
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:০৬
পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষে ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ।
অনেকটা বিলম্বে হলেও বরিশালবাসীর প্রত্যাশিত ‘ বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (বউক) গঠন হতে যাচ্ছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে একাধিকবার বউক গঠনে উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হলেও এর সপক্ষে দাবি উত্থ্যাপিত ছিল। বিচার-বিশ্লেষণ শেষে উপদেষ্টা পরিষদ ‘বউক’ গঠনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে, যা বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তুলে ধরেন। এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশ পূরণের পথে। খুশির এ খবরে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজনৈতিক সুশীলসমাজসহ সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষ। নগর পরিকল্পনায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একাধিক ব্যক্তিও সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়েছেন।
পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, বরিশাল শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আবহাওয়াগত দিক থেকে নিরাপদ একটি নগর গড়তে ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (বউক) অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, যা মানুষের দীর্ঘদিনে প্রত্যাশা ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে, মূল্যয়ন করতেও ভুল করেনি। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বরিশাল শহরকে কাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে এবং উদ্যোক্তাদের প্রলুব্ধ করবে।
জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে বরিশাল টাউন কমিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পায়, পরবর্তীতে ১৮৭৬ সালে বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটিতে উন্নীত হয়। এরপর ১৯৮৫ সালে বরিশাল শহরকে একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০২ সালে “বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন ২০০২” এর মাধ্যমে পৌরসভা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। তৎসময়ে বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বউক) গঠনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার উদ্যোগ নিলেও একপর্যায়ে থেমে যায় বা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মেয়াদে বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বউক) ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজও শুরু করে। এতে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হলেও পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের বরিশাল শহরে ২০১৬ সালে ‘নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করে। তবে সেখানে রয়েছে জনবলসংকট। ত্রিশটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৫৮ বর্গ কিলোমিটারের বরিশাল সিটিতে দুজন নগর পরিকল্পনাবিদসহ ৬জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কাজ চলছে এই বিভাগের।
শহর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা এমন অন্তত দুজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, এর আগে বরিশাল নগরের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান, নকশা তৈরি করলেও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করেন না। অপরিকল্পিত এই নগরায়নের কারণে শান্ত-স্নিগ্ধ কীর্তনখোলা তীরের জনপদটি ক্রমশই বিবর্ণ হয়ে পড়ছে, হারাচ্ছে জৌলুশ। বিশেষ করে নদী-খাল দখলের মচ্ছপে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কবি জীবনানন্দের প্রাণের বরিশালের পরিবেশ-প্রকৃতি। এমন বাস্তবতায় অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকার বউক গঠনে উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসার দাবি রাখে।
‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ অধ্যাদেশ অনুমোদনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারও। তিনি শনিবার অপরাহ্নে জানান, বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে সরকার। এমন খুশির সংবাদ এই অঞ্চলের মানুষকে অভিভুত করেছে, মন্তব্য করেন বরিশাল সদর আসনের সাবেক এই সাংসদ।
বউক গঠনের প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ কার্যক্রম শুরু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বরিশালের সুশীলসমাজ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ‘একটি নগরের উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে এখন পরিবেশ, প্রতিবেশ, পানি ব্যবস্থাপনাসহ প্রাকৃতিক বিষয়গুলো যুক্ত থাকতে হবে। এর বাইরে কিছু হলে সেই উন্নয়ন নগরবাসীর জন্য অপউন্নয়নে পর্যবসিত হবে। এর জন্য জনপ্রতিনিধি, পানি, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বরিশাল নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে থাকা আবশ্যক। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, নাগরিক সমাজের সমন্বয় করে কমিটি করা গেলে এর সুফল মিলবে।
‘উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনের উদ্যোগকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন বরিশাল নগর-পরিকল্পনাবিদ মিলন মন্ডল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নগর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তার ভাষায়, বরিশাল নগরকে এখনো পরিকল্পিত আদর্শ নগর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনামাফিক এগোনো ও সদিচ্ছা। মূল শহরের বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার এখন আর সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নগরকে যানজটমুক্ত করতে সিটি সার্কুলার রোড করা যেতে পারে। একই সঙ্গে খালগুলো খনন করে হাঁটার পথ ও পাড়ে গাছ লাগানো গেলে নগরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি এসব খাল যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব।
বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত হওয়া গেছে, ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পর বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ স্থানীয় প্রশাসন থেকে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে। যেমন ঢাকার দুই সিটি এলাকায় ভবনের নকশা, জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ বেশ কিছু কাজের ক্ষমতা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) হাতে।
বউক গঠন করে বরিশাল শহরকে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল করার সরকারের এই উদ্যোগকে রাজনৈতিকদের পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজও ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃক্ষ’ বরিশাল শহরকে কাঠামোগত উন্নয়নের দিকে ধাবিত করবে। এবং বরিশাল হবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নিরাপদ নগরী।’
পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষে ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ।
অনেকটা বিলম্বে হলেও বরিশালবাসীর প্রত্যাশিত ‘ বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (বউক) গঠন হতে যাচ্ছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সরকার অতীতে একাধিকবার বউক গঠনে উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হলেও এর সপক্ষে দাবি উত্থ্যাপিত ছিল। বিচার-বিশ্লেষণ শেষে উপদেষ্টা পরিষদ ‘বউক’ গঠনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে, যা বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তুলে ধরেন। এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশ পূরণের পথে। খুশির এ খবরে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রাজনৈতিক সুশীলসমাজসহ সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষ। নগর পরিকল্পনায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একাধিক ব্যক্তিও সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়েছেন।
পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, বরিশাল শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আবহাওয়াগত দিক থেকে নিরাপদ একটি নগর গড়তে ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ (বউক) অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, যা মানুষের দীর্ঘদিনে প্রত্যাশা ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে, মূল্যয়ন করতেও ভুল করেনি। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বরিশাল শহরকে কাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে এবং উদ্যোক্তাদের প্রলুব্ধ করবে।
জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে বরিশাল টাউন কমিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পায়, পরবর্তীতে ১৮৭৬ সালে বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটিতে উন্নীত হয়। এরপর ১৯৮৫ সালে বরিশাল শহরকে একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০২ সালে “বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন ২০০২” এর মাধ্যমে পৌরসভা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। তৎসময়ে বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বউক) গঠনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার উদ্যোগ নিলেও একপর্যায়ে থেমে যায় বা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মেয়াদে বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বউক) ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজও শুরু করে। এতে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হলেও পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের বরিশাল শহরে ২০১৬ সালে ‘নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করে। তবে সেখানে রয়েছে জনবলসংকট। ত্রিশটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৫৮ বর্গ কিলোমিটারের বরিশাল সিটিতে দুজন নগর পরিকল্পনাবিদসহ ৬জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কাজ চলছে এই বিভাগের।
শহর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা এমন অন্তত দুজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, এর আগে বরিশাল নগরের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান, নকশা তৈরি করলেও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন করেন না। অপরিকল্পিত এই নগরায়নের কারণে শান্ত-স্নিগ্ধ কীর্তনখোলা তীরের জনপদটি ক্রমশই বিবর্ণ হয়ে পড়ছে, হারাচ্ছে জৌলুশ। বিশেষ করে নদী-খাল দখলের মচ্ছপে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কবি জীবনানন্দের প্রাণের বরিশালের পরিবেশ-প্রকৃতি। এমন বাস্তবতায় অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকার বউক গঠনে উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসার দাবি রাখে।
‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ অধ্যাদেশ অনুমোদনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারও। তিনি শনিবার অপরাহ্নে জানান, বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে সরকার। এমন খুশির সংবাদ এই অঞ্চলের মানুষকে অভিভুত করেছে, মন্তব্য করেন বরিশাল সদর আসনের সাবেক এই সাংসদ।
বউক গঠনের প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ কার্যক্রম শুরু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বরিশালের সুশীলসমাজ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ‘একটি নগরের উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে এখন পরিবেশ, প্রতিবেশ, পানি ব্যবস্থাপনাসহ প্রাকৃতিক বিষয়গুলো যুক্ত থাকতে হবে। এর বাইরে কিছু হলে সেই উন্নয়ন নগরবাসীর জন্য অপউন্নয়নে পর্যবসিত হবে। এর জন্য জনপ্রতিনিধি, পানি, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বরিশাল নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে থাকা আবশ্যক। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, নাগরিক সমাজের সমন্বয় করে কমিটি করা গেলে এর সুফল মিলবে।
