
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:২৫
পিরোজপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিমাণে কম এবং অরুচিকর খাবার দেওয়ায় তা গ্রহণে আগ্রহ হারাচ্ছেন রোগীরা।
ফলে নিজেদের বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন বা বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে তারা খাবার কিনে খাচ্ছেন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীদের।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সরেজমিনে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ও এর রান্নাঘর ঘুরে দেখা যায়, রান্নাঘরের মেঝে ঝকঝকে, বাসনপত্র ধোয়া, খাবার রাখা হয়েছে পরিপাটি করে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে একটি আদর্শ রান্নাঘর।
কিন্তু এই নিখুঁত বাহ্যিকতার আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অপ্রিয় সত্য। রোগীর প্লেটে যে খাবার পৌঁছায়, তার মান আর পরিমাণে রয়েছে বড়সড় গলদ। সকালের নাস্তার জন্য রোগীদের দুটি পাউরুটি, একটি ডিম, সামান্য চিনি ও একটি কলা দেওয়া হয়েছে।
যেখানে নিম্নমানের পাউরুটি দেওয়ার অভিযোগ করেন রোগীরা। পাশাপাশি দেখা যায়, দরপত্র অনুযায়ী ৪ ইঞ্চি আকারের একটি সবরি জাতের কলা দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় ছোট একটি চিনিচাপা জাতের কলা।
দুপুরের খাবারে মাছ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় মুরগীর মাংস। ৬০ গ্রামের ওপরে একটুকরো মাংস দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় ৫০ গ্রামের কম ওজনের মাংসের টুকরা। ভাতের চালও মানহীন।
রোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, বাজারে মাছের দাম মুরগির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় মাছের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মুরগি। এদিকে হাসপাতালের বাবুর্চি লাইলি আক্তার বলেন, আজকে মাছ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাছের পরিবর্তে মাংস দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলছেন, “মাছ বাজারে পায়নি, তাই মাংস দিয়েছে”।
সবরি জাতের কলার পরিবর্তে চিনিচাপা জাতের কলা এবং আকারে ছোট কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদার বলেন “বাজারে সবরি কলা নেই আকারেও বড় নেই। আমি সুপারভাইজারকে এ বিষয়ে জানিয়েছি”।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন। নিজের অফিস কক্ষ থেকে চলে আসেন খাবার বিতরণের জায়গায়। খাবার নিম্নমানের ও পরিমাণে কম দেওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পরেন।
তিনি প্রথমে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও পরে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘খাবার নিম্নমানের না, খাবার ঠিকমতোই দেওয়া হচ্ছে। আজকে মাছের পরিবর্তে মাংস দিয়েছি। ঠিকাদার মাংসের দামই পাবে, মাছের দাম পাবে না।’ ওজনে কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার যতটুকু ওজন দিয়েছে সেই দামই পাবে।’
সকালের নাস্তায় নিম্নমানের পাউরুটি এবং দরপত্রে দেওয়া আকারের চেয়ে ছোট আকারের কলা কেন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রুটি আমরা মেপে নিয়েছি, যে ওজনের দেওয়ার কথা সেই ওজনের দিয়েছে। কলা যেরকম দেওয়ার কথা সেরকম দিয়েছে। এখানে নিয়মের বাইরে কিছু হয়নি। ঠিকাদারকে কার্যাদেশে যে পরিমাণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই পরিমাণই দিয়েছে।’
জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দরপত্র মূল্যায়নে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানটি ছিল শেখ এন্ড সন্স ট্রেডার্স। বেশি দরে খাবার সরবরাহের দরপত্র বাগিয়ে নিলেও রোগীদের পাতে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার, এতে ক্ষুব্ধ রোগীরা।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পরে আর কোনো দরপত্র আহ্বান করেনি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে দরপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালের খাবার সরবরাহ করছে।
এদিকে এ বছরের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করে খাবারের পরিমাণ কম দেওয়ার সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করেছিল। তবে সচেতন মহলের দাবি, দুদক থেকে সতর্ক করার পরেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিভাগে ভর্তি রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি প্রতিদিন সরকারিভাবে ১৭৫ টাকা মূল্যের তিন বেলা খাবার (সকালে নাশতা, দুপুরে ও রাতে ভাত) দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশেষ দিবসে প্রতি রোগীকে ২০০ টাকার খাবার দেওয়া হয়।
দরপত্রের শর্ত অনুয়ায়ী, হাসপাতালে প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ২৮ ইরি চালের ৩৩০ গ্রাম ভাত, সপ্তাহে পাঁচ দিন মাছ ও মাংস ৬৩.৬৬ গ্রাম করে দুই বেলা দেওয়ার কথা। সপ্তাহে দুই দিন মাছ ও ডিম দেওয়ার কথা।
এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে রোগীদের দুটি পাউরুটি, একটি সিদ্ধ ডিম ও একটি পাকা সবরি কলা দেওয়ার কথা। কিন্তু মাছ-মাংসের অংশ আকারে ছোট, কলাও ছোট ও নিম্নমানের পাউরুটি দেওয়া হচ্ছে। মসলা কম দিয়ে তরকারি রান্না করে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে, যেটি খেতে রোগীরা আগ্রহী হচ্ছে না।
হাসপাতালের রোগী সদর উপজেলার সিআই পাড়া এলাকার বাসিন্দা জিসান শিকদার বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট, পেটের ব্যথা নিয়ে ভর্তি আছি। হাসপাতালে দুইবার সামান্য ভাত, আলু দুই পিস, ছোট সাইজের মাছ-মাংস দেওয়া হয়। তরকারিতে মসলার পরিমাণ খুবই কম, মাছ-মাংস পুরোপুরিভাবে রান্না করা হয় না। খাবার মানসম্মত নয়।’
ভর্তি থাকা আরেক রোগীর স্বজন আসমা আক্তার বলেন, ‘দুপুরের খাবারের জন্য ভাত, সবজি, ডাল ও মাছের পরিবর্তে ছোট এক টুকরা মাংস দিয়েছে, তা রুচিসম্মত না। আমার মনে হয়েছে, এটা রোগীর খাবার না। আমরা খাবার ফিরিয়ে দিয়েছি, এখন বাইরে থেকে কিনে খাওয়াতে হবে।’
এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আমরা নিয়মিত খাবার তদারকি করি, এ বিষয়ক একটা কমিটিও আছে। জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি, সেই কমিটির মাধ্যমে মাসে এক থেকে দুবার এই খাবার মনিটরিং করা হয়।
আপনারা যে অভিযোগটা দিয়েছেন সে বিষয়ে অবশ্যই আমি তদারকি করব। আমি আগামীকালই আরএমও সাহেবসহ আমাদের যে ঠিকাদার আছে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। প্রতিটি পয়েন্টে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করি, যদি কোনো ঘাটতি থাকে আগামীকাল থেকে অবশ্যই রিকভার হবে।’
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি অর্থে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর খাবারের মান নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তারা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিমাণে কম এবং অরুচিকর খাবার দেওয়ায় তা গ্রহণে আগ্রহ হারাচ্ছেন রোগীরা।
ফলে নিজেদের বাড়ি, আত্মীয়-স্বজন বা বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে তারা খাবার কিনে খাচ্ছেন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগীদের।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সরেজমিনে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল ও এর রান্নাঘর ঘুরে দেখা যায়, রান্নাঘরের মেঝে ঝকঝকে, বাসনপত্র ধোয়া, খাবার রাখা হয়েছে পরিপাটি করে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে একটি আদর্শ রান্নাঘর।
কিন্তু এই নিখুঁত বাহ্যিকতার আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অপ্রিয় সত্য। রোগীর প্লেটে যে খাবার পৌঁছায়, তার মান আর পরিমাণে রয়েছে বড়সড় গলদ। সকালের নাস্তার জন্য রোগীদের দুটি পাউরুটি, একটি ডিম, সামান্য চিনি ও একটি কলা দেওয়া হয়েছে।
যেখানে নিম্নমানের পাউরুটি দেওয়ার অভিযোগ করেন রোগীরা। পাশাপাশি দেখা যায়, দরপত্র অনুযায়ী ৪ ইঞ্চি আকারের একটি সবরি জাতের কলা দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় ছোট একটি চিনিচাপা জাতের কলা।
দুপুরের খাবারে মাছ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় মুরগীর মাংস। ৬০ গ্রামের ওপরে একটুকরো মাংস দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় ৫০ গ্রামের কম ওজনের মাংসের টুকরা। ভাতের চালও মানহীন।
রোগীরা অভিযোগ করে বলছেন, বাজারে মাছের দাম মুরগির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় মাছের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মুরগি। এদিকে হাসপাতালের বাবুর্চি লাইলি আক্তার বলেন, আজকে মাছ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাছের পরিবর্তে মাংস দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলছেন, “মাছ বাজারে পায়নি, তাই মাংস দিয়েছে”।
সবরি জাতের কলার পরিবর্তে চিনিচাপা জাতের কলা এবং আকারে ছোট কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদার বলেন “বাজারে সবরি কলা নেই আকারেও বড় নেই। আমি সুপারভাইজারকে এ বিষয়ে জানিয়েছি”।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন। নিজের অফিস কক্ষ থেকে চলে আসেন খাবার বিতরণের জায়গায়। খাবার নিম্নমানের ও পরিমাণে কম দেওয়ার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পরেন।
তিনি প্রথমে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও পরে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, ‘খাবার নিম্নমানের না, খাবার ঠিকমতোই দেওয়া হচ্ছে। আজকে মাছের পরিবর্তে মাংস দিয়েছি। ঠিকাদার মাংসের দামই পাবে, মাছের দাম পাবে না।’ ওজনে কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার যতটুকু ওজন দিয়েছে সেই দামই পাবে।’
