
০৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৫৫
'লেখাপড়া শিখে যিনি লেখাপড়া শেখান, এক প্রদীপের আলো দিয়ে হাজার প্রদীপ জ্বালান'- সেই মহান মানুষটি নাম শিক্ষক। পৃথিবীতে মা-বাবার পরে যার নাম শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায় তিনি শিক্ষক। তাকে বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। বরিশালের বাবুগঞ্জে সেই জাতি গড়ার মহান কারিগররা অবশেষে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিকে এ উপলক্ষ্যে এক অনন্য এবং ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তারা। টিচার্স ক্লাব ভবনের উদ্বোধনের দিনেই উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ গুণী শিক্ষককে ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় তাদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। টিচার্স ক্লাবের ভবন নির্মাণসহ শিক্ষক সংবর্ধনার গোটা অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন উপজেলার বিশিষ্ট দানবীর, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি ও ঢাকার এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পাশে থেকে শিক্ষকদের উৎসাহ প্রদান এবং সহায়তা করেন আরেক দানবীর, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে টিচার্স ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শাহে আলমের সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম শফিউল্লাহ।
টিচার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম আব্দুল হালিম, সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান মিজান, ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, কেদারপুর সোনার বাংলা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুর রহমান টুটুল, ভোলার ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মেজবাউল আমিন, বরিশাল বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল রহিম, টিচার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম শাহজাহান, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম ফকির প্রমুখ।
এসময় সংবর্ধিত অতিথি শুণী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, ডাকুয়া মারুফুল হক ও হারুন অর রশিদ খান। টিচার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন ও কাজী এনায়েত হোসেন। এসময় উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষক এনায়েত করিম ফারুক, আব্দুল লতিফ হাওলাদার, প্রধান শিক্ষক এইচ.এম ইউসুফ আলী, ফারুক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান টুলু, শফিকুল ইসলাম বাদল, মনিরুল ইসলাম, এ.কে আজাদ, ইসমত আরা কনা, আরিফুর রহমান সুমন প্রমুখ। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাইফুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, আবুল বাশার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের মহিউদ্দিন খাঁন রানা, রুবেল সরদার, আবু হানিফ ফকির, সুমন আকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষক হলেন- মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, মাওলানা আব্দুল মতিন, ডাকুয়া মারুফুল হক, খান আবু জাফর মোঃ সালেহ, শামসুল হক, হারুন অর রশিদ খান, নুরুল হক, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, মজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান শাহআলম, মফিজুল ইসলাম মির্জা, আফরোজা খানম, হোসনেয়ারা বেগম, রাহিমা আক্তার, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, আবু সায়েম বাচ্চু শিকদার, আনোয়ার হোসেন এবং অপু চন্দ্র দাস। সংবর্ধিত শিক্ষকদের উত্তরীয় পরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন অতিথিরা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সংবর্ধিত অনেক শিক্ষক। এটা তাদের শিক্ষকতা জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে অভিহিত করেন এবং আয়োজক টিচার্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন বলেন, 'শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষক হলেন সেই জাতি গড়ার কারিগর। তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের আসনে বসাতে হবে। শিক্ষকদের অবদানেই আজকে আমি এই চেয়ারে বসেছি। শিক্ষকদের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'শিক্ষকের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরে যার অবদান সবচেয়ে বেশি থাকে তিনি হলেন শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়। সমাজ আলোকিত করে এমন সকল ভালো কাজের সাথে আছি এবং থাকবো।'
অপর বিশেষ অতিথি বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ বলেন, 'পাসের হার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় বিগত দিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পুনরুদ্ধার করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। এই গুরুদায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষাগুরুদেরকেই। শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস তৈরি করা এবং তাদের নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করা জরুরি। এজন্য শিক্ষক-অভিভাবকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ভূমিকা রাখতে হবে।'
অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেটে ওই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভবনদাতা শিক্ষানুরাগী আবুল কালাম আজাদ। এসময় তার সহধর্মিণী প্রধান অতিথি মেহেরুন্নেসা শিরিনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। পরে টিচার্স ক্লাবের জন্য একটি বড় পর্দার এলইডি টিভি উপহার দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আরেক শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিচার্স ক্লাবের জন্য জমি দান করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক এবং তার সহধর্মিণী নূর-ই-করিমা। সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে টিচার্স ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি সেখানে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন তৈরি করে দেন দানবীর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ। #
বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের উদ্বোধন ও অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেন দানবীর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ।
'লেখাপড়া শিখে যিনি লেখাপড়া শেখান, এক প্রদীপের আলো দিয়ে হাজার প্রদীপ জ্বালান'- সেই মহান মানুষটি নাম শিক্ষক। পৃথিবীতে মা-বাবার পরে যার নাম শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায় তিনি শিক্ষক। তাকে বলা হয় জাতি গড়ার কারিগর। বরিশালের বাবুগঞ্জে সেই জাতি গড়ার মহান কারিগররা অবশেষে তাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিকে এ উপলক্ষ্যে এক অনন্য এবং ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তারা। টিচার্স ক্লাব ভবনের উদ্বোধনের দিনেই উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নানান বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ গুণী শিক্ষককে ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় তাদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। টিচার্স ক্লাবের ভবন নির্মাণসহ শিক্ষক সংবর্ধনার গোটা অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন উপজেলার বিশিষ্ট দানবীর, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি ও ঢাকার এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। পাশে থেকে শিক্ষকদের উৎসাহ প্রদান এবং সহায়তা করেন আরেক দানবীর, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে টিচার্স ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শাহে আলমের সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম শফিউল্লাহ।
টিচার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম আব্দুল হালিম, সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কামরুজ্জামান মিজান, ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডর উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, কেদারপুর সোনার বাংলা হাইস্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুর রহমান টুটুল, ভোলার ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মেজবাউল আমিন, বরিশাল বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পূর্ব হোসনাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল রহিম, টিচার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম শাহজাহান, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম ফকির প্রমুখ।
এসময় সংবর্ধিত অতিথি শুণী শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, ডাকুয়া মারুফুল হক ও হারুন অর রশিদ খান। টিচার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন ও কাজী এনায়েত হোসেন। এসময় উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষক এনায়েত করিম ফারুক, আব্দুল লতিফ হাওলাদার, প্রধান শিক্ষক এইচ.এম ইউসুফ আলী, ফারুক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান টুলু, শফিকুল ইসলাম বাদল, মনিরুল ইসলাম, এ.কে আজাদ, ইসমত আরা কনা, আরিফুর রহমান সুমন প্রমুখ। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাইফুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, আবুল বাশার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের মহিউদ্দিন খাঁন রানা, রুবেল সরদার, আবু হানিফ ফকির, সুমন আকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১৯ জন গুণী শিক্ষক হলেন- মাওলানা আব্দুল হান্নান খান, মাওলানা আব্দুল কাদের মাল, মাওলানা আব্দুল মতিন, ডাকুয়া মারুফুল হক, খান আবু জাফর মোঃ সালেহ, শামসুল হক, হারুন অর রশিদ খান, নুরুল হক, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, মজিবুর রহমান, আব্দুর রহমান শাহআলম, মফিজুল ইসলাম মির্জা, আফরোজা খানম, হোসনেয়ারা বেগম, রাহিমা আক্তার, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, আবু সায়েম বাচ্চু শিকদার, আনোয়ার হোসেন এবং অপু চন্দ্র দাস। সংবর্ধিত শিক্ষকদের উত্তরীয় পরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন অতিথিরা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সংবর্ধিত অনেক শিক্ষক। এটা তাদের শিক্ষকতা জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে অভিহিত করেন এবং আয়োজক টিচার্স ক্লাবকে ধন্যবাদ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেসা শিরিন বলেন, 'শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষক হলেন সেই জাতি গড়ার কারিগর। তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের আসনে বসাতে হবে। শিক্ষকদের অবদানেই আজকে আমি এই চেয়ারে বসেছি। শিক্ষকদের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই।'
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সাবেক সভাপতি ও এভারগ্রীন ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'শিক্ষকের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরে যার অবদান সবচেয়ে বেশি থাকে তিনি হলেন শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়। সমাজ আলোকিত করে এমন সকল ভালো কাজের সাথে আছি এবং থাকবো।'