‘উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনের উদ্যোগকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন বরিশাল নগর-পরিকল্পনাবিদ মিলন মন্ডল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নগর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তার ভাষায়, বরিশাল নগরকে এখনো পরিকল্পিত আদর্শ নগর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনামাফিক এগোনো ও সদিচ্ছা। মূল শহরের বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার এখন আর সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে নগরকে যানজটমুক্ত করতে সিটি সার্কুলার রোড করা যেতে পারে। একই সঙ্গে খালগুলো খনন করে হাঁটার পথ ও পাড়ে গাছ লাগানো গেলে নগরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি এসব খাল যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব।
বিভিন্ন মাধ্যম নিশ্চিত হওয়া গেছে, ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পর বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ স্থানীয় প্রশাসন থেকে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যাবে। যেমন ঢাকার দুই সিটি এলাকায় ভবনের নকশা, জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ বেশ কিছু কাজের ক্ষমতা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) হাতে।
বউক গঠন করে বরিশাল শহরকে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল করার সরকারের এই উদ্যোগকে রাজনৈতিকদের পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজও ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ‘বরিশাল উন্নয়ন কর্তৃক্ষ’ বরিশাল শহরকে কাঠামোগত উন্নয়নের দিকে ধাবিত করবে। এবং বরিশাল হবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নিরাপদ নগরী।’
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।
আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।
আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।
সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।
আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।
আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।
সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৯
অক্টোবর মাসে প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী বরিশালের সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পরে, চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে আরও প্রায় ১ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ১ জন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গত মাসে ৮ জনসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ৪২ জনের নাম। শুক্রবারও দুপুর পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন সাড়ে ১৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী।
অথচ নভেম্বর শুরু হলেও বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে আরও অবনতি ঘটছে। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, “মানুষ তার শরীর ও মনের অত্যন্ত দুর্বলতম ও নাজুক পর্যায় ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কাছে যান না।” ফলে সরকারি হাসপাতালসমূহে ভর্তির অন্তত ১০ গুণ রোগী এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় নতুন করে বাড়তে শুরু করে। অক্টোবর মাসজুড়ে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছে। সেপ্টেম্বর মাসেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই ছিল। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম ৭ দিনের পরিসংখ্যানও পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন রোগীকে ঘরে ফেরত পাঠানোর পরেও হাসপাতালসমূহে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩১ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও আরও ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফলে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকগণ। অথচ বিগত বছরগুলোতে আগস্টের পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা কমতে দেখা গেছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে চলতি বছরের সর্বাধিক সংখ্যক, প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হলেও অক্টোবর শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে শুরু করে। যা মধ্য অক্টোবরেই আরও নাজুক আকার ধারণ করে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরেও অধিকসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসার পরে নভেম্বরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন না চিকিৎসকগণ।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের আরও কয়েক গুণ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিলেও সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের পরে নভেম্বরেও বরিশাল অঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
অক্টোবর মাসে প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী বরিশালের সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পরে, চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে আরও প্রায় ১ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ১ জন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গত মাসে ৮ জনসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ৪২ জনের নাম। শুক্রবারও দুপুর পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন সাড়ে ১৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী।
