
১৩ জুন, ২০২৫ ১৩:২১
পটুয়াখালীর মহিপুর সদর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে একটি নতুন কালভার্ট। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে এলাকাবাসীর চলাচলে তৈরি হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ইউসুফপুরসহ আশপাশের গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাশের সরু বাঁধ দিয়ে হাঁটুসমান কাদায় নেমে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও স্কুল-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। বর্ষায় চলাচল আরো বেশি বিপজ্জনক। এছাড়া জোয়ারের সময় বাঁধে পানি উঠে গেলে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ সিকদার বলেন, ‘এই বয়সে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। জোয়ারের সময় বাঁধে পানি উঠে গেলে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন কাদা-পানি পেরিয়ে যেতে হয়। অনেকেই কাদায় পড়ে যায়। প্রতিদিন যেন যুদ্ধ করে বাঁচি।’
শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের মাদরাসা কালভার্টের ওপারে। এখান থেকে যেতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যাই। কখনো কখনো ক্লাসেই যেতে পারি না।’
পথচারী আছিয়া বেগম বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে প্রায়ই এ পথ দিয়ে চলাচল করি। খুব ভয় লাগে, কখন জানি পা পিছলে পড়ে যাই। এই দীর্ঘদিনের কষ্ট থেকে মুক্তি চাই।’
এলাকার অনেকে জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটছে। জরুরি রোগী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছানো যায় না। এতে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকে। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি তাদের।
স্থানীয় জামায়াত নেতা তোফাজ্জেল হোসাইন সিপাহী বলেন, ‘সরকারি অর্থে এমন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো তৈরি করে ফেলে রাখা দুঃখজনক। সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অতিসত্বর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হোক।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মোকসেদুল আলম বলেন, ‘কালভার্টটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই এলাকাবাসী এর সুফল পাবে।’
পটুয়াখালীর মহিপুর সদর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে একটি নতুন কালভার্ট। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে এলাকাবাসীর চলাচলে তৈরি হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ইউসুফপুরসহ আশপাশের গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাশের সরু বাঁধ দিয়ে হাঁটুসমান কাদায় নেমে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও স্কুল-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। বর্ষায় চলাচল আরো বেশি বিপজ্জনক। এছাড়া জোয়ারের সময় বাঁধে পানি উঠে গেলে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ সিকদার বলেন, ‘এই বয়সে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। জোয়ারের সময় বাঁধে পানি উঠে গেলে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন কাদা-পানি পেরিয়ে যেতে হয়। অনেকেই কাদায় পড়ে যায়। প্রতিদিন যেন যুদ্ধ করে বাঁচি।’
শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের মাদরাসা কালভার্টের ওপারে। এখান থেকে যেতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যাই। কখনো কখনো ক্লাসেই যেতে পারি না।’
পথচারী আছিয়া বেগম বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে প্রায়ই এ পথ দিয়ে চলাচল করি। খুব ভয় লাগে, কখন জানি পা পিছলে পড়ে যাই। এই দীর্ঘদিনের কষ্ট থেকে মুক্তি চাই।’
এলাকার অনেকে জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটছে। জরুরি রোগী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছানো যায় না। এতে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকে। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি তাদের।
স্থানীয় জামায়াত নেতা তোফাজ্জেল হোসাইন সিপাহী বলেন, ‘সরকারি অর্থে এমন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো তৈরি করে ফেলে রাখা দুঃখজনক। সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অতিসত্বর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হোক।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মোকসেদুল আলম বলেন, ‘কালভার্টটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই এলাকাবাসী এর সুফল পাবে।’

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:১৪
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় গ্রামজুড়ে নবান্নের আনন্দ ফিরে এসেছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের দোলায় কৃষকদের ব্যস্ততায় মুখর হয়ে উঠেছে জনপদ। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলার লেবুখালী, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এখন ধান কাটার ধুম। অনেক জায়গায় কৃষকরা নিজ উদ্যোগে ধান কাটছেন, আবার শ্রমিক সংকটের কারণে কোথাও কোথাও যান্ত্রিক হারভেস্টারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কৃষিকাজে সহযোগিতা করছেন পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরাও।
লেবুখালী ইউনিয়নের কৃষক আবদুস সালাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধানের বাজারদর ঠিক থাকলে লাভের মুখ দেখা যাবে। একই এলাকার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের কৃষক সৈয়দ জিয়াউল হাসান বলেন, অতিবৃষ্টি না হওয়ায় ধান ক্ষতির মুখে পড়েনি। আশা করছি এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে দুমকি উপজেলায় ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় ফলন সন্তোষজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো ধান কেটে নিরাপদে ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