সকালের নাস্তায় নিম্নমানের পাউরুটি এবং দরপত্রে দেওয়া আকারের চেয়ে ছোট আকারের কলা কেন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রুটি আমরা মেপে নিয়েছি, যে ওজনের দেওয়ার কথা সেই ওজনের দিয়েছে। কলা যেরকম দেওয়ার কথা সেরকম দিয়েছে। এখানে নিয়মের বাইরে কিছু হয়নি। ঠিকাদারকে কার্যাদেশে যে পরিমাণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই পরিমাণই দিয়েছে।’
জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দরপত্র মূল্যায়নে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানটি ছিল শেখ এন্ড সন্স ট্রেডার্স। বেশি দরে খাবার সরবরাহের দরপত্র বাগিয়ে নিলেও রোগীদের পাতে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার, এতে ক্ষুব্ধ রোগীরা।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পরে আর কোনো দরপত্র আহ্বান করেনি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে দরপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালের খাবার সরবরাহ করছে।
এদিকে এ বছরের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল হাসপাতাল পরিদর্শন করে খাবারের পরিমাণ কম দেওয়ার সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক করেছিল। তবে সচেতন মহলের দাবি, দুদক থেকে সতর্ক করার পরেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিভাগে ভর্তি রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি প্রতিদিন সরকারিভাবে ১৭৫ টাকা মূল্যের তিন বেলা খাবার (সকালে নাশতা, দুপুরে ও রাতে ভাত) দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশেষ দিবসে প্রতি রোগীকে ২০০ টাকার খাবার দেওয়া হয়।
দরপত্রের শর্ত অনুয়ায়ী, হাসপাতালে প্রতিদিন দুপুর ও রাতে ২৮ ইরি চালের ৩৩০ গ্রাম ভাত, সপ্তাহে পাঁচ দিন মাছ ও মাংস ৬৩.৬৬ গ্রাম করে দুই বেলা দেওয়ার কথা। সপ্তাহে দুই দিন মাছ ও ডিম দেওয়ার কথা।
এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে রোগীদের দুটি পাউরুটি, একটি সিদ্ধ ডিম ও একটি পাকা সবরি কলা দেওয়ার কথা। কিন্তু মাছ-মাংসের অংশ আকারে ছোট, কলাও ছোট ও নিম্নমানের পাউরুটি দেওয়া হচ্ছে। মসলা কম দিয়ে তরকারি রান্না করে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে, যেটি খেতে রোগীরা আগ্রহী হচ্ছে না।
হাসপাতালের রোগী সদর উপজেলার সিআই পাড়া এলাকার বাসিন্দা জিসান শিকদার বলেন, ‘শ্বাসকষ্ট, পেটের ব্যথা নিয়ে ভর্তি আছি। হাসপাতালে দুইবার সামান্য ভাত, আলু দুই পিস, ছোট সাইজের মাছ-মাংস দেওয়া হয়। তরকারিতে মসলার পরিমাণ খুবই কম, মাছ-মাংস পুরোপুরিভাবে রান্না করা হয় না। খাবার মানসম্মত নয়।’
ভর্তি থাকা আরেক রোগীর স্বজন আসমা আক্তার বলেন, ‘দুপুরের খাবারের জন্য ভাত, সবজি, ডাল ও মাছের পরিবর্তে ছোট এক টুকরা মাংস দিয়েছে, তা রুচিসম্মত না। আমার মনে হয়েছে, এটা রোগীর খাবার না। আমরা খাবার ফিরিয়ে দিয়েছি, এখন বাইরে থেকে কিনে খাওয়াতে হবে।’
এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আমরা নিয়মিত খাবার তদারকি করি, এ বিষয়ক একটা কমিটিও আছে। জেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি, সেই কমিটির মাধ্যমে মাসে এক থেকে দুবার এই খাবার মনিটরিং করা হয়।
আপনারা যে অভিযোগটা দিয়েছেন সে বিষয়ে অবশ্যই আমি তদারকি করব। আমি আগামীকালই আরএমও সাহেবসহ আমাদের যে ঠিকাদার আছে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। প্রতিটি পয়েন্টে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করি, যদি কোনো ঘাটতি থাকে আগামীকাল থেকে অবশ্যই রিকভার হবে।’
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি অর্থে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর খাবারের মান নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তারা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩২
পিরোজপুরে মাদক মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমান, মেহেদী হাসান মুন্নাকে (১৯) ১ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ৩ হাজার টাকা জরিমান, ইকতার জাহান তিশাকে (২২) ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাউখালী উপজেলা শিয়ালকাঠি এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকাসহ তিনজন আসামিকে আটক করে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বদরুল হাসান বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ দুইজনকে দণ্ডাদেশ দেন। রায় প্রদানকালে তিন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আকন জানান, একটি মাদক মামলায় প্রধান আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা দণ্ডাদেশ দেন। একজন আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।
