২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৮
পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মৈত্রকে (৫২) হাতুড়িপেটা করে তার দুই পা ও হাত ভেঙে দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝরঝরিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নবগঠিত পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দুই গ্রুপের কোন্দলের জেরে বিপুল মৈত্রকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামানের সমর্থক। আরেক গ্রুপ সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সরদার কামরুজ্জামান চানের সমর্থকরা তাঁর ওপর হামলা করে। মারাত্মক আহত বিপুল মৈত্রকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরদার কামরুজ্জামান চানকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, হামলার ঘটনার আগে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কামরুজ্জামান চান তাঁর দলবল নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলিজা জামানকে নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এলিজা জামান তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছেন যা মেনে নিতে পারেননি তারা। আর এটা নিয়েই বিরোধের সৃষ্টি।
জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়েয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলিজা জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে প্রধান শিক্ষক ও অপর আরেকজন শিক্ষক মোটরসাইকেলে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন। পথে কমদতলার ঝরঝরিতলা এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘একজন শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকদারমল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মৈত্রকে (৫২) হাতুড়িপেটা করে তার দুই পা ও হাত ভেঙে দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ঝরঝরিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নবগঠিত পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দুই গ্রুপের কোন্দলের জেরে বিপুল মৈত্রকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামানের সমর্থক। আরেক গ্রুপ সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সরদার কামরুজ্জামান চানের সমর্থকরা তাঁর ওপর হামলা করে। মারাত্মক আহত বিপুল মৈত্রকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সরদার কামরুজ্জামান চানকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, হামলার ঘটনার আগে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কামরুজ্জামান চান তাঁর দলবল নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলিজা জামানকে নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এলিজা জামান তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়েছেন যা মেনে নিতে পারেননি তারা। আর এটা নিয়েই বিরোধের সৃষ্টি।
জুজখোলা বহুমুখী সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়েয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলিজা জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে প্রধান শিক্ষক ও অপর আরেকজন শিক্ষক মোটরসাইকেলে পিরোজপুর যাচ্ছিলেন। পথে কমদতলার ঝরঝরিতলা এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘একজন শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৩
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৫
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৩১
পিরোজপুরে জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রের ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের ঝারঝারিয়াতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ছুটি শেষে প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র মোটরসাইকেলে পিরোজপুর শহরে ফিরছিলেন। পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা বিপুল মিত্রের ওপর হামলা করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারকেও পিটিয়ে আহত করে।
শিক্ষক অসীম কুমার বলেনর, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যালয় শেষে প্রধান শিক্ষক বিপুলের মোটরসাইকেলে আমি পিরোজপুর শহরে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে আমাদের পথরোধ করে। পরে তারা বিপুল মিত্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং একপর্যায়ে তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয়। এ সময় আমিও আহত হই।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে বিপুল মিত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার অর্থপেডিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রঞ্জন কুমার বলেন, বিপুল মিত্রকে দুই পা ও ডান হাত ভাঙা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এলিজা জামান বলেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পর বিকেলে এ হামলার খবর পাই।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিরোজপুরে জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্রের ওপর হামলা চালিয়ে তার দুই পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের ঝারঝারিয়াতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ছুটি শেষে প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র মোটরসাইকেলে পিরোজপুর শহরে ফিরছিলেন। পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা বিপুল মিত্রের ওপর হামলা করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারকেও পিটিয়ে আহত করে।
শিক্ষক অসীম কুমার বলেনর, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যালয় শেষে প্রধান শিক্ষক বিপুলের মোটরসাইকেলে আমি পিরোজপুর শহরে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে আমাদের পথরোধ করে। পরে তারা বিপুল মিত্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং একপর্যায়ে তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয়। এ সময় আমিও আহত হই।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে বিপুল মিত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার অর্থপেডিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রঞ্জন কুমার বলেন, বিপুল মিত্রকে দুই পা ও ডান হাত ভাঙা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এলিজা জামান বলেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পর বিকেলে এ হামলার খবর পাই।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৭
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দুইদিন ব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৫২ তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াদ মাহমুদ সিকদার,একাডেমিক সুপারভাইজার রিয়াজুল ইসলাম, জোলাগাতি মুসলিম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী, হোগলা বেতকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিরণ চন্দ্র হালদার, আয়রন জয়কুল মোদাচ্ছের মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নান্না মিয়া, কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল হোসেন মনির মোল্লা, কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান মিজানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। প্রতিযোগিতায় ৩১ টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দুইদিন ব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে ৫২ তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াদ মাহমুদ সিকদার,একাডেমিক সুপারভাইজার রিয়াজুল ইসলাম, জোলাগাতি মুসলিম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী, হোগলা বেতকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিরণ চন্দ্র হালদার, আয়রন জয়কুল মোদাচ্ছের মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নান্না মিয়া, কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল হোসেন মনির মোল্লা, কেউন্দিয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান মিজানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। প্রতিযোগিতায় ৩১ টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৯
পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে রায়েরকাঠী হয়ে নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার প্রায় সব অংশেই দেখা গেছে গর্ত ও খানাখন্দ। শুকনা মৌসুমে ধুলার ঝড় আর বর্ষায় জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এই সড়কটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র শ্রীরামকাঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। আগে প্রতিদিন শত শত যান চলাচল করত। এখন কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আর এই পথে চলেন না। সাধারণ মানুষ বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছেন, এতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ‘ইফতি ইটিসিএল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই রাস্তার নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুইটি প্যাকেজে মোট ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর, শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৫ নভেম্বর। কিন্তু অভিযোগ আছে, কাজ শুরু না করেই ঠিকাদার পুরো টাকা তুলে নিয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, ৬ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এই দুর্ভোগে আছেন। আগে রাস্তায় প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলত, এখন চলেই না বলা যায়। তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার টাকা তুলেও কাজ করেননি, অথচ তাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক শাহিন শেখ বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো মানেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। প্রতিদিন গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে নষ্ট হয়, যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন। আগে দিনে ১৫-২০ বার যাতায়াত করতাম, এখন ১-২ বারও যাই না।
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার পণ্য আনতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। চালকেরা এই রাস্তায় আসতে চান না, ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে। ব্যবসায় বড় ক্ষতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তার বলেন, স্কুলে যেতে গিয়ে ধুলা আর কাদার ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষায় হাঁটা যায় না, শুকনো মৌসুমে ধুলায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন রাস্তা পড়াশোনার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, এই রাস্তায় অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। অ্যাম্বুলেন্স গর্তে আটকে যায়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় মোট ৭০০ কিলোমিটার সড়ক থাকলেও এর মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারই চলাচলের অযোগ্য। এর মধ্যে পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী সড়কটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, এই রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। সম্ভবত টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। সরকারি টাকা কাজ না করেই তোলা হয়েছে, তাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছাড়া আমরা কিছু করতে পারছি না।
পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে রায়েরকাঠী হয়ে নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার প্রায় সব অংশেই দেখা গেছে গর্ত ও খানাখন্দ। শুকনা মৌসুমে ধুলার ঝড় আর বর্ষায় জমে থাকা পানিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।
এই সড়কটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র শ্রীরামকাঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। আগে প্রতিদিন শত শত যান চলাচল করত। এখন কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আর এই পথে চলেন না। সাধারণ মানুষ বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছেন, এতে সময় ও খরচ দুটোই বেড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ‘ইফতি ইটিসিএল’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই রাস্তার নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুইটি প্যাকেজে মোট ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর, শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৫ নভেম্বর। কিন্তু অভিযোগ আছে, কাজ শুরু না করেই ঠিকাদার পুরো টাকা তুলে নিয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, ৬ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এই দুর্ভোগে আছেন। আগে রাস্তায় প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলত, এখন চলেই না বলা যায়। তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার টাকা তুলেও কাজ করেননি, অথচ তাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক শাহিন শেখ বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালানো মানেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। প্রতিদিন গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে নষ্ট হয়, যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন। আগে দিনে ১৫-২০ বার যাতায়াত করতাম, এখন ১-২ বারও যাই না।
ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যবসার পণ্য আনতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। চালকেরা এই রাস্তায় আসতে চান না, ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে। ব্যবসায় বড় ক্ষতি হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমানা আক্তার বলেন, স্কুলে যেতে গিয়ে ধুলা আর কাদার ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্ষায় হাঁটা যায় না, শুকনো মৌসুমে ধুলায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন রাস্তা পড়াশোনার আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, এই রাস্তায় অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। অ্যাম্বুলেন্স গর্তে আটকে যায়। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় মোট ৭০০ কিলোমিটার সড়ক থাকলেও এর মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারই চলাচলের অযোগ্য। এর মধ্যে পিরোজপুর-শ্রীরামকাঠী সড়কটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি পিরোজপুরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, এই রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। সম্ভবত টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। তারা তদন্ত করছেন। সরকারি টাকা কাজ না করেই তোলা হয়েছে, তাই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছাড়া আমরা কিছু করতে পারছি না।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.