
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৬
বরিশাল শহরের ভাটারখাল এলাকার মূর্তিমাণ সন্ত্রাস মাসুদ হাওলাদার মাসুম এবার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আলোচনায় এসেছে। বহুমুখী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ত্রিশোর্ধ্ব এই যুবককে শুক্রবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ধরতে গিয়ে অতর্কিত হামলার শিকার হয়। মাসুমের নেতৃত্বে চালানো হামলায় উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ এই ঘটনায় স্ত্রী-ভাই-বোনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও সন্ত্রাসী মাসুম পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসা যুবককে ধরতে শহরে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মাসুম হাওলাদার মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেও সে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে চলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সে বান্দরোডস্থ ভাটারখাল কলোনী নিয়ন্ত্রণ নেওয়াসহ আশপাশ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে একাধিক সহিংস পরিবেশ তৈরি করে, যা নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্ব সংক্ষুব্ধ।
সূত্র জানায়, বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারপন্থী ছাত্রদল নেতা মাসুম ৫ আগস্টের পরে প্রথম টার্গেট করে ভাটারখাল কলোনীর হালিম শাহ’র পরিবারকে। আওয়ামী লীগ ঘরনার এই পরিবারের একজন জিদনী শেখকে মাসুম এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অর্ধপঙ্গু করে দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। মাসুমের সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতায় সবশেষ পরিবারটি এলাকা ত্যাগে বাধ্য হয়।
মাসুমের মূর্তিমাণ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরবর্তী রসুলপুর কলোনীর বাসিন্দা কবির মুন্সিও। চলতি বছরের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগের পদবিহীন কর্মী কবির মুন্সির অর্থ উপার্জনের একমাত্র বাহন স্পিডবোর্টটি আটকে রাখে এবং ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। মুন্সি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ে কারও সহযোগিতা না পেয়ে শেষত্বক টাকা দিয়ে স্পিডবোর্টটি ছাড়িয়ে নেন।
এছাড়া ভাটারখালসহ আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদকের বিস্তারেও মাসুমের যোগসূত্র পাওয়া যায়। সূত্রগুলো জানায়, কলোনীর মাদক বিক্রেতারা সকলে সর্বদা মাসুমের নাম জপতে থাকেন। ৫ আগস্টের পরে সে এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কলোনীর বাসিন্দাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ধরিয়ে দেয়।
তবে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্যে বেশিমাত্রায় আলোচিত হয় জিদনী শেখকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়ার ঘটনাটি। এই মামলার আসামি মাসুমকে শুক্রবার রাতে ধরতে গেলে তার হামলার শিকার হয় পুলিশ।
কোতয়ালি পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা মাসুমকে শুক্রবার রাতে ধরতে পুলিশ ভাটারখালে যায়। একপর্যায়ে তার বাসার দিয়ে পুলিশ সদস্যরা রওনা হলে তার নেতৃত্বে প্রথমে ইট ছোড়া হয়। পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে মাসুমের নেতৃত্বে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই গোলাম মো. নাসিমসহ অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় স্ত্রী রিমি বেগম, ভাই সোহেল হাওলাদার, বোন শিল্পি এবং সহযোগী রিফাতকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় মাসুম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ শুক্রবার রাতে মাসুমকেও আটক করেছিল, কিন্তু সে পুলিশ সদস্যের হাত কামড়ে পালিয়ে যায়।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৭০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মাসুমসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ছাত্রদল নেতা মাসুমের এই সিরিজ সন্ত্রাসে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছেন ভাটারখালবাসী। স্থানীয়রা বলছেন, মাসুমের ক্রমাগত সন্ত্রাসে বিএনপির বদনাম হচ্ছে, বিশেষ করে তার নেতা সরোয়ারকে বিতর্কিত করে চলছেন।
তবে মজিবর রহমান সরোয়ার বলছেন, তিনি বা তার দল বিএনপি সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা হবে না। দলীয় পরিচয়ে কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ রাখারও সুযোগ আছে।
বরিশাল শহরের ভাটারখাল এলাকার মূর্তিমাণ সন্ত্রাস মাসুদ হাওলাদার মাসুম এবার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আলোচনায় এসেছে। বহুমুখী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ত্রিশোর্ধ্ব এই যুবককে শুক্রবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ধরতে গিয়ে অতর্কিত হামলার শিকার হয়। মাসুমের নেতৃত্বে চালানো হামলায় উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ এই ঘটনায় স্ত্রী-ভাই-বোনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও সন্ত্রাসী মাসুম পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে আসা যুবককে ধরতে শহরে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মাসুম হাওলাদার মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেও সে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে চলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সে বান্দরোডস্থ ভাটারখাল কলোনী নিয়ন্ত্রণ নেওয়াসহ আশপাশ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে একাধিক সহিংস পরিবেশ তৈরি করে, যা নিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্ব সংক্ষুব্ধ।
সূত্র জানায়, বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারপন্থী ছাত্রদল নেতা মাসুম ৫ আগস্টের পরে প্রথম টার্গেট করে ভাটারখাল কলোনীর হালিম শাহ’র পরিবারকে। আওয়ামী লীগ ঘরনার এই পরিবারের একজন জিদনী শেখকে মাসুম এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অর্ধপঙ্গু করে দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। মাসুমের সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতায় সবশেষ পরিবারটি এলাকা ত্যাগে বাধ্য হয়।
মাসুমের মূর্তিমাণ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরবর্তী রসুলপুর কলোনীর বাসিন্দা কবির মুন্সিও। চলতি বছরের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগের পদবিহীন কর্মী কবির মুন্সির অর্থ উপার্জনের একমাত্র বাহন স্পিডবোর্টটি আটকে রাখে এবং ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। মুন্সি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ে কারও সহযোগিতা না পেয়ে শেষত্বক টাকা দিয়ে স্পিডবোর্টটি ছাড়িয়ে নেন।
এছাড়া ভাটারখালসহ আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদকের বিস্তারেও মাসুমের যোগসূত্র পাওয়া যায়। সূত্রগুলো জানায়, কলোনীর মাদক বিক্রেতারা সকলে সর্বদা মাসুমের নাম জপতে থাকেন। ৫ আগস্টের পরে সে এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কলোনীর বাসিন্দাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ধরিয়ে দেয়।
