https://jamunabankbd.com/

রাজনীতি

২৩ নভেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:০১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

২৩ নভেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান!

আগামী ২৩ নভেম্বর দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এই দিনকে ধরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বিকালে গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিন বা তারিখ না বললেও নভেম্বর মাসে ফিরবেন- এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আপনারা খুব শিগগিরই জানতে পারবেন নির্ধারিত তারিখ। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে গুলশানের ৭৯ নম্বর ও ১৯৬ নম্বর দুই বাসা মিলিয়ে থাকবেন। তার নিরাপত্তা ইস্যুকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ চলছে।

গত কয়েক মাস ধরে বিএনপি মহাসচিব ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলে আসছেন খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। এই অবস্থায় সালাহউদ্দিন আহমেদ গতকাল তারেক রহমানের আসার বিষয়ে তথ্য দিলেন। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে আগামী ২৩ নভেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন ধার্য করা হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার আগেই দলীয় একক প্রার্থী এবং মিত্ররাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ৩শ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এর মধ্যে চলতি মাসে ২শ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের অনেককেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে মাঠে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। ধারণা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির এই বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের দেশের ফেরার আগে তার নিরাপত্তা ইস্যুটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকে বিশেষ নিরাপত্তা দেবে সরকার - এমন নিশ্চয়তা পেয়েছে বিএনপি। তার নিরাপত্তার স্বার্থে বুলেটপ্রুফ এসইউভি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে দুটি গাড়ি অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী মনে করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তিনি হচ্ছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক। এই প্রতীককে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমরা তা করব।’  

দেশে ফেরার পর তারেক রহমান গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজা ও ১৯৬ নম্বর বাসা মিলিয়ে থাকবেন। ফিরোজায় আছেন মা বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি আবদুস সাত্তার সরকারের সময় দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ১৯৬ নম্বর বাড়িটি খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এত বছর বাড়িটি তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার গত ৪ জুন বাড়িটির নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেন। এই বাড়ির সংস্কারকাজ চলছে।

দলীয় সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তারেক রহমানের জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যুসহ সব প্রক্রিয়া চলছে। তারেক রহমান বর্তমানে ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (আইএলআর) স্ট্যাটাসে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। আইএলআর স্ট্যাটাসে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ ও পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়; ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করা যায়। 

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ১/১১ সরকারের সময় চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই সময় থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডনে থেকেই তিনি বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের শক্তির প্রতীক তারেক রহমানকে শেষ করতে দেশি-বিদেশি নানা পক্ষ চক্রান্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। সেই তিনি দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের নেতা হিসেবে। তাকে বরণ করতে দেশের মানুষ দিন গুনছে।’   

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন, এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি তো সেটা একটি বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যে কোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।

২০০ আসনে একক প্রার্থীর বাছাই শেষ দিকে>> দলের প্রার্থী মনোনয়ন কবে চূড়ান্ত হবে জানতে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এই মাসের (অক্টোবর) মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২শ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগনাল দেব সেই প্রক্রিয়ায় আছি আমরা শেষের দিকে, যেন নির্বাচনী মাঠে একক প্রার্থী হিসেবে কাজ করতে পারেন।

জোট গঠনে আলোচনা হচ্ছে>> সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখার জন্য আপনাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে জোটবদ্ধ হলেও, কী হবে- সেটা রাজনীতির মাঠে আগে থেকেই বলে দেওয়া যায় না।

আরও পড়ুন:

জাতিসংঘ ড. ইউনূসের সঙ্গে বেঈমানি শুরু করেছে : গোলাম মাওলা রনি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জাতিসংঘ ড. ইউনূসের সঙ্গে বেঈমানি শুরু করেছে : গোলাম মাওলা রনি

জাতিসংঘ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে রীতিমতো বেঈমানি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে তারা তাদের বিভিন্ন যে সংস্থা রয়েছে এবং তাদের যেসব আন্তর্জাতিক প্রেশার গ্রুপ রয়েছে সেসব প্রেশার গ্রুপ দিয়ে সরকারের ওপর যে চাপ তৈরি করছে, এটি আমরা আশা করিনি। দ্বিতীয়ত, তারা প্রকাশ্যে এবং আকার-ইঙ্গিতে বা পর্দার অন্তরালে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য, ক্ষমতায় বসানোর জন্য এবং আওয়ামী লীগের যারা দোসর আছে তাদের নানাভাবে দেশে এবং দেশের বাইরে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য যেসব কর্মকাণ্ড করছে তা এককথায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বা তার সরকারের সঙ্গে মারাত্মক বেঈমানি, মারাত্মক অসহযোগিতা।’