পিরোজপুরে মাদক মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমান, মেহেদী হাসান মুন্নাকে (১৯) ১ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ৩ হাজার টাকা জরিমান, ইকতার জাহান তিশাকে (২২) ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাউখালী উপজেলা শিয়ালকাঠি এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকাসহ তিনজন আসামিকে আটক করে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বদরুল হাসান বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ দুইজনকে দণ্ডাদেশ দেন। রায় প্রদানকালে তিন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আকন জানান, একটি মাদক মামলায় প্রধান আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা দণ্ডাদেশ দেন। একজন আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।

২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৫৮
পিরোজপুর সদর উপজেলার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ বছর থেকে পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-০৮। গতকাল রবিবার রাতে ঢাকার মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. আসাদুজ্জামান আলমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. আসাদুজ্জামান আলম (৫৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতার মাথাবেড়া এলাকার মৃত মফিজুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, ২০১০ সালে ঝিনাইদহ জেলায় একটি হত্যা ঘটনার মামলার অন্যতম আসামি মো. আসাদুজ্জামান আলমের নামে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে পুরানা পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
বরিশাল র্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারিসহ অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-৮ কাজ করে যাচ্ছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ বছর থেকে পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-০৮। গতকাল রবিবার রাতে ঢাকার মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. আসাদুজ্জামান আলমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া মো. আসাদুজ্জামান আলম (৫৫) পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতার মাথাবেড়া এলাকার মৃত মফিজুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক ছিলেন।
র্যাব জানায়, ২০১০ সালে ঝিনাইদহ জেলায় একটি হত্যা ঘটনার মামলার অন্যতম আসামি মো. আসাদুজ্জামান আলমের নামে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে পুরানা পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
বরিশাল র্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারিসহ অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-৮ কাজ করে যাচ্ছে।

২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:২৫
ডাকাতির সময় পিরোজপুরে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় আহত অবস্থায় আরেক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য অনুকূল চন্দ্র রায় ওরফে দুলালের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আটক সবুজ হাওলাদারের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা জানান, রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাধা রমনের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের একটি টহল টিম পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের ধাওয়ায় অন্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
দুলালের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দুলালের ভাই অমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থেকে স্বর্ণের চেইন, হাতের বালা ও শাঁখাসহ অন্যান্য স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
ডাকাতির সময় পিরোজপুরে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় আহত অবস্থায় আরেক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য অনুকূল চন্দ্র রায় ওরফে দুলালের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আটক সবুজ হাওলাদারের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা জানান, রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাধা রমনের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের একটি টহল টিম পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের ধাওয়ায় অন্য ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
দুলালের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দুলালের ভাই অমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থেকে স্বর্ণের চেইন, হাতের বালা ও শাঁখাসহ অন্যান্য স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.