
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ০৩:১৭
বরিশাল শহরের আলোচিত রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে অবশেষে গ্রেপ্তারে সফলতা পেয়েছে পুলিশ। শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের ভাটারখাল কলোনীর এই সন্ত্রাসীকে একটি মামলায় গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুমের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেই ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী রিমি বেগম, ভাই সোহেল হাওলাদার, বোন শিল্পি এবং সহযোগী রিফাতকে আটক করলেও পালিয়ে যায় মাসুম। তবে সেই ঘটনার পরে ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই বহুমুখী অপরাধে জড়িত মাসুমকে রোববার গভীর রাতে পুলিশ তাদের বাগে নিয়ে আসল।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করে, মাসুম ১০ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের পদধারী নেতা হলেও আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি দলটির নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় ছিলেন। বিতর্কিত এই ছাত্রনেতা গত বছরের ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকারের পতনের পরে কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী ভাটারখাল কলোনীসহ গোটা ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন। এনিয়ে দ্বন্দ্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী জিদনী শেখকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া দেওয়া হয়। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাঁচাবাজরে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এমনকি মাদক বাণিজ্যে জড়িত থাকারও প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, ত্রিশোর্ধ্ব সন্ত্রাসী মাসুমের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর করাসহ খোদ আদালত সম্মুখে মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ আছে। এসব ঘটনাবলীতে তার বিরুদ্ধে অন্তত তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
একাধিক মামলার আসামি মাসুমের সর্বশেষ সন্ত্রাসে গত রোববার রাতে আক্রান্ত হন বরিশাল কোতয়ালি থানাধীন স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের এসআই গোলাম মো. নাসিমসহ তিন পুলিশ সদস্য। পুলিশ জানায়, ওই দিন রাতে মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে ভাটারখাল এলাকায় তার বাসায় যান এসআই নাসিমসহ বেশকজন পুলিশ সদস্য। এসময় পুলিশ সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলে পড়েন ছাত্রদল নেতা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং মাসুম এসআই নাসিমের হাত কামড়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ এই ঘটনায় তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এবং পুলিশ বাদী হয়ে মাসুমকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৭০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে ভাটারখাল এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পুলিশও ছিল তোকে তোকে, কখন রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাসুমের টুটি চেপে ধরা যায়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত সন্ত্রাসী মাসুমকে গ্রেপ্তারে স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ নাসিম সাহসী ভুমিকা রাখেন। বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত হয়ে রোববার গভীর রাতে ভাটারখাল এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তিনি। অবশ্য গত শুক্রবার এই পুলিশ কর্মকর্তার হাত কামড়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন মাসুম।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাসুমের ৫ আগস্ট পরবর্তী বেশকিছু সন্ত্রাসী কার্যকলাপ তুলে ধরে শনিবার গভীর রাতে এই ‘ভাটারখালে ছাত্রদল নেতা মাসুমের ধারাবাহিক সন্ত্রাসে বিএনপির বদনাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বরিশালটাইমস। পুলিশ জানিয়েছে, এই সংবাদটি তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নিবন্ধিত হয়। মূলত এরপরে এই মূর্তিমাণ সন্ত্রাসীকে ধরতে মাঠপুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাসুমের এই গ্রেপ্তার খবরে ওয়ার্ড বিএনপির নেতারাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা জানান, মাসুমকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আগামী বুধবার ওয়ার্ডবাসী মানববন্ধন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। এরই মধ্যে রোববার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে, এই খবর ভাটারখালবাসীর জন্য খুশির বটে।
কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় মাসুমকে দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশনা আছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।
ভাটারখালের ত্রাস মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে। সেই ভিডিওর নিচে অসংখ্য মানুষ কমেন্ট করে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরছেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে সাধুবাদ জানানো হচ্ছে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, মাসুম রোববার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তার অপরাধের জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে বেশ কয়েকটি গ্রুপ মরিয়া হয়ে উঠেছে। সদর রোডের একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে সিটি মার্কেটসংলগ্ন সব্জির বাজারে আতঙ্ক তৈরি করেছে।’
