১৬ জুন, ২০২৫ ১৬:১৪
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তাসহ একাধিক নদ-নদী বালুখেকোদের আগ্রাসনে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ ভেঙে যাচ্ছে, কমছে নাব্য, ধসছে তীর। সরকার অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শুষ্ক মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, কুমলাই, নাউতারাসহ একাধিক নদ-নদীর পানি শুকিয়ে চর জেগে উঠলে একশ্রেণির প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার করে লাখ লাখ টাকার বালু বাণিজ্য চলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ বালু তোলার পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত, যার মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। তারা অবৈধ বালু তোলার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং নদী হারাচ্ছে তার নাব্য।
ইজারাদারদের তথ্যমতে, উপজেলার তিস্তা, বুড়ি তিস্তা ও নাউতারা নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক্টর দিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করছে এই চক্রটি। নদী তীরের মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে এই রমরমা বালু বাণিজ্যের ব্যবসা। তাদের ভাষ্য, স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন নদীর পাড়ে এসে টাকা নিয়ে যায়, আর রাজনৈতিক দলের কিছু স্থানীয় নেতা পাহারা দেন।
ডিমলার নাউতারা ইউনিয়নের পূর্ব সাতজান, শালহাটি বাজার, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি বাজার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পাগলপাড়া, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলির বাজার, তিস্তা বাজার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রোয়িং (তিস্তা নদীর বাঁধ), ডিমলা সদর ইউনিয়নের নটাবাড়ী (বুড়ি তিস্তা নদী) ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কুমলাই নদী ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামীণ জনপদের ভেতর দিয়ে একের পর এক ট্রাক্টর নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে এলাকার প্রভাবশালীসহ এই চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীর নির্দেশে নদীর পাড় থেকে বালু ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্রটি। ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিনিয়ত ভাঙছে নদীর তীর, পরিবর্তন হচ্ছে গতিপথ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য এবং ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভয়ে কেউ বাধা দিতে সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন। এই বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাটের ব্যবসা করছে এই চক্রটি। নাউতারা নদীর সাতজান এলাকায় গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে এর খেসারত দিতে হয় নদীর ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির, অনেক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ওসমান গনি নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গুটিকয়েক লোকের স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।
গোলজার হোসেন নামে এক ঠিকাদার জানান, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ থেকে ইজারা নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। কারণ অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তারা কম দামে বিক্রি করছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে বৈধ ইজারাদারদের। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে কেউ ইজারা নেবে না এবং সরকারের ঘরে রাজস্বও বন্ধ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০১০ সালের মূল আইনের এই সংশোধিত সংস্করণটি পরিবেশগত ক্ষতি প্রতিরোধ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের কঠোর অবস্থানেরই ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এক যুগান্তকারী রায়ে ঘোষণা করে যে, বাংলাদেশের সব নদী একটি ‘আইনি সত্তা’ (legal entity) হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে নদীগুলো ব্যক্তির মতো আইনি অধিকার লাভ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান জানান, যারা অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তাসহ একাধিক নদ-নদী বালুখেকোদের আগ্রাসনে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ ভেঙে যাচ্ছে, কমছে নাব্য, ধসছে তীর। সরকার অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শুষ্ক মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, কুমলাই, নাউতারাসহ একাধিক নদ-নদীর পানি শুকিয়ে চর জেগে উঠলে একশ্রেণির প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার করে লাখ লাখ টাকার বালু বাণিজ্য চলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ বালু তোলার পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত, যার মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। তারা অবৈধ বালু তোলার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং নদী হারাচ্ছে তার নাব্য।
ইজারাদারদের তথ্যমতে, উপজেলার তিস্তা, বুড়ি তিস্তা ও নাউতারা নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক্টর দিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করছে এই চক্রটি। নদী তীরের মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে এই রমরমা বালু বাণিজ্যের ব্যবসা। তাদের ভাষ্য, স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন নদীর পাড়ে এসে টাকা নিয়ে যায়, আর রাজনৈতিক দলের কিছু স্থানীয় নেতা পাহারা দেন।
ডিমলার নাউতারা ইউনিয়নের পূর্ব সাতজান, শালহাটি বাজার, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি বাজার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পাগলপাড়া, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলির বাজার, তিস্তা বাজার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রোয়িং (তিস্তা নদীর বাঁধ), ডিমলা সদর ইউনিয়নের নটাবাড়ী (বুড়ি তিস্তা নদী) ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কুমলাই নদী ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামীণ জনপদের ভেতর দিয়ে একের পর এক ট্রাক্টর নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে এলাকার প্রভাবশালীসহ এই চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীর নির্দেশে নদীর পাড় থেকে বালু ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্রটি। ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিনিয়ত ভাঙছে নদীর তীর, পরিবর্তন হচ্ছে গতিপথ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য এবং ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভয়ে কেউ বাধা দিতে সাহস পায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন। এই বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাটের ব্যবসা করছে এই চক্রটি। নাউতারা নদীর সাতজান এলাকায় গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে এর খেসারত দিতে হয় নদীর ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির, অনেক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ওসমান গনি নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গুটিকয়েক লোকের স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।
গোলজার হোসেন নামে এক ঠিকাদার জানান, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ থেকে ইজারা নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। কারণ অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তারা কম দামে বিক্রি করছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে বৈধ ইজারাদারদের। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে কেউ ইজারা নেবে না এবং সরকারের ঘরে রাজস্বও বন্ধ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০১০ সালের মূল আইনের এই সংশোধিত সংস্করণটি পরিবেশগত ক্ষতি প্রতিরোধ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের কঠোর অবস্থানেরই ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এক যুগান্তকারী রায়ে ঘোষণা করে যে, বাংলাদেশের সব নদী একটি ‘আইনি সত্তা’ (legal entity) হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে নদীগুলো ব্যক্তির মতো আইনি অধিকার লাভ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান জানান, যারা অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৮
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.