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) গোলাম মাওলা রনি তার ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিও আলোচনায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা প্রথম থেকে বলে আসছিলাম ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগমনের পেছনে একটা ম্যাটিকুলাস ডিজাইন রয়েছে। যা মুহাম্মদ ইউনূস নিজে বলেছেন, এটার পেছনে মাস্টারমাইন্ড আছে, একাধিক মাস্টারমাইন্ড। এ রকম কয়েকজন মাস্টারমাইন্ড সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা নিজে বলেছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের ড. ইউনূস পরিচয় করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পেছনে দেশে এবং বিদেশি চক্রান্ত রয়েছে—এটা রীতিমতো ওপেন সিক্রেট।

আমরা দেশের ভেতরে থেকে টুকটাক বলেছি এবং দেশের বাইরে থেকে আরো খোলাখুলিভাবে বিভিন্ন মানুষ বলার চেষ্টা করেছেন। এখানে সেই যে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় জর্জ সরোস, যিনি মার্কিন ডিপস্টেটের পক্ষে বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তনের জন্য বিনিয়োগ করেন। তারপর সেই সরকারের পতন হলে যারা ক্ষমতায় আসে তাদের কাছ থেকে কয়েক শ গুণ অর্থ আদায় করেন। তো বাংলাদেশে এ রকম জর্জ সরোসের বিনিয়োগ ছিল এই কথা সবাই সমালোচনা করছে।

বিশেষ করে তার ছেলে যখন বাংলাদেশে এলেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করলেন তখন আমরা ধরে নিলাম যে ডালমেকুস কালা হ্যায়।’

জাতিসংঘ যা করে তা মূলত আমেরিকারই কাজ উল্লেখ করে রনি বলেন, ‘কোনো একটা দেশের যুদ্ধ বাধাতে হবে, সেখানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দিয়ে সাধারণ পরিষদ দিয়ে জাতিসংঘের যে মানবাধিকার কমিশন, সেটা দিয়ে এরপর জাতিসংঘের অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন ইউএনএস, সিআর তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো দিয়ে তারা বিভিন্ন দেশের নানা রকম কর্মকাণ্ড চালায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর আমরা এ রকম অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের অসাধারণ কতগুলো তৎপরতা দেখতে পেলাম। বিশ্বব্যাংক খুবই ইতিবাচক মনোভাব দেখাল ২০২৪ সালের প্রথম ৩-৪ মাস আইএমএফ এতটা কো-অপারেটিভ হলো যে ওই প্রথম ৩-৪ মাসে আইএমএফ আওয়ামী লীগ জামানাতে যে ঋণগুলো দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুত ছিল এবং সেখানে প্রায় তিনটি ঋণের কিস্তি তারা ছাড় দিয়েছিল।

ড. মুহম্মদ ইউনূসের জামানাতে তারা ইমিডিয়েটলি সব কিস্তির সুদ নেবেই না, আরো নতুন হয়তো ১০-১৫ বিলিয়ন ডলার তারা দিতে পারে আর বিশ্বব্যাংক হয়তো ৪০-৪৫ বিলিয়ন ডলার দেবে চায়না থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে ইত্যাদি মিলে আমরা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের দেশি-বিদেশি সাহায্য গ্র্যান্ড ঋণ আশা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল যে ২০০ বিলিয়ন ডলার তো দূরের কথা, ২ বিলিয়ন ডলারও আসছে না বরং আওয়ামী লীগ জামানাতে যেসব চুক্তি ছিল। সেই চুক্তির অধীনে যেসব ঋণ আসার কথা ছিল সেসব ঋণের বিরাট অংশ ফেরত গেল।’