তবে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্যে বেশিমাত্রায় আলোচিত হয় জিদনী শেখকে কুপিয়ে পঙ্গু করে দেওয়ার ঘটনাটি। এই মামলার আসামি মাসুমকে শুক্রবার রাতে ধরতে গেলে তার হামলার শিকার হয় পুলিশ।
কোতয়ালি পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা মাসুমকে শুক্রবার রাতে ধরতে পুলিশ ভাটারখালে যায়। একপর্যায়ে তার বাসার দিয়ে পুলিশ সদস্যরা রওনা হলে তার নেতৃত্বে প্রথমে ইট ছোড়া হয়। পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে মাসুমের নেতৃত্বে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই গোলাম মো. নাসিমসহ অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় স্ত্রী রিমি বেগম, ভাই সোহেল হাওলাদার, বোন শিল্পি এবং সহযোগী রিফাতকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় মাসুম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ শুক্রবার রাতে মাসুমকেও আটক করেছিল, কিন্তু সে পুলিশ সদস্যের হাত কামড়ে পালিয়ে যায়।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৭০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মাসুমসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ছাত্রদল নেতা মাসুমের এই সিরিজ সন্ত্রাসে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছেন ভাটারখালবাসী। স্থানীয়রা বলছেন, মাসুমের ক্রমাগত সন্ত্রাসে বিএনপির বদনাম হচ্ছে, বিশেষ করে তার নেতা সরোয়ারকে বিতর্কিত করে চলছেন।
তবে মজিবর রহমান সরোয়ার বলছেন, তিনি বা তার দল বিএনপি সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা হবে না। দলীয় পরিচয়ে কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ রাখারও সুযোগ আছে।

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়াবেন বরিশাল গুঠিয়ার ঐতিহ্যবাহী শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব, তার বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনও প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও অবগত করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে হাদির লাশ বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিউটে নেয়া হয়। সেখানের হিমঘরে আজ তার মরদেহ রাখা হয়।
আজ জানাজা শেষে হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার সার্জারী হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২০
বরিশাল নগরীতে বিদ্যুতের সংযোগ মেরামত করতে গিয়ে একজন পিডিবিকর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে নগরীর মুন্সি গ্যারেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নতুন বাজার বিদ্যুৎ অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: শামসুল আলম বলেন-আহত মোস্তফা কামাল আমাদের দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারী। সকালে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
তাৎক্ষনিক ভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা আহত পিডিবি কর্মীকে উদ্ধার করে। এরপরে পিডিবির কর্মকর্তারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটা ভাল। সাধারনত কাজ করার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কিন্তুু বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের সার্চ সংযোগ থাকে। আর তাতেই সে স্পৃষ্ট হয়।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫২
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের গোলামি করবে না ইনশাআল্লাহ। হাদির খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত না দেওয়া হলে ভারতের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা ছিন্ন করব। যারা আমাদের খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে, তারা আমাদের শত্রু ও দুশমন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ভারত ভেবেছে হাদিকে হত্যা করলে বাংলাদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তার সম্ভব হবে। কিন্তু হাদিকে হত্যা করে ভারত নিজেকেই হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, খুনিদের দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ এমনভাবে প্রতিবাদ করবে, যাতে ভারতের পক্ষে খুনিদের ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।
ইসলামী আন্দোলন বাকেরগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন চৌধুরী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা শাখার যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহীম হোসাইন মৃধা প্রমুখ।’
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়াবেন বরিশাল গুঠিয়ার ঐতিহ্যবাহী শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব, তার বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনও প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও অবগত করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে হাদির লাশ বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিউটে নেয়া হয়। সেখানের হিমঘরে আজ তার মরদেহ রাখা হয়।
আজ জানাজা শেষে হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার সার্জারী হয়। পরে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বরিশাল নগরীতে বিদ্যুতের সংযোগ মেরামত করতে গিয়ে একজন পিডিবিকর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে নগরীর মুন্সি গ্যারেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নতুন বাজার বিদ্যুৎ অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: শামসুল আলম বলেন-আহত মোস্তফা কামাল আমাদের দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারী। সকালে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
তাৎক্ষনিক ভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা আহত পিডিবি কর্মীকে উদ্ধার করে। এরপরে পিডিবির কর্মকর্তারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার অবস্থা অনেকটা ভাল। সাধারনত কাজ করার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কিন্তুু বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের সার্চ সংযোগ থাকে। আর তাতেই সে স্পৃষ্ট হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের গোলামি করবে না ইনশাআল্লাহ। হাদির খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত না দেওয়া হলে ভারতের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা ছিন্ন করব। যারা আমাদের খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে, তারা আমাদের শত্রু ও দুশমন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ভারত ভেবেছে হাদিকে হত্যা করলে বাংলাদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তার সম্ভব হবে। কিন্তু হাদিকে হত্যা করে ভারত নিজেকেই হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, খুনিদের দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ এমনভাবে প্রতিবাদ করবে, যাতে ভারতের পক্ষে খুনিদের ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।
ইসলামী আন্দোলন বাকেরগঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন চৌধুরী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা শাখার যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহীম হোসাইন মৃধা প্রমুখ।’
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৫
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২০