
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ করতে বারণ, চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি বিমুখ রাখতে নড়েচড়ে বসেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) প্রশাসন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানো এমনকি বিশেষ কোনো নেতার সাথে ক্যামেরাবন্দি ছবি সমাজপাতায় প্রকাশ-প্রচারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বারণ করা হয়েছে। এবং এনিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে বিসিসি প্রশাসন অফিস আদেশও জারি করেছে। বিসিসি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে রাজনীতিবিদেরা স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখলেও অভিজ্ঞ মহলের পাশাপাশি সমাজকর্মীরা বিষয়টিকে ইতিবাচক এবং সমপোযোগী বলছেন।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের শাসনামলে সরকারি দপ্তরসমূহে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ লক্ষ্যণীয় ছিল। চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে অধিকাংশ দপ্তরের ‘টপ টু বটম’ কর্মকর্তা-কর্মচারী দলবাজ হয়ে পড়েছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরে প্রত্যাশা ছিল অন্তত সরকারি দপ্তরসমূহ দলবাজমুক্ত হবে। কিন্তু মোটেও তা হয়নি, বরং আগের ন্যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। এমনকি দলীয় পদ-পদবি বহন করাসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে কর্মে ফাঁকি দিয়ে সেবাগ্রহিতাদের বিড়াম্বনায় ফেলছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশিমাত্রায় দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের লেজুড়বৃত্তি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, ব্যানার সাটানোসহ দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে সমালোচনা হয়। এবং কেউ কেউ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ছবি তুলে তা ব্যক্তিগত ফেসবুকেও পোস্ট করেন, যা চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘনের সামিল। এই বিষয়টি নজরে আসার পরে প্রশাসক রায়হান কাওসার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।
সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত ৯ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধ। এ অবস্থায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, মিছিলে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জনস্বার্থে বিসিসি প্রশাসনের এই নড়েচড়ে বসায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব বিষয়টির বিরোধীতা করছে। প্রাসঙ্গিক এই বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, অফিস শেষে বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিলে বিসিসি বাধা দিতে পারে না। এটা যে কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, এভাবে রাজনীতিতে বাধা দেওয়া ঠিক না।
বাসদের জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তীও বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতার মত অনুরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এবং রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে। অফিস সময়ের বাইরে রাজনীতি করার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা ঠিক হবে না।
তবে বরিশাল সিটি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি নুর খান বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে সকলে আইনে মানতে বাধ্য। কিন্তু অনেকে কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াসহ দলীয় নেতাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে সেই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে প্রভাব বিস্তার করছেন। বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে নেতিবাচক আলোচনা হয় এবং তা বিসিসি প্রশাসনের কানেও এসেছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার পোস্টার সাটানোর বিষয়টি খোদ প্রশাসক রায়হান কাওসারের নজরে আসলে তিনি বিব্রতবোধ করেন।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, চাকরি আইনে অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিতে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে অনেকে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন, বিষয়টি নজরে আসার পরে গত ৯ নভেম্বর আদেশ জারি করে এগুলো করতে বারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ এমন চাকরিপরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল সিটির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওসার ইতিমধ্যে সরকারি প্রতিটি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাকে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে রাজনীতিতে জড়াতে বারণ করেছেন। এরপরেও যদি কেউ এই ধরনের কর্মকান্ডে জড়িয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সমালোচিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকিও থাকছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীলমহল। এনিয়ে শহরের কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা সমাজকর্মী কাজী এনায়েত হোসেন শিবলুর অভিব্যক্তি হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনীতিতে জড়িয়ে খেসারত হিসেবে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, আবার অনেকের মাথায় শাস্তির খড়গ ঝুলছে। কিন্তু এরপরেও তারা দলবাজি ছাড়তে চাইছেন না, যা জনসাধারণের জন্য অস্বস্তিকর। তবে এবার বরিশাল সিটির প্রশাসক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কতটুকু বাস্তবায়ন হয়, সেটা এখন দেখতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ করতে বারণ, চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি বিমুখ রাখতে নড়েচড়ে বসেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) প্রশাসন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানো এমনকি বিশেষ কোনো নেতার সাথে ক্যামেরাবন্দি ছবি সমাজপাতায় প্রকাশ-প্রচারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বারণ করা হয়েছে। এবং এনিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে বিসিসি প্রশাসন অফিস আদেশও জারি করেছে। বিসিসি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে রাজনীতিবিদেরা স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখলেও অভিজ্ঞ মহলের পাশাপাশি সমাজকর্মীরা বিষয়টিকে ইতিবাচক এবং সমপোযোগী বলছেন।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের শাসনামলে সরকারি দপ্তরসমূহে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ লক্ষ্যণীয় ছিল। চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে অধিকাংশ দপ্তরের ‘টপ টু বটম’ কর্মকর্তা-কর্মচারী দলবাজ হয়ে পড়েছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরে প্রত্যাশা ছিল অন্তত সরকারি দপ্তরসমূহ দলবাজমুক্ত হবে। কিন্তু মোটেও তা হয়নি, বরং আগের ন্যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করছেন। এমনকি দলীয় পদ-পদবি বহন করাসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে কর্মে ফাঁকি দিয়ে সেবাগ্রহিতাদের বিড়াম্বনায় ফেলছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই প্রবনতা বেশিমাত্রায় দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের লেজুড়বৃত্তি করে শহরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, ব্যানার সাটানোসহ দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে সমালোচনা হয়। এবং কেউ কেউ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ছবি তুলে তা ব্যক্তিগত ফেসবুকেও পোস্ট করেন, যা চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘনের সামিল। এই বিষয়টি নজরে আসার পরে প্রশাসক রায়হান কাওসার ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।
সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত ৯ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘সিটি করপোরেশনের কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সভা, সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপরাধ। এ অবস্থায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, মিছিলে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জনস্বার্থে বিসিসি প্রশাসনের এই নড়েচড়ে বসায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব বিষয়টির বিরোধীতা করছে। প্রাসঙ্গিক এই বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, অফিস শেষে বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিলে বিসিসি বাধা দিতে পারে না। এটা যে কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, এভাবে রাজনীতিতে বাধা দেওয়া ঠিক না।
বাসদের জেলা সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তীও বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতার মত অনুরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এবং রাজনীতি করার অধিকার সবারই আছে। অফিস সময়ের বাইরে রাজনীতি করার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা ঠিক হবে না।
তবে বরিশাল সিটি কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি নুর খান বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে সকলে আইনে মানতে বাধ্য। কিন্তু অনেকে কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াসহ দলীয় নেতাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে সেই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে প্রভাব বিস্তার করছেন। বিষয়টি নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে নেতিবাচক আলোচনা হয় এবং তা বিসিসি প্রশাসনের কানেও এসেছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার পোস্টার সাটানোর বিষয়টি খোদ প্রশাসক রায়হান কাওসারের নজরে আসলে তিনি বিব্রতবোধ করেন।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, চাকরি আইনে অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিতে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে অনেকে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন, বিষয়টি নজরে আসার পরে গত ৯ নভেম্বর আদেশ জারি করে এগুলো করতে বারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ এমন চাকরিপরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল সিটির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওসার ইতিমধ্যে সরকারি প্রতিটি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাকে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে রাজনীতিতে জড়াতে বারণ করেছেন। এরপরেও যদি কেউ এই ধরনের কর্মকান্ডে জড়িয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সমালোচিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকিও থাকছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীলমহল। এনিয়ে শহরের কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা সমাজকর্মী কাজী এনায়েত হোসেন শিবলুর অভিব্যক্তি হচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনীতিতে জড়িয়ে খেসারত হিসেবে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, আবার অনেকের মাথায় শাস্তির খড়গ ঝুলছে। কিন্তু এরপরেও তারা দলবাজি ছাড়তে চাইছেন না, যা জনসাধারণের জন্য অস্বস্তিকর। তবে এবার বরিশাল সিটির প্রশাসক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কতটুকু বাস্তবায়ন হয়, সেটা এখন দেখতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৮
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৩৪
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৬

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৮
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি, বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তার বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০/১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়, কিন্তু এরআগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি, বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তার বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০/১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়, কিন্তু এরআগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৫
বরিশালের রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগের দুই নেতাকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন তালুকদার এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানকে শনিবার সকালে স্থানীয় বৌসেরহাট বাজারে আটক করে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা পুলিশের টিম গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি আ’লীগ নেতা মিজান এবং যুবলীগ নেতা লিটন এলাকায় অবস্থান করাসহ সরকারবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। এতে তাদের ওপর সংক্ষুব্ধ ছিল এলাকাবাসী, শনিবার বৌসেরহাট বাজারে দুজনকে ধরে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদী হাসানাত ফিরোজ বরিশালটাইমসকে জানান, মিজান এবং লিটন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রায়পাশা-কড়াপুরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। এবং ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছেন, সেই ঘটনায় মামলার আসামিও এই দুজন। কিছুদিন ধরে তারা দুজন সরকারবিরোধী নানা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, শনিবার তাদের ধরে রাখে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি, জানান আজাদী।
আ’লীগ এবং যুবলীগের ইউনিয়নপর্যায়ের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান। তিনি বরিশালটাইমসকে জানান, দুজনকে স্থানীয়রা শনিবার আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’
বরিশালের রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগের দুই নেতাকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন তালুকদার এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানকে শনিবার সকালে স্থানীয় বৌসেরহাট বাজারে আটক করে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা পুলিশের টিম গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি আ’লীগ নেতা মিজান এবং যুবলীগ নেতা লিটন এলাকায় অবস্থান করাসহ সরকারবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। এতে তাদের ওপর সংক্ষুব্ধ ছিল এলাকাবাসী, শনিবার বৌসেরহাট বাজারে দুজনকে ধরে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদী হাসানাত ফিরোজ বরিশালটাইমসকে জানান, মিজান এবং লিটন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রায়পাশা-কড়াপুরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। এবং ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছেন, সেই ঘটনায় মামলার আসামিও এই দুজন। কিছুদিন ধরে তারা দুজন সরকারবিরোধী নানা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, শনিবার তাদের ধরে রাখে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি, জানান আজাদী।
আ’লীগ এবং যুবলীগের ইউনিয়নপর্যায়ের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান। তিনি বরিশালটাইমসকে জানান, দুজনকে স্থানীয়রা শনিবার আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.