রাজনৈতিক এ বিশ্লেষক বলেন, ‘যখন রোহিঙ্গাদের বিষয়টি এলো, দেখলাম জাতিসংঘ মহাসচিব এলেন—তিনি পাঞ্জাবি পরে সেই ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করলেন। লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দিলেন এবং তিনি ঘোষণা করলেন, আগামী যে ঈদুল ফিতর মানে এই যে ২০২৬ সালের যে ঈদ, এই ঈদের উৎসবটি রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে গিয়ে করতে পারবেন। আমরা তো মহাখুশি যেখানে মহাসচিব এসেছেন জাতিসংঘের, যেখানে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কথাবার্তা বলেছেন, এরপর আর কথা থাকে না। কিন্তু পরিস্থিতি দেখা গেল উল্টো। একজন রোহিঙ্গা সেখানে তো গেলই না, উল্টো আরো প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ নতুন রোহিঙ্গা আমাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করল এবং সীমান্তের ওপারে আরো প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা নো ম্যানস জোনে বা কাছাকাছি জায়গাতে তারা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায়, এমনকি জাতিসংঘ চেষ্টা করছে বাংলাদেশের বাকি রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য এটা রীতিমতো আত্মহত্যার মতো রীতিমতো বেঈমানি।’ 

গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘জাতিসংঘ এই বাংলাদেশ থেকে কী অর্জন করতে চেয়েছিল বা তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল, আমরা বলতে পারব না। কিন্তু ইদানীং যেটা হচ্ছে যে পুরো জাতির সঙ্গে এবং আমেরিকা বলতে গেলে এই সরকারের সঙ্গে তাদের যে দহরম-মহরম সম্পর্ক ছিল সেটা তো নেই বরং উল্টো আচরণ করছে। এখন তারা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চাচ্ছে। স্পষ্ট তারা আওয়ামী লীগকে চাচ্ছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করুক তারা চাচ্ছে। এই কথা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন শুনছেন, এনসিপি নেতৃবৃন্দ যখন শুনছেন, জামায়াতের লোক, যারা এই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এটি তাদের জন্য ভীষণ রকম অপমান।’ 

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ নিয়ে যদি কোনো কথা বলা হয় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে, আমেরিকার পক্ষ থেকে তারপর আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে বলা হয় আওয়ামী লীগের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়, শেখ হাসিনার বিচারের সুষ্ঠুতা, বিচারের স্বচ্ছতা ইত্যাদি নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয়—এটা অনেকটা হেমলক পান করা মানে বিষ পান করা বা গলায় দড়িয়ে দিয়ে মরার আগে মানুষের যে দুঃখ হয়—এ রকম দুঃখের চেয়ে কোনো অংশে কম বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। এটা কী ধরনের কথা? যে কাজগুলো আমেরিকা এখন করছে। অতিরিক্ত পশ্চিমারা এখন বাংলাদেশের ঘন ঘন আসছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যারা লোকজন তারা আসছে।’

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ০০:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। পরে স্বাস্থ্যবিষয়ক পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। উনি কেবিনে আছেন। টেস্টের রিপোর্টগুলো বোর্ড পর্যালোচনার পরে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বলে জানান তার প্রেস উইংয়ের সদস্যরা।

গত ৭ জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন। এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে।’

নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন অদম্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার : জন্মদিনে তারেক রহমান

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন অদম্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার : জন্মদিনে তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে শুরু করে বৈশ্বিক অঙ্গনে রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক পর্যন্ত; ডিজিটাল বিশ্ব এখন আমাদের জীবনের প্রতিটি অংশকে প্রভাবিত করছে। প্রযুক্তি যে গতিতে বিশ্ব এবং বাংলাদেশ উভয়কেই বদলে দিয়েছে, তা আমাদের কেউই উপেক্ষা করতে পারে না।

নিজের ৬১তম জন্মদিনে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমার স্ত্রী ও আমি বসে ভাবি—আমাদের শৈশবের পৃথিবী আর আজ আমাদের মেয়ের সামনে থাকা পৃথিবী কতটা ভিন্ন। আর অনেক অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকের মতো আমরাও একইসঙ্গে আশা ও উদ্বেগ অনুভব করি।

