https://joinnavy.navy.mil.bd/

সারাদেশ

ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর

নোয়াখালীতে জেলা শহর মাইজদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা ১২টায় দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে শহরের প্রধান সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খানের নেতৃত্বে মাইজদী শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সড়কের পাশে থাকা কয়েকটি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ির মালিক ও চালকরা সড়ক অবরোধ করে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোচালকদের জন্য সরকারিভাবে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে জায়গা দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চালকদের জন্য শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে তাদের গাড়ি না রেখে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কের পাশে এলোমেলোভাবে গাড়ি রাখে। এতে করে শহরজুড়ে যানজট সৃস্টি হয় এবং শিক্ষার্থী ও পথচারীদের সমস্যা হয়। এ বিষয়ে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চালকদের একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা আগের অবস্থানে অটল থাকে।

অভিযানের বিষয়ে কার ও পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, পূর্বে কোনো প্রকার নোটিস ছাড়া দুপুরে আনসারসহ একজন ম্যাজিস্ট্রেট এসে জিলা স্কুলের সামনে মাইক্রোস্ট্যান্ডে পার্কিং এ থাকা কয়েকটি গাড়ি বেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে দেন। পরে তারা পৌর বাজারের সামনে দোকানপাট উচ্ছেদ করেন। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও হকার-ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ক্ষুদ্রে বার্তা পাঠানো হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম পাঠানো হয়। তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছেন।’

আরও পড়ুন:

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।

‎জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।

শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

‎‎উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‎পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।

এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.