় একজন।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নদী আর ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সীমানায় পড়ায় বিষয়টি তারা দেখছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার আনন্দবাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে কয়েকজন ডাকাত মেঘনা নদীর গজারিয়া উপজেলার ভাটি বলাকী এলাকায় ডাকাতি করতে যায়।

স্থানীয়রা তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা জনগণকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল নিজের হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এক ডাকাত সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকেসহ তিন ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে জনতা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য তাদের নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর চাঁন মিয়া নামে এক ডাকাত মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।

নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন যার হাতে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল, সে মারা গেছে। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.