অথচ নভেম্বর শুরু হলেও বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে আরও অবনতি ঘটছে। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, “মানুষ তার শরীর ও মনের অত্যন্ত দুর্বলতম ও নাজুক পর্যায় ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কাছে যান না।” ফলে সরকারি হাসপাতালসমূহে ভর্তির অন্তত ১০ গুণ রোগী এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় নতুন করে বাড়তে শুরু করে। অক্টোবর মাসজুড়ে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছে। সেপ্টেম্বর মাসেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই ছিল। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম ৭ দিনের পরিসংখ্যানও পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন রোগীকে ঘরে ফেরত পাঠানোর পরেও হাসপাতালসমূহে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩১ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও আরও ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফলে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকগণ। অথচ বিগত বছরগুলোতে আগস্টের পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা কমতে দেখা গেছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে চলতি বছরের সর্বাধিক সংখ্যক, প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হলেও অক্টোবর শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে শুরু করে। যা মধ্য অক্টোবরেই আরও নাজুক আকার ধারণ করে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরেও অধিকসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসার পরে নভেম্বরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন না চিকিৎসকগণ।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের আরও কয়েক গুণ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিলেও সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের পরে নভেম্বরেও বরিশাল অঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৭
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি হোটেল রেস্তোরার সামনে অসুস্থ রোগাক্রান্ত কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। যা জনজীবনে রোগ জীবাণু রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এসব কুকুর দমনের পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বন্দর, বাস স্ট্যান্ড, চৌমাথা, কালিগঞ্জ বাজার, বোয়ালিয়া এলাকায় এসব অসুস্থ কুকুরের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেলের সামনে এদের বিচারণ লক্ষ্য করা যায়।
অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত এসব কুকুরের মাধ্যমে জনজীবনে রোগ ছড়ানো সহ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে, কারণ এদের সংস্পর্শ বা কামড়ে জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাঘাটে দল বেঁধে এসব কুকুর চলাফেরা করার ফলে মানুষের ব্যবহার যোগ্য কোন জিনিসে অনায়াসে সংস্পর্শ হতে পারে। ফলে সংক্রমিত হতে পারে রোগ জীবাণু।
বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি অসুস্থ কুকুর লক্ষ্য করা গেছে, যাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের স্পটে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে, যার বিশ্রী গন্ধে হাঁটাচলা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব অসুস্থ কুকুর হোটেল রেস্তোরাঁ র সামনে অবস্থান করে খাবারের পরিবেশকে মানহীন করে তুলছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সুশীল সমাজের দাবি জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিবেচনা করে বেওয়ারিশ কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা।
এসব রোগাক্রান্ত কুকুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে যার দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। গন্ধে তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া দুষ্কর। এসব কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি হোটেল রেস্তোরার সামনে অসুস্থ রোগাক্রান্ত কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। যা জনজীবনে রোগ জীবাণু রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এসব কুকুর দমনের পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বন্দর, বাস স্ট্যান্ড, চৌমাথা, কালিগঞ্জ বাজার, বোয়ালিয়া এলাকায় এসব অসুস্থ কুকুরের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেলের সামনে এদের বিচারণ লক্ষ্য করা যায়।
অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত এসব কুকুরের মাধ্যমে জনজীবনে রোগ ছড়ানো সহ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে, কারণ এদের সংস্পর্শ বা কামড়ে জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাঘাটে দল বেঁধে এসব কুকুর চলাফেরা করার ফলে মানুষের ব্যবহার যোগ্য কোন জিনিসে অনায়াসে সংস্পর্শ হতে পারে। ফলে সংক্রমিত হতে পারে রোগ জীবাণু।
বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি অসুস্থ কুকুর লক্ষ্য করা গেছে, যাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের স্পটে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে, যার বিশ্রী গন্ধে হাঁটাচলা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব অসুস্থ কুকুর হোটেল রেস্তোরাঁ র সামনে অবস্থান করে খাবারের পরিবেশকে মানহীন করে তুলছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সুশীল সমাজের দাবি জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিবেচনা করে বেওয়ারিশ কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা।
এসব রোগাক্রান্ত কুকুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে যার দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। গন্ধে তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া দুষ্কর। এসব কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.