অপর বিশেষ অতিথি বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ বলেন, 'পাসের হার বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় বিগত দিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে পুনরুদ্ধার করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হবে। এই গুরুদায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষাগুরুদেরকেই। শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠাভ্যাস তৈরি করা এবং তাদের নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করা জরুরি। এজন্য শিক্ষক-অভিভাবকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ভূমিকা রাখতে হবে।'
অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাবের নবনির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ফিতা কেটে ওই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভবনদাতা শিক্ষানুরাগী আবুল কালাম আজাদ। এসময় তার সহধর্মিণী প্রধান অতিথি মেহেরুন্নেসা শিরিনসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে দোয়া-মোনাজাত করা হয়। পরে টিচার্স ক্লাবের জন্য একটি বড় পর্দার এলইডি টিভি উপহার দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আরেক শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট এস.এম সফিউল্লাহ।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা টিচার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিচার্স ক্লাবের জন্য জমি দান করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক এবং তার সহধর্মিণী নূর-ই-করিমা। সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে টিচার্স ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি সেখানে একতলা বিশিষ্ট একটি পাকাভবন তৈরি করে দেন দানবীর শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আবুল কালাম আজাদ। #
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।
গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #
বাবুগঞ্জের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল ওহাব খানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদা ওহাবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়। এসব সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেরিত পৃথক শোকবার্তায় তারা খালেদা ওহাবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, 'খালেদা ওহাব দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অতি আপনজন। তাঁর স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খান ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার। ১৯৮৯ সালে আততায়ীর গুলিতে আব্দুল ওহাব খান নিহত হওয়ার পরে খালেদা ওহাব একজন গৃহবধূ থেকে নিজের মেধা যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি থেকে জনগণের নেত্রী হয়ে ওঠেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের একজন স্বজন হারিয়েছে।'
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া শোকবার্তায় সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না বলেন, 'খালেদা ওহাব শুধু একজন জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ একজন মানবাধিকার কর্মী। তিনি আমৃত্যু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন। ১৯৮৯ সালে স্বামী শহীদ আব্দুল ওহাব খানের মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। পুরো একটা জীবন তিনি অবলীলায় খরচ করেছেন মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। তিনি ছিলেন নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে একজন সাধারণ গৃহবধূ নারীকে সমাজের সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জীবনযুদ্ধে জয়ী এবং সফল হতে হয়। তিনি অদম্য ও জীবন সংগ্রামী নারীদের কাছে একজন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন।'
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সমন্বয়কারী মেহের আফরোজ মিতা বলেন, 'বাবুগঞ্জে নারীর অগ্রযাত্রা এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। জীবদ্দশায় তিনি বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি আমৃত্যু বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, রান্নাবান্না এবং অতিথি আপ্যায়নে ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অনন্য। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। একজন কীর্তিমতী নারী হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন।'
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারিণী খালেদা ওহাব ১৯৮৯ সালের উপ-নির্বাচনে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পরবর্তী এরশাদ সরকারের উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের পরে তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব খান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে ওই বছরই অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। যে সময়ে নারীরা ঠিকভাবে ঘর থেকেই বের হতে পারতেন না সেই সময়ে একজন নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল অকল্পনীয় একটা ঘটনা। দেশের প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি একাধিকবার বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগদান করে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন খালেদা ওহাব। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কমিটির বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ছাড়াও পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিচালিত বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার বাবুগঞ্জ উপজেলা সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে।