বরিশাল শহরের আলোচিত রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাসুদ হাওলাদার মাসুমকে অবশেষে গ্রেপ্তারে সফলতা পেয়েছে পুলিশ। শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের ভাটারখাল কলোনীর এই সন্ত্রাসীকে একটি মামলায় গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুমের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় এসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেই ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী রিমি বেগম, ভাই সোহেল হাওলাদার, বোন শিল্পি এবং সহযোগী রিফাতকে আটক করলেও পালিয়ে যায় মাসুম। তবে সেই ঘটনার পরে ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই বহুমুখী অপরাধে জড়িত মাসুমকে রোববার গভীর রাতে পুলিশ তাদের বাগে নিয়ে আসল।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করে, মাসুম ১০ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের পদধারী নেতা হলেও আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি দলটির নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় ছিলেন। বিতর্কিত এই ছাত্রনেতা গত বছরের ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকারের পতনের পরে কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী ভাটারখাল কলোনীসহ গোটা ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন। এনিয়ে দ্বন্দ্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী জিদনী শেখকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া দেওয়া হয়। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাঁচাবাজরে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এমনকি মাদক বাণিজ্যে জড়িত থাকারও প্রমাণ পাওয়া যায়।
বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, ত্রিশোর্ধ্ব সন্ত্রাসী মাসুমের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর করাসহ খোদ আদালত সম্মুখে মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ আছে। এসব ঘটনাবলীতে তার বিরুদ্ধে অন্তত তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
একাধিক মামলার আসামি মাসুমের সর্বশেষ সন্ত্রাসে গত রোববার রাতে আক্রান্ত হন বরিশাল কোতয়ালি থানাধীন স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের এসআই গোলাম মো. নাসিমসহ তিন পুলিশ সদস্য। পুলিশ জানায়, ওই দিন রাতে মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে ভাটারখাল এলাকায় তার বাসায় যান এসআই নাসিমসহ বেশকজন পুলিশ সদস্য। এসময় পুলিশ সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলে পড়েন ছাত্রদল নেতা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং মাসুম এসআই নাসিমের হাত কামড়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ এই ঘটনায় তার স্ত্রী, ভাই-বোন এবং সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এবং পুলিশ বাদী হয়ে মাসুমকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৭০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে ভাটারখাল এলাকার একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পুলিশও ছিল তোকে তোকে, কখন রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাসুমের টুটি চেপে ধরা যায়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত সন্ত্রাসী মাসুমকে গ্রেপ্তারে স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ নাসিম সাহসী ভুমিকা রাখেন। বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত হয়ে রোববার গভীর রাতে ভাটারখাল এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তিনি। অবশ্য গত শুক্রবার এই পুলিশ কর্মকর্তার হাত কামড়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন মাসুম।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস মাসুমের ৫ আগস্ট পরবর্তী বেশকিছু সন্ত্রাসী কার্যকলাপ তুলে ধরে শনিবার গভীর রাতে এই ‘ভাটারখালে ছাত্রদল নেতা মাসুমের ধারাবাহিক সন্ত্রাসে বিএনপির বদনাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বরিশালটাইমস। পুলিশ জানিয়েছে, এই সংবাদটি তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নিবন্ধিত হয়। মূলত এরপরে এই মূর্তিমাণ সন্ত্রাসীকে ধরতে মাঠপুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাসুমের এই গ্রেপ্তার খবরে ওয়ার্ড বিএনপির নেতারাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা জানান, মাসুমকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আগামী বুধবার ওয়ার্ডবাসী মানববন্ধন করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। এরই মধ্যে রোববার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে, এই খবর ভাটারখালবাসীর জন্য খুশির বটে।
কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় মাসুমকে দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশনা আছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।
ভাটারখালের ত্রাস মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে। সেই ভিডিওর নিচে অসংখ্য মানুষ কমেন্ট করে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে ধরছেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে সাধুবাদ জানানো হচ্ছে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, মাসুম রোববার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তার অপরাধের জগতের নিয়ন্ত্রণ নিতে বেশ কয়েকটি গ্রুপ মরিয়া হয়ে উঠেছে। সদর রোডের একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে সিটি মার্কেটসংলগ্ন সব্জির বাজারে আতঙ্ক তৈরি করেছে।’

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৭
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র- জনতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চৌমাথা এলাকায় এই অবরোধ চলে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধস্থলের দু’দিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।