নতুন ধান ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কৃষক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে হাসি ও স্বস্তি। ধান কাটার ব্যস্ততার মাঝেই দুমকির গ্রামগুলোতে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ও প্রাণচাঞ্চল্যের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় আমন ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় গ্রামজুড়ে নবান্নের আনন্দ ফিরে এসেছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের দোলায় কৃষকদের ব্যস্ততায় মুখর হয়ে উঠেছে জনপদ। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজে সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলার লেবুখালী, মুরাদিয়া, আঙ্গারিয়া ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে এখন ধান কাটার ধুম। অনেক জায়গায় কৃষকরা নিজ উদ্যোগে ধান কাটছেন, আবার শ্রমিক সংকটের কারণে কোথাও কোথাও যান্ত্রিক হারভেস্টারের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কৃষিকাজে সহযোগিতা করছেন পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরাও।
লেবুখালী ইউনিয়নের কৃষক আবদুস সালাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধানের বাজারদর ঠিক থাকলে লাভের মুখ দেখা যাবে। একই এলাকার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের কৃষক সৈয়দ জিয়াউল হাসান বলেন, অতিবৃষ্টি না হওয়ায় ধান ক্ষতির মুখে পড়েনি। আশা করছি এবার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে দুমকি উপজেলায় ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। রোগবালাই তুলনামূলক কম থাকায় ফলন সন্তোষজনক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো ধান কেটে নিরাপদে ঘরে তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
নতুন ধান ঘরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে গ্রামে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কৃষক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে হাসি ও স্বস্তি। ধান কাটার ব্যস্ততার মাঝেই দুমকির গ্রামগুলোতে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ও প্রাণচাঞ্চল্যের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৮
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির একাধিক ছবি যাচাই করে জানা যায়, ওই ব্যক্তির বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। তার নাম ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল। অতীতে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে আদাবর থানায় মামলা রয়েছে।
সরেজমিনে মাসুদের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাবা হুমায়ুন কবির ওরফে মালেক প্রায় ৩৫ বছর আগে গ্রাম ছেড়ে আগে চলে যান। পুরো পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকেন। সন্দেহভাজন হামলাকারী মাসুদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায় হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে সে কখনও আসেনি। গ্রামের কেউই তাকে দেখেনি বা চেনেও না। গ্রামে তাদের যে সম্পত্তি ছিল, তাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের চাচি মিনারা বেগম জানান, মাসুদের পরিবার ৩৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকে। আমরা কখনও তাদের দেখিনি এবং তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগও নেই।
এদিকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। তাকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
স্থানীয় বাসিন্দা বাচ্চু হাওলাদার বলেন, হুমায়ুন কবিরকে আমরা মালেক নামে চিনি। এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে ঢাকায় চলে গেছেন। বাড়িতে তাদের ঘরবাড়িও নেই। সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
বাউফল থানার পরিদর্শক (এসআই তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রযোাজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৮
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, বাসা নম্বর ৪১, রোড নম্বর ৯-এ বসবাস করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও পিসিআর রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ফয়সাল করিম মাসুদের পিসিআর রিপোর্টের তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ তথ্য বাউফলে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবক ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বলে জানা গেছে।
পুলিশের পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, ফয়সাল করিম মাসুদের স্থায়ী ঠিকানা বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম হুমায়ুন কবির।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকার আদাবর থানাধীন পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, বাসা নম্বর ৪১, রোড নম্বর ৯-এ বসবাস করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও পিসিআর রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
ফয়সাল করিম মাসুদের পিসিআর রিপোর্টের তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ তথ্য বাউফলে জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাউফলসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুলের পরিবারের কেউ বর্তমানে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন না। তারা অনেক আগেই সব সম্পত্তি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপরও সম্ভাব্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওই এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.