গত মঙ্গলবার খালেদা ওহাব পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিএফজি) কো-অর্ডিনেটর হিসেবে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তি সহায়ক সম্মেলনে যোগ দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় যান। সম্মেলন শেষে তিনি রামপুরা এলাকায় তার ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে গেলে বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে নিকটস্থ ফরাজি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৪টার দিকে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা ওহাব স্ট্রোকজনিত কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা এবং বাদ আছর চাঁদপাশা হাইস্কুল ও কলেজ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। #

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৩১
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আমরা বুঝে ফেলেছি, পুরোনো বউকে নতুন শাড়ি দিয়ে ঘোমটা দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। এ ধোঁকায় বাংলাদেশের মানুষ আর পড়বে না। আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি, আর নয়। দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করীম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মাহফিলে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলমারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে জানিয়ে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৩ বছর দেশ যারা পরিচালনা করেছে, যেই নীতি-আদর্শের মাধ্যমে চলছে। এ নীতি-আদর্শে চোরের দিক থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। এখন নতুনভাবে দেশ পরিচালনার জন্য তারা পাগলের মতো হয়ে গেছে। কখন ক্ষমতায় যাবে, আবার সেই চরিত্র বাস্তবায়ন করবে।’
এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমি কিন্তু কোথাও প্রার্থী হইনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হবও না। সারা দেশে আমার সফর করতে হবে।’ তিনি বলেন, দিন-রাত নিজের পকটের টাকা খরচ করে পাগলের মতো ঘুরছি। এর পেছনে একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো—আমরা এ দেশকে ভালোবাসি। আমরা ইসলামকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আমরা বুঝে ফেলেছি, পুরোনো বউকে নতুন শাড়ি দিয়ে ঘোমটা দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যাবে না। এ ধোঁকায় বাংলাদেশের মানুষ আর পড়বে না। আমরা ৫৩ বছর ধোঁকা খেয়েছি, আর নয়। দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
চরমোনাইয়ের ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করীম।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মাহফিলে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলমারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দেশের শীর্ষ আলেম মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের নাম ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তন আসতেই হবে জানিয়ে মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৩ বছর দেশ যারা পরিচালনা করেছে, যেই নীতি-আদর্শের মাধ্যমে চলছে। এ নীতি-আদর্শে চোরের দিক থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ান হয়েছি। হাজার হাজার মা সন্তান হারা হয়েছে। এখন নতুনভাবে দেশ পরিচালনার জন্য তারা পাগলের মতো হয়ে গেছে। কখন ক্ষমতায় যাবে, আবার সেই চরিত্র বাস্তবায়ন করবে।’
এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমি কিন্তু কোথাও প্রার্থী হইনি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে হবও না। সারা দেশে আমার সফর করতে হবে।’ তিনি বলেন, দিন-রাত নিজের পকটের টাকা খরচ করে পাগলের মতো ঘুরছি। এর পেছনে একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো—আমরা এ দেশকে ভালোবাসি। আমরা ইসলামকে ভালোবাসি, মানুষকে ভালোবাসি।’

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৬
ভিন্ন অধিদপ্তরের অধীনে স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবিতে বরিশালে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সরা।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্স ও মিডওয়াইফরা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি খাত দেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই খাত চরম অবহেলায় রয়েছে। স্বতন্ত্র নার্সিং অধিদপ্তর বাতিলের সিদ্ধান্ত পেশাগত মর্যাদা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আলী আজগর, সহ-সভাপতি মো. শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিন, আনোয়ারা খানম, হাফিজা আক্তার প্রমুখ।
বরিশাল নার্সিং কলেজ ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও মিডওয়াইফরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ভিন্ন অধিদপ্তরের অধীনে স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনসহ আট দফা দাবিতে বরিশালে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সরা।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্স ও মিডওয়াইফরা ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন স্লোগানে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি খাত দেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই খাত চরম অবহেলায় রয়েছে। স্বতন্ত্র নার্সিং অধিদপ্তর বাতিলের সিদ্ধান্ত পেশাগত মর্যাদা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিএনএ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আলী আজগর, সহ-সভাপতি মো. শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ শামীমা ইয়াসমিন, আনোয়ারা খানম, হাফিজা আক্তার প্রমুখ।
বরিশাল নার্সিং কলেজ ও শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও মিডওয়াইফরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.