এসময় ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার পর কর্মসূচি শেষ হয়।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়ক ত্যাগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র- জনতা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের চৌমাথা এলাকায় এই অবরোধ চলে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দরসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধস্থলের দু’দিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।
এসময় ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাত পৌনে বারোটা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার পর কর্মসূচি শেষ হয়।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়ক ত্যাগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:২৫
বরিশাল নগরীর রিফিউজি কলোনীর সন্ত্রাসীদের ধরতে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে কোতয়ালি পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ১৪ নং ওয়ার্ডের কলোনীটিতে হানা দেয়।
এর আগে বুধবার রাতে কলোনীতে রুবেল এবং রকি নামের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপক সংঘাত ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে বরিশাল নগরময় উত্তেজনা তৈরি হয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল এবং রকি দুটি বাহিনীই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কলোনীতে সন্ত্রাস করে আসছিল।
মঙ্গলবার রাতে দুটি গ্রুপ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে তুমুল আলোচনা তৈরি করে। এতে নগরবাসীর নিরাপত্তার ভাবনায় টেনশনে পড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার এবং বুধবার কবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় যৌথ অভিযানের।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রিফিউজি কলোনীর পাশাপাশি কেডিসিসহ অপর কলোনীগুলোতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের ধরতে চাইছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে।’
বরিশাল নগরীর রিফিউজি কলোনীর সন্ত্রাসীদের ধরতে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে কোতয়ালি পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ১৪ নং ওয়ার্ডের কলোনীটিতে হানা দেয়।
এর আগে বুধবার রাতে কলোনীতে রুবেল এবং রকি নামের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপক সংঘাত ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে বরিশাল নগরময় উত্তেজনা তৈরি হয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল এবং রকি দুটি বাহিনীই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কলোনীতে সন্ত্রাস করে আসছিল।
মঙ্গলবার রাতে দুটি গ্রুপ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে তুমুল আলোচনা তৈরি করে। এতে নগরবাসীর নিরাপত্তার ভাবনায় টেনশনে পড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার এবং বুধবার কবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় যৌথ অভিযানের।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রিফিউজি কলোনীর পাশাপাশি কেডিসিসহ অপর কলোনীগুলোতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের ধরতে চাইছে।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে।’

১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:২৯
বরিশালে আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক বৃদ্ধের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের ফলপট্টি এলাকার ‘হোটেল পার্ক’ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল হাকিম হাওলাদার (৬০), তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাজলাকাঠি দাড়িয়াল ইউনিয়নের আরব আলী হাওলাদার ছেলে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটিতে গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা জানান, ‘ আব্দুল হাকিম ব্যক্তি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে হোটেলটিতে কর্মরত ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় খাবার খেয়ে স্টাফ রুমে ঢুকে আর বের হননি তিনি।’
হোটেলটির মালিক মাহমুদুল হাসান শাওন জানান, রাত ৯টায় খাবার খেয়ে কক্ষে প্রবেশ করার পর আর বের হননি। পরে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম বরিশালটাইমসকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’
বরিশালে আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক বৃদ্ধের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় শহরের ফলপট্টি এলাকার ‘হোটেল পার্ক’ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল হাকিম হাওলাদার (৬০), তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কাজলাকাঠি দাড়িয়াল ইউনিয়নের আরব আলী হাওলাদার ছেলে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটিতে গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা জানান, ‘ আব্দুল হাকিম ব্যক্তি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে হোটেলটিতে কর্মরত ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় খাবার খেয়ে স্টাফ রুমে ঢুকে আর বের হননি তিনি।’
হোটেলটির মালিক মাহমুদুল হাসান শাওন জানান, রাত ৯টায় খাবার খেয়ে কক্ষে প্রবেশ করার পর আর বের হননি। পরে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম বরিশালটাইমসকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৪২
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৭
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৪০