আজ সুযোগ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বড়, কিন্তু ঝুঁকিও ততটাই বিস্তৃত।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি সামনে এগোতে চায়, তাহলে আমাদের কন্যা, মায়েরা, বোনেরা, সহকর্মীরা—এভাবে ভয় নিয়ে বাঁচতে পারে না। প্রতিদিন অসংখ্য নারী শুধু কথা বলার জন্য, কাজ করার জন্য, পড়াশোনা করার জন্য বা স্বাধীনভাবে বাঁচার চেষ্টা করার জন্য হয়রানি, হুমকি, বুলিং এবং সহিংসতার মুখোমুখি হন।’

‘এটা সেই বাংলাদেশ নয়, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি। আর এটা আমাদের সেই ভবিষ্যৎও নয় যা আমাদের কন্যারা প্রত্যাশা করে। নারীদের নিরাপদ বোধ করতে হবে—অনলাইনে এবং অফলাইনে, ঘরে এবং বাইরে, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের প্রতিটি ধাপে।’

এ বাস্তবতা গড়ে তুলতে, বিএনপি যে পাঁচটি জরুরি অগ্রাধিকার বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখে তা হলো—

প্রথমত, একটি জাতীয় অনলাইন সেফটি সিস্টেম—যেখানে নারীরা খুব সহজে সাইবার বুলিং, হুমকি, ভুয়া পরিচয় ব্যবহার, বা তথ্য ফাঁসের অভিযোগ জানাতে পারবেন। থাকবে ২৪/৭ হটলাইন, অনলাইন পোর্টাল, এবং প্রশিক্ষিত সাড়া-দাতার দল যারা দ্রুত, সম্মানজনক ও কার্যকর সহায়তা দেবে।

বড় প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় কনটেন্ট মডারেশন আরো উন্নত হবে, এবং অপমানজনক কনটেন্ট দ্রুত অপসারিত হবে।

দ্বিতীয়ত, সার্বজনীন জীবনে থাকা নারীদের জন্য সুরক্ষা প্রোটোকল—যেখানে সাংবাদিক, কর্মী, শিক্ষার্থী বা কমিউনিটি নেত্রী হিসেবে যারা আক্রমণের মুখে পড়েন, তাদের জন্য স্পষ্ট জাতীয় নির্দেশিকা থাকবে। থাকবে দ্রুত আইনি ও ডিজিটাল সহায়তা, গোপনীয়ভাবে অভিযোগ জানানোর পথ এবং এমন একটি পরিবেশ যেখানে কোনো নারীকে জনজীবনে অংশ নেওয়ার কারণে চুপ করানো হবে না।

তৃতীয়ত, ডিজিটাল নিরাপত্তা শিক্ষা—স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরিয়েন্টেশন থেকেই ব্যবহারিক ডিজিটাল নিরাপত্তা শেখানো হবে। প্রশিক্ষিত শিক্ষকরা ‘সেফটি ফোকাল পয়েন্ট’ হিসেবে কাজ করবেন, আর বার্ষিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি তরুণদের ডিজিটাল পৃথিবীতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে।

চতুর্থত, নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে শক্তিশালী কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রতিক্রিয়া—কমিউনিটি হেল্প ডেস্ক, নিরাপদ পরিবহন রুট, উন্নত স্ট্রিট লাইটিং, এবং ট্রমা-সেন্সিটিভ রেসপন্ডারদের মাধ্যমে নারীদের প্রতিদিনের জীবনকে আরও নিরাপদ ও পূর্বানুমেয় করা হবে।

পঞ্চমত, নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ; যেমন নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, পরামর্শদাতা নেটওয়ার্ক, স্কুল-অফিস-কারখানায় শিশু পরিচর্যার বিস্তৃত ব্যবস্থা নারীদের নেতৃত্ব গ্রহণ, অর্জন, ও পূর্ণাঙ্গভাবে অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করবে। কারণ, নারী এগোলে জাতি এগোবে।

সবশেষে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি, ধর্ম, জাতিগত পরিচয় বা লিঙ্গ; যাই হোক না কেন, বাংলাদেশি হিসেবে একটি সত্যে আমাদের এক হতে হবে: নারীরা যখন নিরাপদ, সমর্থিত, এবং ক্ষমতায়িত—বাংলাদেশ তখন অদম্য হয়ে ওঠে। আসুন আমাদের মেয়েদের জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সেই ভবিষ্যৎকে বাস্তবে পরিণত করতে একসঙ্গে কাজ করি।’

উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.